ইসলামের ইতিহাসে এমন কিছু ঘটনা আছে, যা মানুষের বিশ্বাসকে আরও দৃঢ় করে। সূরা ফীল ঠিক সেই ধরনের একটি সূরা। মাত্র পাঁচ আয়াতের হলেও এতে আছে আল্লাহর কুদরতের জীবন্ত প্রমাণ, অহংকারের কঠিন পরিণতি এবং দুর্বলের প্রতি আল্লাহর বিশেষ সুরক্ষা।
এই গাইডে আমরা সূরা ফীল বাংলা উচ্চারণ, আরবি, অর্থ, তাফসীর, ইতিহাস, শিক্ষা ও ফজিলত-সবকিছু বিস্তারিতভাবে জানব।
সূরা ফীল পরিচিতি
সূরা ফীল কুরআনের ১০৫ নম্বর সূরা। এটি মক্কায় নাজিল হয়। এই সূরার প্রধান বিষয় হলো-ইয়েমেনের শাসক আব্রাহা যখন হাতি বাহিনী নিয়ে কাবায় হামলা করতে আসে, তখন আল্লাহ কীভাবে তাকে ধ্বংস করেন।
সূরাটির মূল বার্তা-
- আল্লাহ সব সময় সত্য ও ন্যায়ের রক্ষা করেন
- অহংকার ও অবিচারের পরিণতি কখনো ভালো হয় না
- দুর্বল হলেও আল্লাহর সাহায্য পেলে কেউ পরাজিত হয় না
সূরার গুরুত্ব
- কুরআনের অন্যতম ঐতিহাসিক সূরা
- আল্লাহর শক্তির এক অনন্য চিত্র
- ছোট শক্তি দিয়ে বড় শক্তিকে পরাস্ত করার শিক্ষা
- আল্লাহর রহমত ও ক্ষমতার প্রতীক
সূরা ফীলের ইতিহাস ও নাজিলের প্রেক্ষাপট
সূরা ফীল কেন নাজিল হয়েছিল
এ সূরাটি মূলত আব্রাহার কাহিনিকে স্মরণ করানোর জন্য নাজিল হয়। আরবরা এই ঘটনা ভুলে যাক-আল্লাহ তা চাননি। কারণ এতে ছিল ঈমানের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা।
মুহাম্মদ (সা.) এর সময়ের গুরুত্ব
রাসূল (সা.)–এর জন্ম হয়েছিল সেই বছরেই-যার নাম হাতির বছর (عام الفيل)।
এ ঘটনা মক্কার ইতিহাসে এত বড় প্রভাব ফেলেছিল যে আরবরা বছর গণনা করত এই ঘটনার ভিত্তিতে।
সূরা ফীলের ভাষাগত বিশ্লেষণ
‘ফীল’ শব্দের আরবি ব্যাকরণিক দিক
- ফীল (فيل) = হাতি
- একবচন
- আরবিতে সাধারণত বড় প্রাণী বোঝাতে ব্যবহৃত হয়
সূরার শব্দচয়ন ও ভাষাগত সৌন্দর্য
এই সূরার শব্দগুলি ছোট, তীক্ষ্ণ ও শক্তিশালী। প্রতিটি শব্দের মাঝে আছে ভয়, উত্তেজনা ও বিস্ময়ের অনুভূতি। আয়াতগুলো যেন চোখের সামনে ঘটনার ছবি আঁকে।
সূরা ফীলের কাহিনি অন্যান্য ইসলামী গ্রন্থে
ইসলামিক ইতিহাসবিদদের বর্ণনা
- আক্রমণ: ইয়েমেনের শাসক আব্রাহা, মক্কার বাইতুল্লাহ (কাবা শরীফ) ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে এক বিশাল বাহিনী নিয়ে কাবা অভিমুখে যাত্রা করেন। তার বাহিনীর সাথে ছিল বিশাল সংখ্যক হাতি।
- পবিত্র কাবা: এই আক্রমণ পবিত্র বাইতুল্লাহর প্রতি এক চরম অবমাননাকর প্রচেষ্টা ছিল।
