বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মধ্যে সই হওয়া দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারক (MOU) এর অধীনে গম আমদানির তৃতীয় চালান দেশে এসে পৌঁছেছে। সরাসরি সরকারি (G2G) ক্রয়চুক্তির আওতায় আসা এই চালানে ৬০ হাজার ৮৭৫ টন গম রয়েছে, যা শুক্রবার মোংলা বন্দরের বহির্নোঙরে এসে নোঙর ফেলে। শনিবার প্রকাশিত সরকারি তথ্য বিবরণীতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
দীর্ঘমেয়াদি সমঝোতার অংশ হিসেবে গম আমদানি অব্যাহত
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সই হওয়া এমওইউ অনুযায়ী মোট ৪ লাখ ৪০ হাজার টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় তৃতীয় চালানটি দেশে পৌঁছেছে। খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখা, বাজারে স্থিতিশীলতা আনা এবং সরকারি গুদামগুলোর মজুত শক্তিশালী করতেই এই আমদানিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সমঝোতা স্মারকের অধীনে এ গম সম্পূর্ণ নগদ ক্রয় চুক্তিতে আনা হচ্ছে, যা দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করছে।
তিন চালানে এসেছে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার টন গম
এই চালানসহ যুক্তরাষ্ট্র থেকে এখন পর্যন্ত মোট তিনটি চালানে গম এসেছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৬৩৬ টন।
এর আগে-
- ২৫ অক্টোবর প্রথম চালানে আসে ৫৬ হাজার ৯৫৯ টন
- ৩ নভেম্বর দ্বিতীয় চালানে আসে ৬০ হাজার ৮০২ টন
- আর সর্বশেষ তৃতীয় চালানে এসেছে ৬০ হাজার ৮৭৫ টন
ক্রমাগত গম আসার ফলে সরকারি মজুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং খাদ্যশস্য সরবরাহ আরও স্থিতিশীল হচ্ছে।
বন্দরে নমুনা পরীক্ষার পর শুরু হবে খালাস
মোংলা বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছানো জাহাজ থেকে ইতোমধ্যে গমের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। খাদ্য অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলো পরীক্ষার ফল নিশ্চিত হওয়ার পর দ্রুত খালাস প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে বলে তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়েছে।
গম খালাস শেষে তা দেশের বিভিন্ন খাদ্যগুদামে পাঠানো হবে। সরকারি পর্যায়ে এমন ধারাবাহিক আমদানির ফলে আগামী কয়েক মাসের খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় বড় কোনো সংকটের আশঙ্কা নেই বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারে সরকার
বিশ্ববাজারে খাদ্যশস্যের মূল্য ওঠানামা এবং ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশ সরকার দীর্ঘমেয়াদি আমদানির উৎস নিশ্চিত করতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বৃহদাকার গম আমদানি সেই নীতিরই অংশ।
সরকারি পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী-
- বাজারে গমের সরবরাহ স্থিতিশীল থাকবে
- আটার দাম নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে
- সরকারি মজুত নিরাপদ মাত্রায় থাকবে
এই ধারাবাহিক আমদানি দেশের খাদ্যশস্য ব্যবস্থাপনায় নতুন গতি আনবে বলেও প্রত্যাশা করা হচ্ছে।




