বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২০, ২০২৫

আল্লাহর নৈকট্যের চাবিকাঠি: রাসুল (সা.)-এর নামাজ-পরবর্তী দোয়া ও যিকর

বহুল পঠিত

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতিদিনের পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পর নির্দিষ্ট কিছু দোয়া ও তাসবীহ পাঠ করতেন।
এই দোয়া ও তাসবীহগুলো আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের উত্তম মাধ্যম।
প্রিয় নবীজির এই সুন্নত আমল অনুসরণ করলে একদিকে যেমন আত্মার প্রশান্তি মেলে, অন্যদিকে আল্লাহর কাছে প্রিয় বান্দা হওয়ার পথও সহজ হয়।
তাই আমরাও চাইলে এই দোয়াগুলো নিয়মিত পাঠ করে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও রহমত লাভ করতে পারি।

চলুন দেখে নিই, সহিহ হাদিসে উল্লেখিত ফরজ সালাত শেষে নবীজী (সা.) কোন দোয়াগুলো পড়তেন-

১। আল্লাহু আকবার (উচ্চস্বরে) – একবার

নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরজ নামাজ শেষে উচ্চস্বরে একবার “আল্লাহু আকবার” পাঠ করতেন। এটি নামাজের সমাপ্তি চিহ্নিত করে এবং আল্লাহর মহানতা স্মরণ করায়। নিয়মিত এই দোয়া ও তাসবিহ পাঠ করলে মনকে শান্তি এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের সুযোগ বৃদ্ধি পায়।

২। আস্তাগফিরুল্লাহ (ﺃَﺳْﺘَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﻠَّﻪ) – তিনবার

অর্থ: “হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।”এই দোয়া পাঠ করার মাধ্যমে মন থেকে পাপের প্রশমিতি ও আল্লাহর রহমত প্রাপ্তি সম্ভব হয়। নিয়মিত নামাজের পর আস্তাগফার পাঠ করা মুসলমানদের জন্য একটি সুন্নত ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমল।

৩। ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﺴَّﻼَﻡُ، ﻭَﻣِﻨْﻚَ ﺍﻟﺴَّﻼَﻡُ، ﺗَﺒَﺎﺭَﻛْﺖَ ﻳَﺎ ﺫَﺍ ﻟْﺠَﻼَﻝِ ﻭَﺍﻟْﺈِﻛْﺮَﺍﻡِ – একবার পাঠ করুন

উচ্চারণ: “আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম, তাবা-রাকতা ইয়া যাল-জালালি ওয়াল ইকরাম”
অর্থ:
“হে আল্লাহ! তুমি শান্তিময়, তোমার কাছ থেকেই শান্তি অবতীর্ণ হয়। তুমি বরকতময়, হে পরাক্রমশালী ও মর্যাদা প্রদানকারী।”

সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, নবীজী ﷺ সালাম ফেরানোর পর তিনবার “আস্তাগফিরুল্লাহ” পাঠ করতেন। এরপর এই দোয়াটি পাঠ করতেন।

  • হাদিস সূত্র: (২ ও ৩ নং একসাথে হাদিসে এসেছে) মুসলিম ১/২১৮, আবু দাউদ ১/২২১

৪। “لاَ إِلهَ إِلاَّ الله وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ” – পাঠ করুন

উচ্চারণ:
লা ইলাহা ইল্লাল্লা-হু অহ্‌দাহু লা শারীকা লাহ্‌, লাহুল মুলকু অলাহুলহামদু অহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর।

অর্থ:
“আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য মাবুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন অংশী নেই। সমস্ত রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসা তাঁরই এবং তিনি সর্ব বিষয়ে শক্তিমান।”

নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরজ নামাজের পর এই দোয়া পাঠ করতেন। এটি আমাদের মনে করায় যে আল্লাহই সর্বশক্তিমান, একক এবং সমস্ত সৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণের অধিপতি।

৫। “اَللّهُمَّ لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ وَلاَ مُعْطِىَ لِمَا مَنَعْتَ وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الَجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ” – পাঠ করুন

উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা লা মা-নিয়া লিমা আ’ত্বাইতা, অলা মু’তিয়া লিমা মানা’তা, অলা য়্যানফাউ যাল জাদ্দি মিনকাল জাদ্দু।

অর্থ:
“হে আল্লাহ! তুমি যা দান কর তা রোধ করার এবং যা রোধ কর তা দান করার ক্ষমতা কারো নেই। আর ধনবানের ধন তোমার আযাব থেকে মুক্তি পেতে কোনো উপকারে আসবে না।”

নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরজ নামাজের পর এই দোয়া পাঠ করতেন। এটি আমাদের স্মরণ করায় যে আল্লাহই সর্বশক্তিমান এবং সমস্ত দান ও নিয়ন্ত্রণ তাঁর হাতে

সূত্র: (৪ ও ৫ নং একসাথে হাদিসে এসেছে)
সহীহুল বুখারী ৮৪৪, ১৪৭৭, মুসলিম ৫৯৩, নাসায়ী ১৩৪১-১৩৪৩, আবূ দাউদ ১৫০৫, ৩০৭৯

৬। “لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِالله” – পাঠ করুন

উচ্চারণ:
লা-হাউলা অলা ক্বুউওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ্‌।

অর্থ:
“আল্লাহর প্রেরণা ছাড়া পাপ থেকে বাঁচার বা সৎকাজ করার কোনো শক্তি নেই।”

নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরজ নামাজের পর এই দোয়া পাঠ করতেন। এটি আমাদের স্মরণ করায় যে মানবের সীমাবদ্ধ শক্তি আল্লাহর ওপর নির্ভরশীল এবং আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কোনো সৎকাজ সম্পূর্ণ করা সম্ভব নয়।

সূত্র: মুসলিম (সহীহ), মিশকাত হাদিস নং ৯৬৩

৭। “لآ إِلهَ إِلاَّ اللهُ وَلاَ نَعْبُدُ إِلاَّ إِيَّاهُ لَهُ النِّعْمَةُ وَلَهُ الْفَضْلُ وَلَهُ الثَّنَاءُ الْحَسَنُ، لاَ إِلهَ إِلاَّ اللهُ مُخْلِصِيْنَ لَهُ الدِّيْنَ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُوْن” – পাঠ করুন

উচ্চারণ:
লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু অলা না’বুদু ইল্লা ইয়্যা-হু লাহুন্নি’মাতু অলাহুল ফায্বলু অলাহুস সানা-উল হাসান, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু মুখলিস্বিনা লাহুদ্দ্বীনা অলাউকারিহাল কা-ফিরুন।

অর্থ:
“আল্লাহ ব্যতীত কেউ সত্য উপাস্য নয়। তাঁর ছাড়া আমরা আর কারো ইবাদত করি না। তাঁরই যাবতীয় সম্পদ, তাঁরই যাবতীয় অনুগ্রহ এবং তাঁরই যাবতীয় সুপ্রশংসা। আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য উপাস্য নেই। আমরা বিশুদ্ধ চিত্তে শুধু তাঁরই উপাসনা করি, যদিও কাফেররা এটি অপছন্দ করে।”

নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরজ নামাজের পর একবার এই দোয়া পাঠ করতেন। এটি তাওহীদ ও আল্লাহর একত্বকে স্বীকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ দোয়া।

সূত্র: মুসলিম (সহীহ), মিশকাত হাদিস নং ৯৬৩

৮। আয়াতুল কুরসী (সুরা বাক্বারা, আয়াত ২৫৫) – একবার পাঠ করুন

নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরজ নামাজের পর একবার আয়াতুল কুরসী পাঠ করতেন।

ফায়দা ও গুরুত্ব:
আবু উমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন:
“যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ সালাতের পর আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে, মৃত্যু ছাড়া আর কিছুই তাকে জান্নাতে প্রবেশ থেকে বিরত রাখতে পারবে না।”

সূত্র: নাসায়ী, হাদিস সহীহ, সিলসিলাহ সহিহাহ-হাদিস নং ৯৭২

৯। সুবহানাল্লাহ , আলহামদুলিল্লাহ ও আল্লাহু আকবার পাঠ

আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

যে ব্যক্তি প্রতিটি নামাজের পর:

১। ৩৩ বার “সুবহানাল্লাহ”,

২। ৩৩ বার “আলহামদুলিল্লাহ”,

৩। ৩৩ বার “আল্লাহু আকবার” ( ৩৪ বারও পড়ার হাদিস রয়েছে)
পাঠ করবে, এবং পূর্ণ ১০০ বার করার জন্য একবার এই দোয়া উচ্চস্বরে পাঠ করবে:
“লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ দাহু লা-শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর”,

তার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করা হয়, যদিও তা সাগরের ফেনাপুঞ্জের সমতুল্য হয়।

সূত্র: মুসলিম, হাদিস নং ১২২৮

১০। সুরা ইখলাস, ফালাক এবং নাস – একবার পাঠ করুন

নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরজ নামাজের পর প্রতিটি সুরা একবার পাঠ করতেন:

