বুধবার, নভেম্বর ১৯, ২০২৫

যোহরের নামাজের নিয়ম, রাকআত ও ফজিলত সংক্রান্ত সহিহ হাদিস

বহুল পঠিত

যোহরের নামাজ ইসলামের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের দ্বিতীয় নামাজ, যা সূর্য ঢলে পড়ার পর আদায় করা হয়। এটি আল্লাহর নির্দেশিত এক মহান ইবাদত, যা মানুষকে ধৈর্য, শৃঙ্খলা ও শান্তির পথে রাখে।

যোহরের নামাজের নিয়ম

যোহরের নামাজের রাকাত সংখ্যা

যোহরের নামাজে মোট ১২ রাকাত
এর মধ্যে-

  • ৪ রাকাত সুন্নত মুয়াক্কাদা (ফরজের আগে)
  • ৪ রাকাত ফরজ
  • ২ রাকাত সুন্নত (ফরজের পর)
  • ২ রাকাত নফল

জোহরের নামাজের সময়

যোহরের নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয় সূর্য যখন মধ্য আকাশ থেকে পশ্চিমে হেলে পড়ে, তখন থেকে।

জোহরের নামাজের ওয়াক্ত শুরু

যখন সূর্যের ছায়া একটি বস্তুর সমান হয় (যোহরের শুরু)।

জোহরের নামাজের শেষ সময়

আসর নামাজের শুরু পর্যন্ত যোহরের নামাজের সময় থাকে। দেরি না করে ওয়াক্তের শুরুতেই আদায় করা উত্তম।

যোহরের নামাজের নিয়ত

যেকোন আমলের জন্য নিয়ত করা অত্যান্ত জরুরী। নিয়ত ছাড়া কোন আমলই শুদ্ধ হয় না। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন , “নিশ্চয়ই প্রত্যেক আমলসমূহই তো নিয়তের উপরেই নির্ভরশীল।” (বুখারী,মুসলিম, মিশকাত ১নং)

নামাজের নিয়ত মানে হলো কোনো নির্দিষ্ট নামাজের জন্য দৃঢ় সংকল্প করা। এটি মনে মনে বলা অথবা মনে মনে স্থির করা, যা নামাজকে বিশুদ্ধ করার জন্য অপরিহার্য। নির্দিষ্ট নামাজের জন্য (যেমন ফজর, যোহর, সুন্নত, নফল) সেই নামাজের নাম, রাকাত সংখ্যা এবং ফরয নাকি সুন্নাত, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য, ইত্যাদি মনে মনে পড়তে হয়। 

জোহরের চার রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত:

“আমি মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কেবলার দিকে দাড়িয়ে যোহরের ফরজ নামাজের পূর্বে ৪ রাকআত সুন্নত নামাজের জন্য প্রস্তুত হলাম নামাজ শুরু করলাম” (এভাবে নিজের মত করে মনে মনে বলতে পারেন।)

এরপর তাকবীরে তাহরিমা “আল্লাহু আকবর” বলে নামাজ শুরু করতে হবে।

জোহরের চার রাকাত ফরজ নামাজের নিয়ত:

“আমি মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কেবলার দিকে দাড়িয়ে যোহরের ৪ রাকআত ফরজ নামাজের জন্য প্রস্তুত হলাম নামাজ শুরু করলাম” (এভাবে নিজের মত করে মনে মনে বলতে পারেন।)

এরপর তাকবীরে তাহরিমা “আল্লাহু আকবর” বলে নামাজ শুরু করতে হবে।

যোহরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত:

“আমি মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কেবলার দিকে দাড়িয়ে যোহরের ফরজ নামাজের পরে ২ রাকআত সুন্নত নামাজের জন্য প্রস্তুত হলাম নামাজ শুরু করলাম” (এভাবে নিজের মত করে মনে মনে বলতে পারেন।)

এরপর তাকবীরে তাহরিমা “আল্লাহু আকবর” বলে নামাজ শুরু করতে হবে।

যোহরের দুই রাকাত নফল নামাজের নিয়ত:

“আমি মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কেবলার দিকে দাড়িয়ে যোহরের ফরজ ও সুন্নাত নামাজের পরে ২ রাকআত নফল নামাজের জন্য প্রস্তুত হলাম নামাজ শুরু করলাম” (এভাবে নিজের মত করে মনে মনে বলতে পারেন।)

এরপর তাকবীরে তাহরিমা “আল্লাহু আকবর” বলে নামাজ শুরু করতে হবে।

যোহরের ফরজ নামাজের নিয়ম

যোহরের ফরজ হলো চার রাকাত, যা জামাতে আদায় করা উত্তম। প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহা এবং অন্য একটি সূরা (যেমন সূরা ইখলাস, সূরা কাওসার, যেকোনো একটি সুরা বা নিয়ম অনুযায়ী সুরার কিছু অংশ) পড়া হয়।

