বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২০, ২০২৫

গিটারের মূর্ছনায় অমর আইয়ুব বাচ্চু

বহুল পঠিত

আজ রকস্টার আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৮ সালের এইদিনে তিনি প্রয়াত হন। তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৬ বছর। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। তিনি বেঁচে আছেন তার গানে। তার গিটার মানুষকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। তার পরিবার আজ তাকে স্মরণ করবে। জেনে নেই আইয়ুব বাচ্চুর জীবনী:

শৈশব ও সঙ্গীতে হাতেখড়ি

আইয়ুব বাচ্চুর বেড়ে ওঠা চট্টগ্রামে। তার বাবা জুবিলী রোডে বাড়ি কিনেছিলেন। সেখানেই কাটে তার শৈশব ও কৈশোর। ১১ বছর বয়সে পান প্রথম গিটার। তা উপহার দিয়েছিলেন তার বাবা। কৈশোরে শুনতেন বিদেশি রক ব্যান্ড। লেড জেপলিন, ডিপ পার্পল তাকে মুগ্ধ করে। জিমি হেনড্রিক্সের গিটারে তিনি মুগ্ধ ছিলেন।

ব্যান্ড সঙ্গীতের শুরু

স্কুলে এক বন্ধুর কাছ থেকে গিটার ধার করেন। সেটি ছিল একটি টিস্কো গিটার। পরে বন্ধু গিটারটি তাকে উপহার দেন। গিটারের তালিম নেন জেকব ডায়াজের কাছে। কলেজে গড়েন ব্যান্ড গোল্ডেন বয়েজ। পরে নাম হয় আগলি বয়েজ। গায়ক ছিলেন কুমার বিশ্বজিৎ। বাচ্চু ছিলেন গিটারিস্ট।

সোলস ও এলআরবির যাত্রা

১৯৭৭ সালে যোগ দেন ফিলিংস ব্যান্ডে। তিনি ছিলেন গিটার বাদক। ১৯৮০ সালে আসেন সোলস ব্যান্ডে। নকীব খান ও তপন চৌধুরী তাকে ডাকেন। সোলসের চারটি অ্যালবামে কাজ করেন। সেগুলো হলো সুপার সোলস, কলেজের করিডোরে। এছাড়া মানুষ মাটির কাছাকাছি ও ইস্ট অ্যান্ড ওয়েস্ট। ১৯৯১ সালে সোলস ছাড়েন তিনি। তিনি গঠন করেন নতুন ব্যান্ড দল। এসআই টুটুল, স্বপন ও জয় ছিলেন সাথে। ব্যান্ডের নাম হয় লাভ রানস ব্লাইন্ড। সংক্ষেপে এলআরবি। ১৯৯২ সালে প্রকাশ পায় এলআরবি-১ ও এলআরবি-২। এটি ছিল বাংলাদেশের প্রথম ডাবল অ্যালবাম। অ্যালবামটি শ্রোতাদের মন জয় করে। এলআরবির তৃতীয় অ্যালবাম সুখ ব্যাপক সাফল্য পায়। এটি ছিল একটি ব্যবসাসফল অ্যালবাম।

ব্যান্ডের বাইরেও তার গান জনপ্রিয় ছিল। চলচ্চিত্রের গানেও সফলতা পান। আইয়ুব বাচ্চু আজও তার গানে বেঁচে আছেন। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গীতের এক কিংবদন্তি।

আরো পড়ুন

ফ্রাঙ্কেনস্টাইন মুভির বাজিমাত: প্রকাশের পরই Netflix‑এ ২৯.১ মিলিয়ন ভিউ

২০২৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ফ্রাঙ্কেনস্টাইন মুভির বাজিমাত ! এটি কেবল একটি থ্রিলার নয়; এটি একটি বাজিমাত সিনেমা, যা দর্শক ও সমালোচকদের হৃদয় ছুঁয়ে ফেলেছে। মুভিটি শুধু ভয়ঙ্কর নয়, বরং মানবিক বার্তা এবং আবেগের গভীরতা নিয়ে এসেছে।

বাংলাদেশের সাতটি প্রধান শহরাঞ্চল: অর্থনীতি ও সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দু

বাংলাদেশের প্রগতি ও সার্বিক উন্নয়নের গল্প মূলত তার বিভিন্ন শহরাঞ্চলের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো কেবল জনসংখ্যার ঘনত্বের কেন্দ্র নয়, বরং দেশের অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি, সাংস্কৃতিক পরিচয় এবং ঐতিহ্যের ধারক। প্রতিটি বড় শহরের রয়েছে নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব, যা সারা দেশের জন্য অনন্য অবদান রাখে। রাজধানী থেকে শুরু করে বাণিজ্যিক কেন্দ্র, শিক্ষার আঁতুড়ঘর কিংবা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি, সবই মিলেমিশে একটি বৈচিত্র্যময় চিত্র তৈরি করেছে। এসব প্রধান নগর কেন্দ্রগুলোর পরিচিতি জানা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ বোঝার জন্য অপরিহার্য।

নদীর পারে চিড়িয়াখানা: মানুষের স্নেহে গড়া পাখির স্বর্গ

নদীর পারে ছোট, শান্ত একটি গ্রাম- হাভাতিয়া। প্রকৃতির নীরবতায় ঘেরা এই গ্রামে আছেন এক ব্যতিক্রম মানুষ, আবুল কাশেম ভূঁইয়া। তার চারপাশ যেন এক জীবন্ত চিড়িয়াখানা। সকালে উঠলেই ঘুঘু, বক, শালিক, এমনকি বেওয়ারিশ বিড়াল-কুকুরও এসে জড়ো হয় তার উঠানে।
- Advertisement -spot_img

আরও প্রবন্ধ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ প্রবন্ধ