- পাখির আক্রমণ: যখন আব্রাহার বাহিনী কাবার কাছে পৌঁছে, তখন দলবদ্ধভাবে উড়ে আসা এক ঝাঁক পাখি তাদের ওপর কঙ্কর বর্ষণ করে।
- সেনাবাহিনীর পরিণতি: পাখির ছোঁড়া কঙ্কর বা ছোট নুড়িগুলো আব্রাহার বাহিনীর ওপর আঘাত হানে, যার ফলে হাতীসহ অন্যান্য প্রাণীরা দ্রুত মারা যায় এবং সৈন্যরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। ইয়েমেনে পালিয়ে যাওয়ার সময় আব্রাহা গুরুতর আহত অবস্থায় মারা যায়।
ইবনে ইসহাক, ইবনে হিশামসহ বহু ইতিহাসবিদ এই ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন।
তাফসীর ইবনে কাসীর
ইবনে কাসির উল্লেখ করেছেন যে, হস্তীবাহিনীকে কাবা গৃহ ধ্বংসের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু আল্লাহ নগণ্য পক্ষীকূলের মাধ্যমে তাদের প্রতি এমন শাস্তি পাঠান যে তারা সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।
তাবারী ও কুরতুবীর বর্ণনা
তাবারী -এটি আল্লাহর এক অলৌকিক শাস্তির উদাহরণ।
কুরতুবী -এই সূরা প্রমাণ করে আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া কোনো শক্তি কাজ করে না।
আব্রাহার হাতি বাহিনী ও কাবা আক্রমণ
আব্রাহার উদ্দেশ্য
আব্রাহা চেয়েছিল সবাই তার গির্জায় ইবাদত করুক। মক্কা ছিল ব্যবসা ও ধর্মের কেন্দ্র। এটি ধ্বংস করলে আরবের ধর্মীয় গুরুত্ব বদলে যেত।
হাতির বছর (عام الفيل)
এই বছর এতই গুরুত্বপূর্ণ যে রাসূল (সা.)–এর জন্মও এ বছরের ঘটে। আরবদের স্মৃতিতে এটি অমর হয়ে আছে।
ঘটনাস্থল ও ঐতিহাসিক প্রমাণ
- হাতি মক্কার বাইরে থেমে যায় এবং বসে পরে
- আল্লাহ তাদের উপর পাঠান পাখির বাহিনী
- ইতিহাসে বহু লেখক এই স্থানের বর্ণনা দিয়েছেন
আবাবিল পাখির প্রকৃত পরিচয়
আবাবিল কি বাস্তব পাখি ছিল?
বেশিরভাগ আলেম বলেন-হ্যাঁ, এটি ছিল বাস্তব পাখি।
তারা ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে এসে পাথর নিক্ষেপ করেছিল।
মতপার্থক্য
কিছু আলেম বলেন-এ ছিল আল্লাহর বিশেষ বাহিনী।
আর কেউ বলেন-এটি হতে পারে প্রতীকী বর্ণনা।
আল্লাহর কুদরতের প্রকাশ
ছোট পাখি দিয়েই আল্লাহ বড় বাহিনীকে ধ্বংস করেন।
এটাই সূরার মূল শিক্ষা।
সূরা ফীলের ভৌগোলিক দিক
হাতি বাহিনী কোথায় ধ্বংস হয়েছিল?


মক্কার নিকটবর্তী জায়গায়। কেউ বলেন-মুযদালিফাহ ও মিনা’র মাঝে। আল্লাহর গজবে যে স্থানে আবরাহার বাহিনী ধ্বংস হয়েছিল সেটাকে ওয়াদি মুহাসসার বলা হয়।
স্থানটির গুরুত্ব
এ স্থান মুসলমানদের তীর্থযাত্রার পথের অংশ।
কি নিদর্শন আছে?
