ডায়াবেটিস রোগীরা সঠিক নিয়ম মেনে ফল খেলে শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সহজেই পূরণ করা সম্ভব। তবে ফল বাছাই ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি। কারণ ভুল ফল বা অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে।
ডায়াবেটিসে ফল খাওয়ার সঠিক নিয়ম
- পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করুন: অল্প পরিমাণে ফল খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিরাপদ।
- পুরো ফল খান: ফলের রস নয়, পুরো ফল খাওয়া উত্তম, কারণ এতে আঁশ বজায় থাকে।
- কম মিষ্টি ফল বেছে নিন: আপেল, পেয়ারা, পেয়ারা, জাম, কমলালেবু ইত্যাদি ভালো বিকল্প।
- খাওয়ার সময়: দুপুরে বা খাবারের ২ ঘণ্টা পর ফল খাওয়া উত্তম।
- অন্য খাবারের সাথে না মেশানো: ফল খাওয়ার সময় ভাত, রুটি বা অন্যান্য কার্বোহাইড্রেট খাবার এড়িয়ে চলুন।
- রক্তের শর্করা পরীক্ষা করুন: নতুন কোনো ফল খাওয়ার পর শর্করার মাত্রা মাপুন।
- তাজা ফল বেছে নিন: প্রক্রিয়াজাত বা ক্যানজাত ফল এড়িয়ে চলা উচিত।
জাম: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের প্রাকৃতিক উপায়
জাম এমন একটি ফল যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুব কম, ফলে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- রক্তে শর্করা কমায়: জামে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
- ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে: এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: জামের আঁশ হজমে সাহায্য করে এবং পেটের সমস্যা কমায়।
- আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে: নিয়মিত জাম খেলে রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে সহায়তা করে।
- জামের বীজ ও পাতা উপকারী: জামের বীজ গুঁড়ো করেও খাওয়া যায়, এটি রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস রোগীরা প্রতিদিন সামান্য পরিমাণে জাম খেলে প্রাকৃতিকভাবে রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন।




