ব্যস্ত জীবনযাত্রার কারণে অনেকেই নিজেদের যত্ন নিতে পারেন না। বিশেষ করে হাত ও পায়ের যত্ন নিতে হলে ভাবতে হয় পার্লারে যাওয়া, সময় দেওয়া, আর খরচের কথা। কিন্তু যদি বলি, আপনি ঘরেই খুব সহজে পেশাদার মানের ম্যানিকিউর ও পেডিকিউর করতে পারেন?
হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন! ঘরে বসেই হাতে ও পায়ে গ্লো আনতে পারবেন, তাও খুব কম খরচে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ঘরে কীভাবে ম্যানিকিউর ও পেডিকিউর করবেন ধাপে ধাপে।
কী কী লাগবে? (প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র)
শুরু করার আগে নিচের জিনিসগুলো হাতের কাছে রাখুন:
- নেইল পলিশ রিমুভার ও তুলো
- হালকা গরম পানি (হাত ও পা ভেজানোর জন্য)
- বাথ সল্ট বা শ্যাম্পু
- নেইল ফাইল ও নেইল কাটার
- কিউটিকল পুশার বা অরেঞ্জ স্টিক
- স্ক্রাবার বা বডি স্ক্রাব
- ময়েশ্চারাইজার / হ্যান্ড ও ফুট ক্রিম
- কিউটিকল অয়েল (ঐচ্ছিক)
- নেইল পলিশ (ঐচ্ছিক)
- পেমিস স্টোন (পেডিকিউরের জন্য)
ম্যানিকিউর: ঘরেই করুন সহজভাবে
ধাপ ১: নেইল পলিশ পরিষ্কার করুন
প্রথমে তুলায় রিমুভার নিয়ে পুরনো নেইল পলিশ মুছে ফেলুন।
ধাপ ২: হাত ভিজিয়ে রাখুন
হালকা গরম পানিতে বাথ সল্ট বা শ্যাম্পু মিশিয়ে ১০-১৫ মিনিট হাত ভিজিয়ে রাখুন।
ধাপ ৩: কিউটিকলের যত্ন
হাত মুছে নিয়ে কিউটিকল পুশার দিয়ে কিউটিকল পেছনে ঠেলে দিন। কাটবেন না।
ধাপ ৪: নখ ফাইল করুন
নেইল কাটার দিয়ে নখ ছোট করে কেটে নিন এবং ফাইল দিয়ে মসৃণ করুন।
ধাপ ৫: স্ক্রাব করুন
হাত স্ক্রাব দিয়ে ঘষে নিন। এতে মৃত কোষ দূর হবে।
ধাপ ৬: ময়েশ্চারাইজ করুন
হাত ধুয়ে ভালো করে ক্রিম লাগান। কিউটিকলে অয়েল ব্যবহার করলে আরও ভালো।
পেডিকিউর: পায়ের যত্ন এখন ঘরেই
ধাপ ১: পা ভিজিয়ে রাখুন
একইভাবে বাথ সল্ট বা শ্যাম্পু মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন।
ধাপ ২: নখ ও কিউটিকল কাটুন
পায়ের নখ কেটে ফাইল করুন। কিউটিকল আলতো করে পেছনে ঠেলে দিন।
ধাপ ৩: স্ক্রাব ও পেমিস স্টোন
পায়ের গোড়ালি স্ক্রাব করে পেমিস স্টোন দিয়ে মৃত চামড়া তুলে ফেলুন।
ধাপ ৪: ময়েশ্চারাইজ করুন
পা ধুয়ে ফুট ক্রিম বা ঘন ময়েশ্চারাইজার লাগান। পায়ের আঙুলের ফাঁকেও ভালোভাবে লাগান।
ঘরোয়া টিপস – একটু বাড়তি যত্ন
- প্রাকৃতিক উপাদান: গরম পানিতে লেবু ও গোলাপজল মিশিয়ে রাখলে নখ উজ্জ্বল হয়।
- নিয়মিত যত্ন: সপ্তাহে অন্তত একদিন এই রুটিন অনুসরণ করুন।
- ভালো খাবার: প্রোটিন ও ভিটামিন-সমৃদ্ধ খাবার খেলে নখ থাকে মজবুত।
ঘরে বসে ম্যানিকিউর ও পেডিকিউর করলে শুধু টাকা সাশ্রয় হয় না, আপনি নিজের জন্য কিছু সময়ও বের করতে পারেন। এই ছোট্ট রুটিন আপনাকে এনে দিতে পারে নতুন আত্মবিশ্বাস এবং স্বস্তি।
তাহলে আর দেরি কেন? আজই নিজের যত্ন নেওয়া শুরু করুন!