নেপাল রাজনৈতিক অস্থিরতায় কেঁপে উঠেছে। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) শুরু হওয়া ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের পর দেশের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি পদত্যাগ করেছেন। মূলত দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এবং সামাজিক মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার কারণে তরুণরা রাস্তায় নেমে আসে।
বিক্ষোভ প্রধানত জেনারেশন জেড (Gen Z) এর তরুণরা নেতৃত্ব দিয়েছে। শহরজুড়ে হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করে। পুলিশ বিক্ষোভ দমন করতে গেলে সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ১৯ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হন।
সরকার জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় কাঠমান্ডুর কিছু এলাকায় অনির্দিষ্টকালের কারফিউ জারি করে। তবে বিক্ষোভকারীরা এটি উপেক্ষা করে। তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা সহ শীর্ষ নেতাদের বাসভবনে হামলার চেষ্টা করে।
অবশেষে মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারী। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তরুণ প্রজন্ম রাজনৈতিক দুর্নীতি ও মৌলিক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে।
বিশেষ করে সামাজিক মাধ্যম নিষেধাজ্ঞা তাদের ক্ষোভকে তীব্র করে। এই আন্দোলন সরকারের পতনের মূল কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। নেপালের ইতিহাসে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
রাজনৈতিক অস্থিরতার মাঝে এখন দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের উপর নজর রয়েছে। জনগণ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও এই পরিস্থিতি মনোযোগ দিয়ে দেখছে।