সরাসরি নেই, তবে সাহিত্যে বহু বর্ণনা পাওয়া যায়।
সূরা ফীল বাংলা উচ্চারণ, আরবি ও অর্থ
সূরা ফীল বাংলা উচ্চারণ
১. আলাম তারা কাইফা ফা’আলা রাব্বুকা বিআসহাবিল ফীল
২. আলাম ইয়াজআল কাইদাহুম ফি তাদলীল
৩. ওয়া আরসালা আলাইহিম তৈরান আবাবীল
৪. তারমি-হিম বিহিজারাতিম মিন সিজ্জীল
৫. ফাজা’আলাহুম কা’আসফিম মাআকূল
সূরা ফীল আরবি
- اَلَمۡ تَرَ كَیۡفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِاَصۡحٰبِ الۡفِیۡلِ ؕ
- اَلَمۡ یَجۡعَلۡ كَیۡدَهُمۡ فِیۡ تَضۡلِیۡلٍ
- وَّ اَرۡسَلَ عَلَیۡهِمۡ طَیۡرًا اَبَابِیۡلَ ۙ
- تَرۡمِیۡهِمۡ بِحِجَارَۃٍ مِّنۡ سِجِّیۡلٍ ۪ۙ
- فَجَعَلَهُمۡ كَعَصۡفٍ مَّاۡكُوۡلٍ
সূরা ফীল বাংলা অর্থ
১. তুমি কি দেখনি তোমার প্রতিপালক হাতীওয়ালাদের সাথে কী করেছিলেন?
২. তিনি কি তাদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেননি?
৩. তিনি তাদের বিরুদ্ধে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি পাঠিয়েছিলেন।
৪. যারা তাদের উপর পাথরের কংকর নিক্ষেপ করেছিল।
৫. অবশেষে তিনি তাদেরকে করেছিলেন চিবানো ঘাসের মত।
প্রতিটি আয়াতের তাফসীর (সংক্ষেপে)
আয়াত ১
১. “আপনি কি দেখেননি” (أَلَمْ تَرَ) — এর অর্থ কী?
এখানে আল্লাহ তাআলা বলেন:
“আপনি কি দেখেননি, আপনার রব হাতিওয়ালাদের সাথে কী করেছিলেন?”
যদিও এই ঘটনা নবী ﷺ–এর জন্মের আগের, তবুও কুরআনে “আপনি কি দেখেননি?” বলা হয়েছে। এর ব্যাখ্যা মুফাসসিররা দুইভাবে করেছেন-
(ক) সমগ্র আরববাসীকে সম্বোধন
- বাহ্যত সম্বোধন নবী ﷺ–কে হলেও উদ্দেশ্য কুরাইশ ও আরববাসী।
- তারা আবাবিল পাখি ও হাতিওয়ালাদের ঘটনা ভালোভাবেই জানত।
- কুরআনে বহু স্থানে এ ধরনের রীতি আছে- সম্বোধন এক ব্যক্তির প্রতি হলেও উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষ।
[কুরতুবী]
(খ) নিশ্চিত ঘটনার জ্ঞানকে ‘দেখা’ বলা
- আরবি ভাষায় এমন ঘটনা যা খুবই সুপরিচিত ও নিশ্চিত—তাকে “দেখা” বলা হয়, যদিও তা প্রত্যক্ষ না-ও হতে পারে।
- তাছাড়া কিছু প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনাও আছে।
- যেমন-কিছু রেওয়ায়েতে এসেছে যে আয়েশা ও আসমা (রাঃ) হাতিচালকদেরকে পরে অন্ধ, বিকলাঙ্গ ও ভিক্ষুকরূপে দেখেছিলেন।
[বাইহাকী: দালায়েলুন নুবূওয়াহ ১/৫২; আত-তাহরীর ওয়াত-তানওয়ীর]
সংক্ষিপ্ত সারমর্ম
“আপনি কি দেখেননি?” – এখানে উদ্দেশ্য দেখা নয়, বরং ঘটনার নিশ্চিত জ্ঞান, যা আরববাসীরা জানত, এবং কুরআন তাদের সেই সুপরিচিত ঘটনার কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।
আয়াত ২
