আজ রকস্টার আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৮ সালের এইদিনে তিনি প্রয়াত হন। তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৬ বছর। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। তিনি বেঁচে আছেন তার গানে। তার গিটার মানুষকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। তার পরিবার আজ তাকে স্মরণ করবে। জেনে নেই আইয়ুব বাচ্চুর জীবনী:
শৈশব ও সঙ্গীতে হাতেখড়ি
আইয়ুব বাচ্চুর বেড়ে ওঠা চট্টগ্রামে। তার বাবা জুবিলী রোডে বাড়ি কিনেছিলেন। সেখানেই কাটে তার শৈশব ও কৈশোর। ১১ বছর বয়সে পান প্রথম গিটার। তা উপহার দিয়েছিলেন তার বাবা। কৈশোরে শুনতেন বিদেশি রক ব্যান্ড। লেড জেপলিন, ডিপ পার্পল তাকে মুগ্ধ করে। জিমি হেনড্রিক্সের গিটারে তিনি মুগ্ধ ছিলেন।
ব্যান্ড সঙ্গীতের শুরু
স্কুলে এক বন্ধুর কাছ থেকে গিটার ধার করেন। সেটি ছিল একটি টিস্কো গিটার। পরে বন্ধু গিটারটি তাকে উপহার দেন। গিটারের তালিম নেন জেকব ডায়াজের কাছে। কলেজে গড়েন ব্যান্ড গোল্ডেন বয়েজ। পরে নাম হয় আগলি বয়েজ। গায়ক ছিলেন কুমার বিশ্বজিৎ। বাচ্চু ছিলেন গিটারিস্ট।
সোলস ও এলআরবির যাত্রা
১৯৭৭ সালে যোগ দেন ফিলিংস ব্যান্ডে। তিনি ছিলেন গিটার বাদক। ১৯৮০ সালে আসেন সোলস ব্যান্ডে। নকীব খান ও তপন চৌধুরী তাকে ডাকেন। সোলসের চারটি অ্যালবামে কাজ করেন। সেগুলো হলো সুপার সোলস, কলেজের করিডোরে। এছাড়া মানুষ মাটির কাছাকাছি ও ইস্ট অ্যান্ড ওয়েস্ট। ১৯৯১ সালে সোলস ছাড়েন তিনি। তিনি গঠন করেন নতুন ব্যান্ড দল। এসআই টুটুল, স্বপন ও জয় ছিলেন সাথে। ব্যান্ডের নাম হয় লাভ রানস ব্লাইন্ড। সংক্ষেপে এলআরবি। ১৯৯২ সালে প্রকাশ পায় এলআরবি-১ ও এলআরবি-২। এটি ছিল বাংলাদেশের প্রথম ডাবল অ্যালবাম। অ্যালবামটি শ্রোতাদের মন জয় করে। এলআরবির তৃতীয় অ্যালবাম সুখ ব্যাপক সাফল্য পায়। এটি ছিল একটি ব্যবসাসফল অ্যালবাম।
ব্যান্ডের বাইরেও তার গান জনপ্রিয় ছিল। চলচ্চিত্রের গানেও সফলতা পান। আইয়ুব বাচ্চু আজও তার গানে বেঁচে আছেন। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গীতের এক কিংবদন্তি।




