বিশ্বের বুকে যখন চারদিকে যুদ্ধের দামামা, গাজার বুকে কান্না, জলবায়ুতে বিষাক্ত হাওয়া। ঠিক তখনই শান্তি, ন্যায় এবং ঐক্যের বার্তা নিয়ে নিউ ইয়র্কে জড়ো হচ্ছেন বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধানেরা। জাতিসংঘের ৮০তম বার্ষিকীতে যেন গর্জে উঠছে একটিই ধ্বনি-মানবতা বাঁচাও!
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন শুরু হচ্ছে সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর। এবারের প্রতিপাদ্য-
“একসঙ্গে ভালো: শান্তি, উন্নয়ন ও মানবাধিকারের পথে ৮০ বছর ও তার পরেও।”
এটি জাতিসংঘের দীর্ঘ ইতিহাস ও অর্জনের প্রতিফলন।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবারের অধিবেশনে দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন।
তাঁর সঙ্গে থাকবেন-
- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
- জামায়াতের সিনিয়র নায়েবে আমির ডা. তাহের
- এনসিপি চেয়ারম্যান আকতার হোসেন
- বিএনপির পররাষ্ট্র উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির
ড. ইউনূস তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরবেন:
- রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের প্রস্তাব
- জলবায়ু ন্যায়বিচার ও টেকসই পরিবেশ রক্ষার আহ্বান
- একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি
- ফিলিস্তিনে যুদ্ধবিরতি এবং শান্তির উদ্যোগ
- উন্নয়নশীল দেশ থেকে সম্পদ পাচার বন্ধের প্রয়োজনীয়তা
- নিরাপদ অভিবাসন ও প্রযুক্তির ন্যায্য ব্যবহার
রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রথমবারের মতো উচ্চপর্যায়ের বৈঠক
৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতির তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হবে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে প্রথম উচ্চপর্যায়ের বৈঠক।
উল্লেখযোগ্যভাবে, এই প্রস্তাবটি প্রথম দিয়েছিলেন ড. ইউনূস। পরবর্তীতে এটি আন্তর্জাতিক সমর্থন পেয়ে একটি রেজুলুশনের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হচ্ছে।
বাংলাদেশের কূটনৈতিক অগ্রগতি
সরকার জানিয়েছে, এবারের অধিবেশন বাংলাদেশের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, ড. ইউনূস জাতিসংঘ মহাসচিব ও মার্কিন প্রেসিডেন্টের সংবর্ধনাসহ বিভিন্ন সাইড ইভেন্ট ও বৈঠকে অংশ নেবেন।