পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি মিলতে পারে- এমন খবরে দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের বাজারে হঠাৎই কমে গেছে পেঁয়াজের দাম। একদিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে এই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম।
গতকালও যেখানে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল ১০০ টাকা দরে, সেখানে আজ তা নেমে এসেছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে আমদানির অনুমতি দিলে দাম আরও কমে আসবে।
বিক্রেতাদের মন্তব্য
হিলি বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী শাকিল খান জানান, “দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার সরকারি ঘোষণা আসতে পারে, এমন খবর ছড়িয়ে পড়তেই কৃষক ও মজুতদাররা আগের চেয়ে কম দামে পেঁয়াজ ছাড়তে শুরু করেছেন। ফলে মোকামে মণপ্রতি দাম ৫০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। আমদানি শুরু হলে বাজার আরও স্থিতিশীল হবে।”
ক্রেতাদের স্বস্তি
দামের পতনে নিম্নআয়ের মানুষদের মধ্যে দেখা দিয়েছে স্বস্তি। তাদের প্রত্যাশা পেঁয়াজের দাম যেন আগের মতো স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরে আসে।
ক্রেতা মকসুদ আলী বলেন, “সপ্তাহখানেক আগেও পেঁয়াজের দাম ছিল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। হঠাৎ কয়েকদিনে তা ১০০ টাকায় পৌঁছে যায়। আজ কিনলাম ৮৫ টাকায় তাও কিছুটা স্বস্তির।”
আরেকজন ক্রেতা জানান, “মাত্র একদিনেই ১০ টাকা কেজিতে কমেছে দাম। তবে বাজারে সিন্ডিকেটের কারণে এভাবে ওঠানামা হচ্ছে। সরকারের উচিত এ বিষয়ে কঠোর নজরদারি বাড়ানো, না হলে সাধারণ মানুষই পড়বে বিপাকে।”
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ভারতসহ প্রতিবেশী দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির কার্যক্রম শুরু হলে বাজারে সরবরাহ বাড়বে এবং খুচরা দামে আরও পতন ঘটবে।




