আজ ২০ অক্টোবর, বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস ২০২৫ পালিত হচ্ছে। এবারের প্রতিপাদ্য হলো সকলের জন্য মানসম্পন্ন পরিসংখ্যান নিশ্চিতকরণ। তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে এর গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশে দিবসটি জাতীয় পরিসংখ্যান দিবসের সাথে একযোগে উদযাপিত হচ্ছে।
বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস : উন্নয়নের অন্যতম হাতিয়ার
পরিসংখ্যান কেবল সংখ্যা নয়, বাস্তবতা বোঝার একটি শক্তিশালী মাধ্যম। এটি সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের পথ দেখায়। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নির্ভরযোগ্য উপাত্ত অপরিহার্য। জলবায়ু পরিবর্তন ও দারিদ্র্য বিমোচনে এর ভূমিকা অনস্বীকার্য।
বাংলাদেশের পদক্ষেপ: বিবিএস-এর স্বাধীনতা ও আধুনিকায়ন
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) একটি বিশেষজ্ঞ টাস্কফোর্স গঠন করেছে। টাস্কফোর্স বিবিএস-কে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে আইন সংশোধনের সুপারিশ করেছে। এর মাধ্যমে তথ্য প্রকাশে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ রোধ করা সম্ভব হবে। পরিকল্পনা উপদেষ্টা নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যানকে উন্নয়নের মূল ভিত্তি বলে উল্লেখ করেছেন।
প্রযুক্তি ও পরিসংখ্যান: নতুন যুগের চ্যালেঞ্জ
বিগ ডেটা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিসংখ্যানবিদদের নতুন করে ভাবায়। এখন বৃহৎ ডেটা থেকে প্রাসঙ্গিক তথ্য বের করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তথ্যকে সহজবোধ্য করে উপস্থাপন করার দায়িত্বও বেড়েছে। এই প্রযুক্তিগত অগ্রগতি পরিসংখ্যানের ক্ষেত্রকে আরও বিস্তৃত করেছে।
প্রধান উপদেষ্টার বাণী ও দিবসের আয়োজন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এসডিজি অর্জনে পরিসংখ্যানের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তিনি বিবিএস-এর আধুনিকায়নে সরকারের পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন। দিবসটি উপলক্ষে র্যালি ও সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। তথ্যের সর্বজনীন প্রাপ্যতা গণতন্ত্র ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।




