৩ অক্টোবর – একটি তারিখ, যার পৃষ্ঠার ভাঁজে লুকিয়ে আছে বিশ্ব ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ মোড়। এই দিনে জন্ম নিয়েছে নতুন রাষ্ট্র, স্বাক্ষরিত হয়েছে ঐতিহাসিক চুক্তি, সূচিত হয়েছে আন্দোলন, আর শেষ হয়েছে কিছু অনন্য চিন্তাবিদের জীবন।
রাজনীতি, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি ও স্বাধীনতার ইতিহাসে ৩ অক্টোবর বারবার ফিরে এসেছে নতুন পরিচয়ে।
এই প্রতিবেদনে আমরা ফিরে দেখব, ৩ অক্টোবরের দিনপঞ্জিতে কী কী ঘটনা চিহ্নিত হয়ে আছে, যা আজও প্রভাব ফেলছে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের স্বীকৃতি
১৯৮০ সালের ৩ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকার সরকার ২৬ মার্চকে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
এই সিদ্ধান্ত দেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও গৌরবকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়।
৩ অক্টোবর বিশ্ব ইতিহাসে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার স্মারক।
সাংস্কৃতিক উন্মেষ, রাজনৈতিক চুক্তি, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের মতো বিষয়ে এই দিনটির তাৎপর্য অসীম।
প্রথম ভারতীয় মাসিক পত্রিকা প্রকাশ – ১৭৯১
কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয় উপমহাদেশের প্রথম মাসিক সাময়িকী-‘Calcutta Magazine and Oriental Museum’।
পত্রিকাটি সমাজ, সংস্কৃতি ও প্রাচ্যবিদ্যার ওপর আলোকপাত করে। এটি ছিল উপমহাদেশে ছাপাখানাভিত্তিক সাংবাদিকতার এক সূচনা।
ভিয়েনা চুক্তি – ১৮৬৬
অস্ট্রিয়া ও ইতালির মধ্যে স্বাক্ষরিত ভিয়েনা চুক্তি অনুযায়ী ভেনিস ইতালির অন্তর্ভুক্ত হয়।
এই পদক্ষেপ ছিল ইতালীয় একীকরণ আন্দোলনের অন্যতম মাইলফলক।
ইরানি দার্শনিকের মৃত্যু – ১৯০
ইরানি শিয়া চিন্তাবিদ মির্যা হাসান শাহরেস্তানী মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি ধর্মীয় ও দার্শনিক লেখনিতে পরিচিত ছিলেন এবং শিয়া চিন্তাধারার একজন গুরুত্বপূর্ণ কণ্ঠস্বর ছিলেন।
ইরাকের স্বাধীনতা – ১৯৩২
ইরাক ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি লাভ করে এবং যুক্ত হয় জাতিসংঘের পূর্বসূরি লিগ অব নেশনসে।
এই দিনটিকে ইরাকে জাতীয় স্বাধীনতা দিবস হিসেবে স্মরণ করা হয়।
শ্রমিক সংগঠনের বিশ্বমঞ্চ – ১৯৪৫
প্রতিষ্ঠিত হয় World Trade Union Federation (WTUF), একটি আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠন।
এটি শ্রম অধিকার ও ন্যায্য মজুরির দাবিতে বৈশ্বিকভাবে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে।
ইংল্যান্ডের পারমাণবিক শক্তিতে প্রবেশ – ১৯৫৮
ইংল্যান্ড ৩ অক্টোবর প্রথমবারের মতো পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা চালায়।
এটি তাকে পরমাণু শক্তিধর দেশগুলোর কাতারে নিয়ে আসে।
ভারতের প্রথম টেস্ট টিউব শিশু – ১৯৭৮
ভারতে জন্ম নেয় প্রথম টেস্ট টিউব শিশু দুর্গা (কানুপ্রিয়া আগরওয়াল)।
এই বৈজ্ঞানিক অর্জনের নেতৃত্বে ছিলেন ডা. সুভাষ মুখোপাধ্যায়, যার কাজ পরবর্তীতে স্বীকৃতি পায়।