ডাকসু নির্বাচন আগামী দিনের রাজনীতির গ্রামার হাতে তুলে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি) সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। তার মতে ডাকসু নির্বাচন আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে ভবিষ্যৎ রাজনীতি কেমন হবে। ফুয়াদ বলেন ১৯৯১, ১৯৯৬ বা ২০০১ সালের রাজনৈতিক ম্যাট্রিক্স দিয়ে এই নির্বাচনের বিচার করলে ভুল হবে। কারণ এটি সম্পূর্ণ নতুন বাস্তবতা, যেখানে তরুণ প্রজন্ম আগামী দিনের রাজনীতির দিকনির্দেশনা দিচ্ছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য
গতকাল বরিশাল প্রেস ক্লাবে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, “জনআকাঙ্ক্ষা ও সময়কে যদি আমরা সঠিকভাবে বুঝতে না পারি, তবে সেটা আমাদের জন্য বড় ভুল হবে। এই নির্বাচনকে ইসলামপন্থিদের বিজয়, জামায়াত-শিবিরের উত্থান বা মৌলবাদী শক্তির জয় হিসেবে যারা দেখছে, তারা আসলে তরুণদের রাজনৈতিক চিন্তাকে বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, যেমন আওয়ামী লীগ গণ-অভ্যুত্থানকে সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেনি, তেমনি বিএনপি, বাম রাজনীতি ও বুদ্ধিজীবী মহলও ডাকসু নির্বাচনের আসল বার্তাটি ধরতে পারছে না।
অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতির ইঙ্গিত
আসাদুজ্জামান ফুয়াদের মতে, নির্বাচন শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ, বিএনপি বা জাতীয় পার্টিকে কেন্দ্র করে অন্তর্ভুক্তিমূলক হয় না। ডাকসু নির্বাচন প্রমাণ করেছে- আওয়ামী লীগের বাইরে অন্য দল ও প্রার্থীও আছে, যারা জামায়াত-শিবিরকে ভোট দেয়নি। এমনকি ছাত্রলীগের সঙ্গে আঁতাত করে জামায়াত-শিবির ভোট পেয়েছে এ ধরনের ব্যাখ্যা সম্পূর্ণ ভুল।
তরুণদের রাজনৈতিক বার্তা
তিনি মনে করেন, ডাকসু নির্বাচন আসলে তরুণদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণের নতুন গ্রামার তৈরি করেছে। এ বার্তা আগামী দিনের রাজনীতিকে বদলে দেবে এবং জাতীয় রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলবে।
: ডাকসু নির্বাচন আগামী দিনের রাজনীতির গ্রামার: আসাদুজ্জামান ফুয়াদের বিশ্লেষণ