জাতিসংঘ অধিবেশনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস অংশগ্রহণ করতে আজ যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন। তার সঙ্গে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির শীর্ষ নেতারা আছেন। সেখানে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে বৈঠক করবেন তিনি ।
এদিকে জাতিসংঘের উদ্যোগে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারে রোহিঙ্গা বিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই সম্মেলনকে বলা হচ্ছে রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান জানিয়েছেন, কক্সবাজারে অনুষ্ঠেয় সম্মেলনটি জাতিসংঘের বৃহত্তর অধিবেশনের প্রস্তুতির অংশ। এতে রোহিঙ্গাদের কণ্ঠস্বর তুলে ধরার জন্য বিশেষ প্রচেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, “বিশ্বের ১০৬টি দেশ এই সম্মেলনকে সমর্থন দিয়েছে। এটি রোহিঙ্গাদের জন্য ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য সমাধানের পথ তৈরি করবে।”
জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্ররা এই সম্মেলনে অংশ নেবেন; রোহিঙ্গাদের ভয়েস পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ কাজ করছে। এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য এক বাস্তব ও মানবিক দায়িত্ব বলে উপদেষ্টা মনে করেন।
কিন্তু এই সংকটের পথ সহজ নয়। দীর্ঘদিন ধরে চলমান নির্যাতন, বিতাড়ন ও মানবিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জটিলতা রয়েছে। মায়ানমারের অংশগ্রহণ ও রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি ছাড়াও আর্থিক ও নিরাপত্তা বিষয়ক বাধা রয়ে গেছে।
বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমন্বিত পদক্ষেপ ও সহযোগিতা ছাড়া রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন সম্ভব নয়। বাংলাদেশ সরকারের আশাবাদ, আন্তর্জাতিক সম্মেলনটি এই লক্ষ্যে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।