সম্প্রতি রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছানোর পর মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রেক্ষিতে স্বর্ণের দাম কিছুটা কমেছে। তবে অর্থনীতিবিদদের মতে, মূল্যস্ফীতি, সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর স্বর্ণ কেনার প্রবণতা স্বর্ণের ভবিষ্যৎ বাজারকে শক্তিশালী করবে।
কেন কমেছে স্বর্ণের দাম?
সম্প্রতি স্বর্ণ প্রতি আউন্স ৪৩৮১ ডলারে পৌঁছেছিল, যা ছিল ইতিহাসের সর্বোচ্চ। পরদিনই তা ৫.৫% হ্রাস পেয়ে ৪১১৫ ডলারে নেমে আসে। এই পতনের মূল কারণ:
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা
- মুনাফা তুলে নেওয়ার বিনিয়োগকারীদের প্রবণতা
- ডলার সূচকের সাময়িক বৃদ্ধি
কিন্তু এগুলো সবই স্বল্পমেয়াদি প্রভাব হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আশার দিক: কেন এটি ‘সুবর্ণ’ সুযোগ?
বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমান বাজার পরিস্থিতি আসলে নতুন বিনিয়োগকারীদের জন্য আদর্শ। কারণ:
- স্বল্প মূল্যে কেনার সুযোগ: এখন স্বর্ণ কম দামে পাওয়া যাচ্ছে, যা ভবিষ্যতে দামের ঊর্ধ্বগতি হলে লাভজনক হবে।
- ভবিষ্যৎ স্থিতিশীলতা: অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও ভূ-রাজনৈতিক টানাপড়েনের মাঝে স্বর্ণ বরাবরের মতো নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে প্রমাণিত।
- সুদের হার কমলে স্বর্ণের চাহিদা বাড়ে: যেহেতু সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা আছে, স্বর্ণের দাম আবার বাড়বে।
ভবিষ্যৎ বিশ্লেষণ:
বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান Citi এবং Kitco Metals বলছে, আগামী ২–৩ সপ্তাহের মধ্যেই স্বর্ণের দাম স্থিতিশীল হবে। ফেডারেল রিজার্ভের সম্ভাব্য হার কমানো, মার্কিন-চীন বাণিজ্য আলোচনা, এবং ভোক্তা মূল্য সূচকের রিপোর্ট সব মিলিয়ে বাজার ইতিবাচক দিকে ফিরতে পারে।
বিনিয়োগ পরামর্শ:
স্বর্ণে বিনিয়োগ করতে চাইলে এখনই উপযুক্ত সময় হতে পারে। তবে:
- লং-টার্ম বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে
- বাজার পর্যবেক্ষণ করতে হবে নিয়মিত
- সঠিক সময়ে মুনাফা তুলতে জানতে হবে
স্মার্ট বিনিয়োগকারীরা এ ধরনের পতনকেই লাভে পরিণত করেন।
স্বর্ণের দামে সাময়িক পতন একটি প্রাকৃতিক বাজারচক্রের অংশ। এর মধ্যেই লুকিয়ে আছে বিনিয়োগের সম্ভাবনা ও ভবিষ্যতের লাভ। তাই ভয় নয়, বরং সতর্ক ও পরিকল্পিত বিনিয়োগই এই সময়ের জন্য সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।




