বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে পর্যটন ও বাণিজ্য সম্ভাবনা নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর সুযোগ তৈরি হচ্ছে। সম্প্রতি লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম ও ওল্ডহ্যাম শহরের মেয়র কাউন্সিলর এডি মুরের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক সৌহার্দ্যপূর্ণ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে পর্যটন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয় নিয়ে গভীর আলোচনা হয়। বৈঠকে উভয় পক্ষ ভবিষ্যতে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করার আগ্রহ প্রকাশ করেন, যা দুই দেশের জনগণের জন্য ইতিবাচক সুযোগ তৈরি করবে।
দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হচ্ছে
বৈঠকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা, উন্নয়নধারা এবং বিনিয়োগের উন্মুক্ত পরিবেশ সম্পর্কে মেয়রকে অবহিত করেন হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম। যুক্তরাজ্যের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ, বিশেষ করে টেক্সটাইল, আইটি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য দীর্ঘদিন ধরে বাণিজ্যিক অংশীদার। আলোচনার মাধ্যমে এই সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণের আশা ব্যক্ত করা হয়, যা দুই দেশের অর্থনীতিতে একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
পর্যটন উন্নয়নে যুক্তরাজ্যকে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার ভাবছে বাংলাদেশ
বাংলাদেশের বৈচিত্র্যময় পর্যটন সম্ভাবনা – কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকত, সুন্দরবন, সিলেটের পাহাড়ি সবুজ ও ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি – যুক্তরাজ্যের পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় হতে পারে।
বৈঠকে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের আকর্ষণীয় পর্যটন স্পটগুলো প্রচারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়।
এছাড়াও দুই দেশের মধ্যে ফ্লাইট সংযোগ, ভিসা সহযোগিতা ও পর্যটন-বান্ধব উদ্যোগ আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
ব্রিটিশ-বাংলাদেশি প্রবাসীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার স্বীকৃতি
বৈঠকে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের দুই দেশের সম্পর্ক জোরদারে অসামান্য অবদানকে বিশেষভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
তাদের সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভূমিকা দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করছে।
উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ আলোচনাকে আরও সমৃদ্ধ করেছে
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন-
- ম্যানচেস্টারে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার জোবায়েদ হোসেন
- মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) শাহরিয়ার মোশাররফ
- কমিউনিটি লিডার ও কাউন্সিলরবৃন্দ
তাদের উপস্থিতিতে আলোচনা আরও ফলপ্রসূ ও কার্যকর হয়।
নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলছে
বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে পর্যটন ও বাণিজ্য সহযোগিতা বৃদ্ধির এই আলোচনা ভবিষ্যতে আরও উন্নয়ন সম্ভাবনা তৈরি করবে।
এটি দুই দেশের অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও জনগণের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে- যা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আর শক্তিশালী করবে।




