আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে পুনরায় আপিলের শুনানি শুরু হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে সকাল ১০টায় শুনানি শুরু হয়।
শুনানিতে অংশগ্রহণ করেছেন ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী (ইন্টারভেনর হিসেবে) এবং জামায়াতের পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
শুনানির পটভূমি
- ২১ অক্টোবর পুনরায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরানোর জন্য আপিল শুনানি শুরু হয়।
- ২২ অক্টোবর দ্বিতীয় দিনের শুনানি শেষে, রিটকারী বদিউল আলম মজুমদারের পক্ষে শুনানি করেন ড. শরীফ ভূঁইয়া।
- ২৭ আগস্ট আপিল বিভাগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দেন।
প্রধান বিচারপতি আদালতে উল্লেখ করেছেন যে, আপিল বিভাগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে দিয়ে সাময়িক সমাধান দিতে চায় না, বরং নির্বাচনকালীন সরকারের কার্যকর সমাধান চায় যাতে এটি পুনরায় বিঘ্নিত না হয় এবং গণতন্ত্রের জন্য সুদূরপ্রসারী প্রভাব রাখে।
অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্য
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, দেশের মানুষ গত দেড় দশকে বিভিন্নভাবে শোষিত হয়েছে—গুম, খুন, বিচার বহির্ভূত হত্যা ও রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার হয়েছে। সিস্টেম ধ্বংস হওয়ায় মানুষ বিচার পাননি। ফলে রাজনৈতিক পরিবর্তন হয়েছে এবং জনগণের ক্ষমতা সমুন্নত রাখতে এ বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটও তুলে ধরেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার ইতিহাস
- ১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনী দ্বারা সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত হয়।
- ১৯৯৮ সালে এই ব্যবস্থার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের হয়।
- ২০০৪ সালে হাইকোর্ট রিট খারিজ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বৈধ ঘোষণা করে।
- ২০০৫ সালে সুপ্রিম কোর্টে আপিল দায়ের হয় এবং বিভিন্ন অ্যামিকাস কিউরি মতামত প্রদান করেন।
- ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগ ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে।
- ২০১১ সালের ৩০ জুন পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয়।
আবেদন ও পুনর্বিবেচনা
- ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ও অন্যান্য ব্যক্তি পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন।
- বিএনপি ও জামায়াতও পৃথকভাবে পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছেন।
- মোট চারটি রিভিউ আবেদন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানিতে ওঠে।