  • সুরা ইখলাস
  • সুরা ফালাক
  • সুরা নাস

ফায়দা ও গুরুত্ব: এই তিনটি সূরা আল্লাহর একত্ব, রক্ষা ও বেদনাবিধ থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করে। নিয়মিত পাঠ করলে শয়তানের প্রভাব থেকে আত্মা সংরক্ষিত থাকে এবং দৈনন্দিন জীবনের বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

সূত্র:

  • আবু দাউদ ২/৮৬
  • সহীহ তিরমিযী ১/৮
  • নাসাঈ ৩/৬৮

১১। একবার পাঠ করুন নিচের দোয়াটি

আরবি:
ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻋِﻨِّﻲ ﻋَﻠَﻰ ﺫِﻛْﺮِﻙَ، ﻭَﺷُﻜْﺮِﻙَ، ﻭَﺣُﺴْﻦِ ﻋِﺒﺎﺩَﺗِﻚَ

উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মা আ ই’ন্নি আ’লা যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হু’সনি ইবাদাতিকা

অর্থ:
“হে আল্লাহ! তুমি আমাকে তোমার স্মরণ, তোমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং তোমার সুন্দর ইবাদত সম্পাদনের ব্যাপারে সাহায্য কর।”

নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরজ নামাজের পর একবার এই দোয়া পাঠ করতেন।

সূত্র: আবু দাউদ ১/২১৩

১২। “اَللّهُمَّ قِنِيْ عَذَابَكَ يَوْمَ تَبْعَثُ عِبَادَكَ” – একবার পাঠ করুন

উচ্চারণ:
আল্লা-হুম্মা ক্বিনী আযা-বাকা ইয়াওমা তাবআসু ইবা-দাক

অর্থ:
“হে আল্লাহ! যেদিন তুমি তোমার বান্দাদেরকে পুনরুত্থিত করবে, সেদিনকার আযাব থেকে আমাকে রক্ষা করো।”

সূত্র: মুসলিম

১৩। ফরজ নামাজের পর দোয়া টি– ১০ বার পাঠ করুন

হজরত আব্দুর রহমান বিন গানম (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যে ব্যক্তি মাগরিব ও ফজরের নামাজ থেকে ফিরে বসা ও পা মুড়ার পূর্বে (অর্থাৎ যেভাবে বসে নামাজ শেষ করেছে, সেভাবে বসেই, এদিক-অদিক ঘুরা বা অন্যভাবে বসার পূর্বে) নিম্নোক্ত দোয়াটি ১০ বার পাঠ করবে:

আরবি:
«لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ»

উচ্চারণ:
লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্‌দাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মূলকু ওয়ালাহুল হাম্‌দু ইয়ুহ্‌য়ী ওয়াইয়ূমীতু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর

অর্থ:
“আল্লাহ ব্যতীত কোনো সত্য মাবুদ নেই। তিনি একক, তাঁর কোন অংশী নেই। সমস্ত রাজত্ব এবং প্রশংসা তাঁরই। তিনি প্রাণ দান এবং গ্রহণ করেন এবং সবকিছুর ওপর সর্বশক্তিমান।”  (আহমাদ,সহীহ তারগীব-হাদিস ৪৭২)

১৪। ফজরের ফরজ নামাজের পর দোয়া – একবার পাঠ করুন

আরবি:
اَللّهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ عِلْماً نَّافِعاً وَّرِزْقاً طَيِّباً وَّعَمَلاً مُّتَقَبَّلاً

উচ্চারণ:
আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা ইলমান না-ফিআ, ওয়া রিযক্বান ত্বাইয়িবা, ওয়া আমালান মুতাক্বাব্বালা

অর্থ:
“হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট ফলদায়ক শিক্ষা, হালাল জীবিকা এবং গ্রহণযোগ্য আমল প্রার্থনা করছি।”

ফায়দা ও গুরুত্ব: ফজরের নামাজের পর এই দোয়া পাঠ করলে আল্লাহর নৈকট্য বৃদ্ধি পায়, দৈনন্দিন জীবনের জন্য উপকারী জ্ঞান, সৎ উপার্জন এবং গ্রহণযোগ্য ইবাদত প্রাপ্তি হয়।

সূত্র:

ত্বাবারানী সাগীর, মাজমাউয যাওয়ায়েদ ১০/১১১

ইবনে মাজাহ, সুনান ১/১৫২

নবী করিম (সা.) প্রত্যেক ফরজ নামাজ শেষে এই দোয়াগুলো করতেন। আমাদেরও উচিত, নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী এগুলো অনুসরণ করা এবং নামাজশেষে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের চেষ্টা করা।

নামাজ-পরবর্তী দোয়া সম্পর্কিত দোয়া ও প্রশ্নোত্তর (FAQ)

১। প্রশ্ন: নামাজের পর কোন দোয়া পড়া সবচেয়ে উত্তম?

