আজ ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ দিন, সিপাহি–জনতার অভ্যুত্থান দিবস।
১৯৭৫ সালের এই দিনে সেনাবাহিনীর সৈনিক ও সাধারণ জনগণের অভিন্ন আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্তি পান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান, ভেঙে যায় শাসকের শৃঙ্খল।
আর সেই মুক্তিই সূচনা করে বহুদলীয় গণতন্ত্রের নতুন পথচলা, যা পরে জন্ম দেয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি।
৭ নভেম্বর কেন গুরুত্বপূর্ণ?
১৫ আগস্ট শেখ মুজিব হত্যা (বাকশাল বিলুপ্ত) ও পরবর্তী বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে দেশ এগোচ্ছিল অজানা গন্তব্যের দিকে।
‘৭৪ এর দুর্ভিক্ষ, রক্ষীবাহিনীর দমন–পীড়ন এবং ৩ নভেম্বরের ঘটনাপ্রবাহের পর দেশজুড়ে অস্থিরতা চরম আকার ধারণ করে।
ঠিক সেই সময়,
সিপাহি–জনতার যৌথ অভ্যুত্থান সৃষ্টি করে ইতিহাসের মোড় ঘোরানো অধ্যায়-
যা সাধারন মানুষের ভাষায় “জাতির গতিপথ বদলে দেওয়ার আলো”।
সৈনিক-জনতার মিলিত নেতৃত্বে জিয়ার মুক্তি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন মাহমুদ টুকু বলেন-
“মানুষের আশা-ভরসার নাম ছিলেন শহীদ জিয়া।
সৈনিক-জনতা সম্মিলিতভাবে তাকেই বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে আনে।”
এই মুক্তির মধ্য দিয়ে শুরু হয়-
১. সেনাবাহিনীতে শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা
২. আধুনিক রাষ্ট্র পরিচালনার নতুন নীতি
৩. বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা
দেশকে গৃহযুদ্ধ থেকে রক্ষা করা বিদ্রোহ
বিএনপি নেতা হাফিজ উদ্দীন আহমদের মতে- “৭ নভেম্বরের বিপ্লব দেশকে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ থেকে রক্ষা করেছে।”
তিনি আরও বলেন-
জিয়াউর রহমান ছিলেন একমাত্র নেতা যিনি
বিশৃঙ্খল সেনাবাহিনীকে নিয়ন্ত্রণে এনে দেশকে স্থিতিশীল করেন।
৭ নভেম্বরের মূল শিক্ষা
এই দিনটি শুধু মুক্তির ইতিহাস নয়,
এটি-
১. ঐক্য ও শৃঙ্খলার শিক্ষা
২. গণতন্ত্র চর্চার অনুপ্রেরণা
৩. জাতীয় স্বার্থে মিলিত সংগ্রামের প্রতীক
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের আহ্বান- বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চা অব্যাহত রেখে ৭ নভেম্বরের সংহতিকে ধরে রাখা।




