বাংলাদেশে গুণীজনদের অবহেলা একটি দুঃখজনক বাস্তবতা, বিশেষত আলেমদের প্রতি। অথচ, সমাজ গঠনে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। শৈশব থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত প্রতিটি মানুষের জন্য আলেমদের রয়েছে নানামুখী কর্মসূচি।
আলেমদের সমাজ গঠনে অবদান
আলেমরা কোমলমতি শিশুদের জন্য প্রভাতি মক্তবের ব্যবস্থা রেখেছেন। এখানে তারা দীন ও নৈতিকতার পাঠ গ্রহণ করে বড় হয়। এই মক্তবগুলি শতাব্দী ধরে সমাজের মানস গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
মসজিদের মিম্বার ও মাহফিল: আলেমদের শিক্ষার প্রধান মাধ্যম
বাংলাদেশের প্রায় তিন লাখ জামে মসজিদে প্রতি জুমার দিনে আলেমরা খুতবা প্রদান করেন। তাদের বক্তৃতা দীন শিক্ষা, নৈতিকতা, সামাজিক অবক্ষয়, এবং সমকালীন সমস্যার সমাধান তুলে ধরে।
কওমি মাদ্রাসার অবদান: শিক্ষায় আলোকিত নতুন প্রজন্ম
কওমি মাদ্রাসার সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০ লাখের কাছাকাছি। রাষ্ট্রের সীমিত খরচে এবং জনগণের দান থেকে এই মাদ্রাসাগুলো পরিচালিত হয়। শিক্ষার্থীরা অপরাধমুক্ত এবং সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে।
এতিম শিশুদের জন্য লিল্লাহ বোর্ডিং সিস্টেম
কওমি মাদ্রাসার লিল্লাহ বোর্ডিং সিস্টেমে হাজার হাজার এতিম শিশু বিনামূল্যে খাওয়া, থাকা এবং পড়াশোনার সুযোগ পায়। এটি তাদের অপরাধমুক্ত ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
মাদ্রাসায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও অপরাধমুক্ততা
কয়েক হাজার শিক্ষার্থী একসাথে থাকা সত্ত্বেও সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা খুবই কম। শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিক শিক্ষা এবং আলোকিত শিক্ষা তাদের সুষ্ঠু নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে।
মানবসেবা ও সামাজিক কাজেও আলেমরা এগিয়ে
প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং করোনা মহামারিতে আলেমরা সর্বদা মানবতার সেবায় এগিয়ে এসেছেন। তারা বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে লাশ দাফন, খাদ্য বিতরণ এবং পুনর্বাসন কাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি আলেমদের অবদান সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা উচিত
যদি সমাজ ও রাষ্ট্র আলেমদের অবদান স্বীকৃতি দিত, তাহলে তাদের আরও উৎসাহিত করা যেত। তারা দেশের শান্তি, নৈতিকতা এবং উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।