উত্তর: নামাজ শেষে প্রথমে আয়াতুল কুরসি পড়া উত্তম।

দোয়া:
“Allāhu lā ilāha illā huwa al-ḥayyu al-qayyūm…”
অর্থ: “আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি চিরঞ্জীব, সর্বপ্রতিপালক।”

২. প্রশ্ন: নামাজ শেষে কোন জিকির পড়া উচিত?

উত্তর: নামাজ শেষে ৩৩ বার “সুবহানাল্লাহ”, ৩৩ বার “আলহামদুলিল্লাহ” এবং ৩৪ বার “আল্লাহু আকবার” বলা সুন্নত।

৩. প্রশ্ন: নামাজের পর দোয়া পড়া কি ফরজ না সুন্নত?

উত্তর: নামাজের পর দোয়া করা সুন্নত। নবী করিম ﷺ নিয়মিত নামাজ শেষে দোয়া পড়তেন।

৪. প্রশ্ন: নামাজের পর দোয়া কখন করা উত্তম- সালাম ফেরানোর পর নাকি তাসবিহর পরে?

উত্তর: উত্তম হলো তাসবিহ শেষ করার পর আল্লাহর কাছে মনোযোগসহ দোয়া করা।

৫. প্রশ্ন: নামাজের পর সংক্ষিপ্ত দোয়া কী হতে পারে

উত্তর: আল্লাহু আকবার (একবার), আস্তাগফিরুল্লাহ (তিনবার) এবং আয়াতুল কুরসি একবার হতে পারে।

৬. প্রশ্ন: নামাজের পর দোয়া কি একা একা করতে হবে, নাকি ইমামসহ জামাতে করা যায়?

উত্তর: উভয়ভাবেই করা যায়। তবে একা একা আন্তরিকভাবে দোয়া করাই উত্তম।

৭. প্রশ্ন: নামাজ শেষে কোন সূরা পাঠ করা যায়?

উত্তর: সূরা ইখলাস, ফালাক, এবং নাস এই তিন সূরা পড়া নবীর সুন্নত।

৮. প্রশ্ন: নামাজের পর দোয়া করলে কী কী উপকার পাওয়া যায়?

উত্তর: দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর রহমত লাভ, গুনাহ মাফ, মন প্রশান্তি এবং রিজিক বৃদ্ধি হয়।

৯. প্রশ্ন: নামাজ শেষে দোয়া করার সময় কীভাবে মনোযোগী হওয়া যায়?

উত্তর: দোয়ার সময় হৃদয়ে আল্লাহর উপস্থিতি অনুভব করা, মনোযোগ ভঙ্গকারী বিষয় এড়িয়ে চলা, এবং দোয়া ধীরে ও বোঝে বোঝে পড়া উচিত।

আরো পড়ুন

ম দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম – সুন্দর অর্থসহ সেরা নামের তালিকা

বাংলা ভাষাভাষী মুসলিম পরিবারগুলোতে সন্তানের জন্য সুন্দর ও অর্থবহ নাম রাখার আগ্রহ সর্বদা ছিল এবং থাকবে। বিশেষ করে ম দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম খোঁজার ক্ষেত্রে অভিভাবকরা বেশ সচেতন থাকেন, কারণ নাম শুধু পরিচয়ের নয়—এটি চরিত্র ও ব্যক্তিত্বের একটি ইতিবাচক প্রতিফলন।

সূরা ফীল বাংলা উচ্চারণ, আরবি, অর্থ, তাফসীর ও ফজিলত – সম্পূর্ণ গাইড

ইসলামের ইতিহাসে এমন কিছু ঘটনা আছে, যা মানুষের বিশ্বাসকে আরও দৃঢ় করে। সূরা ফীল ঠিক সেই ধরনের একটি সূরা। মাত্র পাঁচ আয়াতের হলেও এতে আছে আল্লাহর কুদরতের জীবন্ত প্রমাণ, অহংকারের কঠিন পরিণতি এবং দুর্বলের প্রতি আল্লাহর বিশেষ সুরক্ষা।

সূরা কদরের বাংলা অর্থ ও উচ্চারণ: লাইলাতুল কদরের মহিমা, আমল ও ফজিলত

পবিত্র কুরআনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুরা গুলোর মধ্যে সুরা কদর একটি। এই সূরা মূলত লাইলাতুল কদরের রাতের মহিমা এবং কুরআন নাজিল হওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরে। এই লেখায় সূরা কদরের বাংলা অর্থ ও উচ্চারণ, ফযিলত সহ সবকিছু জানব।
- Advertisement -spot_img

আরও প্রবন্ধ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ প্রবন্ধ