সেই ব্যক্তিকে- যে কা‘বাঘর ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে এসেছিল। আল্লাহ তা‘আলা তার পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দিয়েছেন।
এখানে প্রশ্নরূপে (জিজ্ঞাসা করে) বলা হয়েছে, যাতে ঘটনার গুরুত্ব, নিশ্চিততা ও আল্লাহর কুদরতের প্রভাব আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
এটাকে বলা হয় ‘ইস্তিফহাম লিত-তাকরীর’-অর্থাৎ প্রশ্ন করে বিষয়টিকে আরো স্পষ্ট ও সাব্যস্ত (প্রমাণিত) করে তোলা।
(তাফসীর: আহসানুল বায়ান)
আয়াত ৩
أبابيل শব্দটির অনুবাদ করা হয়-
“ঝাঁকে ঝাঁকে”, অর্থাৎ দলবদ্ধভাবে একের পর এক আসা।
মুফাসসিরদের ব্যাখ্যা:
বলা হয় যে, এই ধরনের পাখি আরবরা আগে কখনও দেখেনি-এগুলো ছিল অচেনা, বিশেষ ধরণের পাখি, যাদের পাথর নিক্ষেপের মাধ্যমে আল্লাহ হাতিওয়ালাদের ধ্বংস করেন।
[কুরতুবী]
এটি একটি বহুবচন শব্দ—অর্থ: বহু ঝাঁক বা দল।
এটি কোনো নির্দিষ্ট প্রাণীর নাম নয়, বরং বিভিন্ন দিক থেকে আসা পাখির বহু দল বোঝায়।
[তাবারী]
আয়াত ৪
سِجِّيل (সিজ্জীল) শব্দের অর্থ-
“পোড়া মাটির কঙ্কর।”
[তাফসীর মুয়াস্সার]
মুফাসসিরদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী আরও কয়েকটি অর্থ পাওয়া যায়-
কেউ কেউ বলেন, এর অর্থ অতি কঠিন ও শক্ত পাথরের ছোট কঙ্কর।
[আদওয়াউল বায়ান]
ভেজা মাটি আগুনে পুড়ে শক্ত হয়ে যে কংকর তৈরি হয়, তাকে সিজ্জীল বলা হয়।
[জালালাইন]
আয়াত ৫
عصف (আসফ) শব্দের অর্থ-
“শুষ্ক তৃণ-লতা বা শুকনো খড়কুটো।”
এটি এমন একটি উদাহরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে, যা দ্রুত ও সম্পূর্ণ ধ্বংস হওয়া বোঝাতে।
মুফাসসিরদের ব্যাখ্যা:
কঙ্কর নিক্ষিপ্ত হওয়ার পর আবরাহার সেনাবাহিনীর অবস্থা ছিল এমন, যেমন শুষ্ক তৃণ বা খড়কুটো ভক্ষিত হয়ে যা হয়—তারা তেমনই ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল।
[তাবারী, ইবন কাসীর]
সূরা ফীলের মূল শিক্ষা ও নৈতিক শিক্ষা
আল্লাহর রহমতের প্রতি বিশ্বাস
যার পাশে আল্লাহ- তাকে কেউ হারাতে পারে না।
দোয়া ও ধৈর্যের গুরুত্ব
দোয়া মানুষের ঢাল।
অহংকারের শাস্তি
অহংকার মানুষকে ধ্বংস করে।
সূরা ফীলের ফজিলত
সূরা আল-ফিল আমাদের আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন করতে উৎসাহিত করে। এটি আমাদের শেখায় যে, আল্লাহ সব পরিস্থিতিতে বিশ্বাসীদের রক্ষা করতে সক্ষম এবং তিনি তাঁদের জন্য সব ধরনের কষ্ট কাটিয়ে ওঠার জন্য যথেষ্ট।
এটি আল্লাহর শক্তি ও কুদরতের প্রতি বিশ্বাস বৃদ্ধির পথ প্রদর্শন করে।
সূরা ফীল কী শিক্ষা দেয়?
