বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া হালাল বাণিজ্য সহযোগিতা নতুন করে সম্ভাবনার দার তৈরি করছে। মালয়েশিয়ার ঐতিহাসিক মালাক্কা রাজ্যে আয়োজিত ‘মালাক্কা ইন্টারন্যাশনাল হালাল ফেস্টিভ্যাল ২০২৫’-এ দ্বিতীয়বারের মতো অংশ নিয়ে বাংলাদেশ তার রপ্তানি সক্ষমতা ও হালাল শিল্পে অগ্রগতি তুলে ধরে।
দুই দেশের ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হচ্ছে
বাংলাদেশ হাইকমিশনার মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরী বলেন, মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের হালাল বাণিজ্য অংশীদারিত্ব আরও গভীর করার আগ্রহ রয়েছে।
তিনি মালাক্কার মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএবি দাতুক সেরি উতামা আব রউফ বিন ইউসুহের সহযোগিতা চান এবং ভবিষ্যতে আরও বেশি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান এই মেলায় অংশ নেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আসিয়ান বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য পণ্যের সম্ভাবনা
বাংলাদেশ হাইকমিশনার অতিথিদের জানান, মালয়েশিয়া ও আসিয়ান অঞ্চলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, পাট ও চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক, ওষুধ, প্লাস্টিক এবং খাদ্য ও পানীয়ের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ আসিয়ান অঞ্চলে হালাল পণ্যের নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী হতে চায়।”
প্রাণ কোম্পানির অংশগ্রহণ ও পণ্যের প্রদর্শনী
এই উৎসবে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহায়তায় ‘প্রাণ’ কোম্পানি অংশ নেয় এবং তাদের জনপ্রিয় খাদ্য ও পানীয় পণ্য প্রদর্শন করে।
মেলার উদ্বোধন শেষে মালাক্কার মুখ্যমন্ত্রী ও অতিথিরা বাংলাদেশের স্টল পরিদর্শন করেন এবং বাংলাদেশের পণ্যের মানের প্রশংসা করেন।
হাইকমিশনের প্রচেষ্টা ও অর্জন
বাংলাদেশ হাইকমিশন জানায়, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের পণ্যের চাহিদা বাড়ছে।
২০২৫ সালে তারা এখন পর্যন্ত চারটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশ নিয়েছে, যা বাংলাদেশি পণ্যের ব্র্যান্ড ভ্যালু ও আস্থা বাড়াতে ভূমিকা রাখছে।
এই মেলায় প্রদর্শিত হয়েছে ডিসেম্বর মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় ‘গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো ২০২৫’-এর তথ্য, বিনিয়োগ ও পর্যটন সম্পর্কিত প্রকাশনা এবং ভিডিও ডকুমেন্টারি।
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও সম্মাননা
মেলার শেষ দিনে বাংলাদেশ হাইকমিশনকে সফল অংশগ্রহণের স্বীকৃতি হিসেবে সম্মাননা স্মারক ও সনদ প্রদান করে আয়োজক প্রতিষ্ঠান।
এই অর্জন বাংলাদেশের জন্য হালাল পণ্যের বৈশ্বিক বাজারে এক ইতিবাচক বার্তা বয়ে আনছে।
বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া হালাল বাণিজ্য সহযোগিতা কেবল দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে নয়, বরং সমগ্র আসিয়ান অঞ্চলে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।
এই উদ্যোগ ভবিষ্যতে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।




