শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে দেশের বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সাময়িকভাবে অনলাইন ক্লাস পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ উদ্যোগকে অনেকেই দায়িত্বশীল ও আধুনিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।
বুধবার (১২ নভেম্বর) থেকে বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) পর্যন্ত অনলাইন ক্লাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি), ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি এবং সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করেই শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দ্রুত সশরীরে ক্লাসে ফেরার পরিকল্পনাও রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন,
“এটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব একাডেমিক সিদ্ধান্ত। শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার দিক বিবেচনায় অনলাইন ক্লাস একটি কার্যকর বিকল্প।”
অন্যদিকে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ULAB) জানায়, তারা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই সিদ্ধান্ত নেবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনগুলো শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দিয়েছে যেন অপ্রয়োজনে ক্যাম্পাসে না আসে এবং অনলাইন ক্লাসে স্বাভাবিক নিয়মে অংশগ্রহণ করে।
শিক্ষাবিদদের মতে, এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশে প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষার অভিযাত্রাকে আরও শক্তিশালী করবে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ক্লাস চালিয়ে যাওয়া মানে হলো- শিক্ষার্থীরা নিরাপদ থাকছেন, আবার শিক্ষা কার্যক্রমও থেমে থাকছে না।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এটি দেশের শিক্ষা খাতে একটি ইতিবাচক উদাহরণ হিসেবে কাজ করবে।




