পূজা মানেই নতুন পোশাক, উজ্জ্বল রঙ আর অনাবিল আনন্দ। প্রতিটি পূজার দিনে আমরা নিজেকে সাজিয়ে তুলি রঙিন পোশাকে, যা উৎসবের মাহাত্ম্য আরও বাড়িয়ে দেয়। ঐতিহ্যবাহী শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, ধুতি-পাঞ্জাবি থেকে শুরু করে আধুনিক ফিউশন পোশাক-সবই এই আনন্দময় সময়ের অংশ।
রঙের মাধুরী:
পূজার পোশাকে রঙের কোনো বাঁধা নেই। নারীরা লাল, হলুদ, সবুজ, নীল বা গোলাপী রঙের শাড়ি বা কুর্তি পরে নিজেকে সাজান। পুরুষরা সাদা পাঞ্জাবির সঙ্গে রঙিন ধুতি বা পাজামা পরে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মেলবন্ধন ঘটান। শিশুরাও হালকা রঙের পোশাকে পূজার আনন্দে মেতে ওঠে।

ঐতিহ্য ও আধুনিকতা:
ঐতিহ্যবাহী তাঁতের শাড়ি, কাঁথাস্টিচ, বালুচরি বা জামদানি পোশাক পূজার সাজে এক অন্যরকম মাত্রা যোগ করে। আধুনিক যুগে ফিউশন পোশাকও জনপ্রিয়-যেমন শাড়ির সঙ্গে জ্যাকেট, বা পাশ্চাত্য স্টাইলের পোশাকে দেশীয় মোটিফ। রঙের ব্যবহারেও নতুনতা আনা হচ্ছে-নিউড, পাস্টেল শেড বা বোল্ড কনট্রাস্ট।
পোশাক নির্বাচনের টিপস:
- আরামদায়ক কাপড়: পূজার দীর্ঘ অনুষ্ঠানে হালকা ও শ্বাস-প্রশ্বাস যোগ্য কাপড় (যেমন তুলো, সিল্ক, লিনেন) বেছে নিন।
- আবহাওয়া অনুযায়ী: বর্ষায় হালকা রঙ, শীতে গরম কাপড় (যেমন ওয়াল, সিল্ক) পরুন।
- অ্যাকসেসরিজ: পোশাকের সঙ্গে মানানসই গয়না, ব্যাগ ও জুতো যোগ করুন। ঐতিহ্যবাহী শঙ্খ, চুড়ি বা মুক্তোর গয়না সাজে নতুন মাত্রা যোগ করে।
পূজার আনন্দ শুধু প্রার্থনায় নয়, পোশাকেও প্রকাশ পায়। রঙিন পোশাক পরে নিজেকে সাজিয়ে তুলুন, কারণ এই উৎসব আপনার ব্যক্তিত্ব আর আনন্দকে আরও উজ্জ্বল করবে!