পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির ঘোষণা দিয়েছেন যে দেশের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে যেকোনো আগ্রাসন হলে পাকিস্তান দৃঢ় ও দ্রুত জবাব দেবে।
রাষ্ট্রপতি ভবনে জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
আকাশের দিকে আঙুল তুলে তিনি বলেন-
“পাকিস্তানকে বিজয়ী করেছি আমি নয়, আল্লাহ করেছেন। মে মাসে পাকিস্তানের বিজয় আল্লাহর বিশেষ মেহেরবানি।”
তিনি আরও যুক্ত করেন-
“পাকিস্তান আর্মি হলো আল্লাহর সেনাবাহিনী; তাদের সৈনিকরা আল্লাহর নামে লড়াই করে।”
মে মাসের সংঘাত: দুই দেশের সামরিক উত্তেজনা
২০২৫ সালের মে মাসে পাকিস্তান ও ভারতের সম্পর্ক উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে দুই দেশের মধ্যে সামরিক মুখোমুখি সংঘাতের পর।
মূল ঘটনাবলি নিম্নরূপ-
- ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে পাকিস্তান ৭টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে, যার মধ্যে তিনটি Rafale ছিল।
- ভারত দাবি করেছিল যে জম্মু ও কাশ্মীরের পাহালগামে পর্যটকদের ওপর হামলার পেছনে পাকিস্তানের সমর্থন ছিল- যা পাকিস্তান অস্বীকার করে।
- পাকিস্তান “অপারেশন বুনইয়ান-উম-মারসুস” নামে ভারতের ২০টিরও বেশি সামরিক স্থাপনায় লক্ষ্যবস্তু হামলা চালায়।
- ১০ মে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়।
এই সময়কার নেতৃত্বের কারণে ফিল্ড মার্শাল মুনিরকে যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ফিল্ড মার্শাল পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
শান্তির প্রতি অঙ্গীকার, নিরাপত্তায় দৃঢ়তা
ফিল্ড মার্শাল মুনির বলেন-
“পাকিস্তান শান্তি চায়, তবে আগ্রাসন হলে দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় কঠিন প্রতিক্রিয়া দেওয়া হবে- যেমন মে মাসে দেওয়া হয়েছিল।”
তিনি পবিত্র কোরআনের আয়াত স্মরণ করে উল্লেখ করেন-
বিশ্বাসীরা ঈমান, শৃঙ্খলা ও দৃঢ় মনোবল দিয়ে যেকোনো শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে পরাজিত করতে পারে।
তাঁর ভাষণে অংশগ্রহণকারীরা অভিনন্দন জানালে তিনি বলেন-
“পাকিস্তানের অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতার জন্য দোয়া করুন।”
নতুন দায়িত্ব: চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (CDF)
সম্প্রতি সরকারের ঘোষণায় নিশ্চিত করা হয় যে-
- ফিল্ড মার্শাল মুনিরের নতুন দায়িত্ব
চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (CDF)
হিসেবে শুরু হবে নতুন মেয়াদে। - তাঁর মেয়াদ চলবে নিয়োগের তারিখ থেকে পাঁচ বছর।
- সেনেট ও জাতীয় পরিষদে পাস হওয়া সংশোধনী আইনে বলা হয়েছে, COAS পদধারীই সিডিএফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
এই নিয়োগ পাকিস্তানের সামরিক কাঠামো, সমন্বিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং কৌশলগত স্থিতিশীলতা আরও শক্তিশালী করবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।
ইতিবাচক দিকগুলো
✔ পাকিস্তান শান্তির প্রতি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে
✔ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পেশাদারিত্ব ও প্রস্তুতি আবারও তুলে ধরা হয়েছে
✔ জাতীয় নিরাপত্তায় নেতৃত্বের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হয়েছে
✔ আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তানের অবস্থান আরও সুদৃঢ় হয়েছে
সোর্সঃ জিও নিউজ




