ডাকসুর মত জাকসুতেও শিবিরের ঐতিহাসিক বিজয় শুধু একটি ছাত্রসংগঠনের সাফল্য নয়, বরং বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই নির্বাচনে তাদের জয়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে, সংগঠনটি এখনও শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশের আস্থা ধরে রাখতে সক্ষম।
যদিও সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের ব্যানারে ছাত্রশিবির ২৫ পদের ২০ টিতেই জয়ী হয়, তবে সহসভাপতি (ভিপি) পদে জয়লাভ করেছেন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলনের প্রার্থী আব্দুর রশিদ জিতু। তিনি ৩,৩৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন, যা নির্বাচনে এক ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে।
ছাত্ররাজনীতিতে প্রভাব
এই শিবিরের ঐতিহাসিক বিজয় ছাত্রসমাজে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যারা মনে করতেন ছাত্রশিবির মূলধারার রাজনীতিতে জায়গা হারিয়েছে, তাদের ধারণা ভেঙে দিয়েছে এই সাফল্য। এছাড়া, বিজয়টি অন্যান্য ছাত্রসংগঠনকে কৌশলগত পরিবর্তনের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
জাতীয় রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্ক
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই শিবিরের ঐতিহাসিক বিজয় শুধু ক্যাম্পাসে সীমাবদ্ধ থাকবে না। বরং এটি ভবিষ্যতের জাতীয় রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে। ছাত্রসমাজ যেহেতু জাতীয় রাজনীতির চালিকাশক্তি, তাই এই বিজয়ের প্রতিধ্বনি দীর্ঘমেয়াদে জাতীয় নির্বাচনে প্রতিফলিত হতে পারে।
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
এখন প্রশ্ন উঠছে, এই শিবিরের ঐতিহাসিক বিজয় কি স্থায়ী প্রভাব ফেলবে নাকি এটি কেবল সাময়িক সাফল্য? অনেকে মনে করছেন, সংগঠনটি যদি শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষা, সুশাসন এবং স্বচ্ছ রাজনীতি নিশ্চিত করতে পারে, তাহলে এই বিজয় দীর্ঘস্থায়ী হবে।