আল্লাহ দুর্বলের রক্ষক
দুর্বল মানেই অসহায় নয়।
ছোট শক্তির বিজয়
ছোট পাখি, ছোট পাথর-কিন্তু ফল গণহত্যা।
সূরা ফীল পড়ার নিয়ম ও দোয়া
নিয়ম
- বিশুদ্ধ ভাবে তেলাওয়াত করা
- আয়াত ঠিক রেখে পড়া
দোয়া
“হে আল্লাহ, যেমন তুমি কাবাকে রক্ষা করেছ, তেমনি আমাকে সব বিপদ থেকে রক্ষা করো।”
সাধারণ ভুল ও সতর্কতা
উচ্চারণ ভুল
আবাবীল ও সিজ্জীল–এ টান ভুল হয়।
ধারাবাহিকতা ভুল
সকল সূরা পড়ার সময় প্রত্যেক আয়াত ধারাবাহিক ভাবে তেলাওয়াত করতে হবে।
সূরা ফীল বাংলা উচ্চারণ শেখার সহজ উপায়
ধ্বনিগত অনুশীলন
প্রতি শব্দ আলাদা করে মুখস্ত করুন এবং বার বার অনুশীলন করুন।
অডিও–ভিডিও
ইউটিউবে ক্বারি তিলাওয়াত শুনুন।
শিশুদের শেখানো
ছোট বাক্যে ভাগ করে আলাদা আলাদা হিফয শেখান।
সূরা ফীল ও আধুনিক গবেষণা
ঐতিহাসিক বিশ্লেষণ
ইতিহাসবিদরা একে শক্তিশালী প্রমাণ হিসেবে মনে করেন।
আবাবিলের পাথর ব্যাখ্যা
কেউ বলেন- অতি শক্ত পাথরের কঙ্কর
কেউ বলেন- ভেজা মাটি আগুনে পুড়ে শক্ত কঙ্কর
কেউ বলেন-অলৌকিক পাথর
শব্দভাণ্ডার বিশ্লেষণ
- কাইফা = কেমনভাবে
- তাদলীল = নষ্ট করা
- আবাবীল = ঝাঁকে ঝাঁকে
- সিজ্জীল = শক্ত কাদা বা পাথর
সূরা ফিলের বাংলা উচ্চারণ অর্থসহ – সাধারণ প্রশ্নোত্তর (FAQ)
প্রশ্ন: সূরা ফীল কোন সূরা এবং কোথায় নাজিল হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা ফীল কুরআনের ১০৫তম সূরা এবং এটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
প্রশ্ন: সূরায় মোট কয়টি আয়াত আছে?
উত্তরঃ ৫ টি
প্রশ্ন: ফিল অর্থ কী?
উত্তরঃ এটি আরবি শব্দ যার বাংলা অর্থ হস্তী বা হাতি।
প্রশ্ন: সূরা ফিল কোথায় নাজিল হয়েছিল?
উত্তরঃ মক্কায়
প্রশ্ন: সূরা ফিল পড়ার উপকারিতা কী?
উত্তরঃ আল্লাহর উপর ভরসা বৃদ্ধি করে এবং আল্লাহর সাহায্য ও সুরক্ষার প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপিত হয়।
প্রশ্ন: আবাবিল শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃ দলে দলে বা ঝাকে ঝাকে।
প্রশ্ন: আবাবিল কি সত্যিই পাখি?
উত্তরঃ কুরআনে আবাবিল শব্দ দলে দলে বা ঝাকে ঝাকে অর্থে বোঝানো হয়েছে।
প্রশ্ন: আব্রাহা কাবা কোথায় বানাতে চেয়েছিল?
উত্তরঃ আব্রাহা ইয়েমেনের রাজধানী সানাতে একটি নতুন কাবা তৈরি করতে চেয়েছিল। তার লক্ষ্য ছিল মক্কার কাবার (বাইতুল্লাহর) পরিবর্তে ইয়েমেনের এই নতুন স্থাপনাটিকে কেন্দ্র করে আরবদের তীর্থযাত্রা এবং প্রার্থনা পরিচালিত হোক।
প্রশ্ন: হাতির বছর বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ যে বছরে আল্লাহ তায়ালা আবরাহা সহ তার হস্তীবাহিনীকে ধ্বংস করে দেন।