নীচে একদম সংক্ষিপ্তভাবে নিয়ম দেয়া হলোঃ

১️। নিয়ত করে তাকবীর বলুন এরপর ছানা পড়ুন
২️। সুরা ফাতিহা পড়ুন
৩️। এরপর যেকোনো সূরা পড়ুন বা নিয়ম অনুসারে সূরার কিছু অংশ পড়ুন
৪️। রুকু, সেজদা সম্পন্ন করুন (রুকু সেজদার দোয়া, তাসবিহ নিয়ম অনুযায়ী পড়ুন)
৫️। দ্বিতীয় রাকাতে বসার পর শুধু তাশাহুদ পড়তে হবে এবং তাশাহুদ পড়ার পর আবার দাঁড়াতে হবে।  ৬।শেষ রাকাতে তাশাহুদ, দরুদ ও দোয়া পড়তে হবে। এরপর সালাম ফেরাতে হবে। 

যোহরের ৪ রাকআত সুন্নাত নামাজের নিয়ম

ফরজ নামাজের আগে ও পরে সুন্নত নামাজ আদায় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নবী করিম (সা.) যোহরের আগে ও পরে সুন্নত নামাজ কখনো বাদ দিতেন না।

৪ রাকাত সুন্নত নামাজ সাধারণত দুইভাবে আদায় করা হয়: প্রথমটি হলো দুই রাকাত আলাদা আলাদা করে এবং দ্বিতীয়টি চার রাকাত একসাথে। প্রথম পদ্ধতি হলো দুই রাকাত করে ২ বার নামাজ পড়া, যেখানে প্রতি দুই রাকাতের পর সালাম ফেরানো হয়। দ্বিতীয় পদ্ধতি হলো, চার রাকাত এক সাথে পড়া, চার রাকাতের পর শুধু একবার তাশাহুদ (আত্তাহিয়াত) পাঠ করার পর সালাম ফেরানো হয়। 

নীচে একদম সংক্ষিপ্তভাবে নিয়ম দেয়া হলোঃ

১️। নিয়ত করে তাকবীর বলুন এরপর ছানা পড়ুন
২️। সুরা ফাতিহা পড়ুন
৩️। এরপর যেকোনো সূরা পড়ুন বা নিয়ম অনুসারে সূরার কিছু অংশ পড়ুন
৪️। রুকু, সেজদা সম্পন্ন করুন (রুকু সেজদার দোয়া, তাসবিহ নিয়ম অনুযায়ী পড়ুন)
৫️। দ্বিতীয় রাকাতে বসার পর শুধু তাশাহুদ পড়তে হবে এবং তাশাহুদ পড়ার পর আবার দাঁড়াতে হবে।  ৬।শেষ রাকাতে তাশাহুদ, দরুদ ও দোয়া পড়তে হবে। এরপর সালাম ফেরাতে হবে। 

যোহরের ২ রাকআত সুন্নাত নামাজের নিয়ম

নীচে একদম সংক্ষিপ্তভাবে নিয়ম দেয়া হলোঃ

১️। নিয়ত করে তাকবীর বলুন এরপর ছানা পড়ুন
২️। সুরা ফাতিহা পড়ুন
৩️। এরপর যেকোনো সূরা পড়ুন বা নিয়ম অনুসারে সূরার কিছু অংশ পড়ুন
৪️। রুকু, সেজদা সম্পন্ন করুন
৫️। দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহা ও অন্য একটি সূরা পড়ে নামাজ শেষ করুন।

যোহরের নফল নামাজের নিয়ম

যোহরের নামাজ শেষে নফল নামাজ পড়া মুস্তাহাব। এটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের অন্যতম উপায়।

নীচে একদম সংক্ষিপ্তভাবে নিয়ম দেয়া হলোঃ

১️। নিয়ত করে তাকবীর বলুন এরপর ছানা পড়ুন
২️। সুরা ফাতিহা পড়ুন
৩️। এরপর যেকোনো সূরা পড়ুন বা নিয়ম অনুসারে সূরার কিছু অংশ পড়ুন
৪️। রুকু, সেজদা সম্পন্ন করুন
৫️। দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহা ও অন্য একটি সূরা পড়ে নামাজ শেষ করুন।

জোহরের নামাজের পর দোয়া

যোহরের নামাজের পর রাসুল্লাল্লাহ (সা:) অনেক দোয়া পড়তেন হাদিসের আলোকে সংক্ষিপ্ত কিছু দোয়া দেয়া হল-

১। আল্লাহু আকবার (উচ্চস্বরে একবার)

২। أَسْتَغْفِرُ الله আস্তাগফিরুল্লাহ্‌, ৩ বার।

৩। اَللّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ وَمِنْكَ السَّلاَمُ تَبَارَكْتَ يَاذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ

উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মা আন্তাস সালা-মু অমিন্‌কাস সালা-মু তাবা-রাকতা ইয়া যাল জালা-লি অল ইকরা-ম।

অর্থ- হে আল্লাহ! তুমি শান্তি (সকল ত্রুটি থেকে পবিত্র) এবং তোমার নিকট থেকেই শান্তি। তুমি বরকতময় হে মহিমময়, মহানুভব! (মুসলিম ১/৪১৪)

৪। لاَ إِلهَ إِلاَّ الله وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ

উচ্চারণ:- “লা ইলাহা ইল্লাল্লা-হু অহ্‌দাহু লা শারীকা লাহ্‌, লাহুল মুলকু অলাহুলহামদু অহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর।

অর্থ:- আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য মাবুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন অংশী নেই, সমস্ত রাজত্ব তাঁরই জন্য , সমস্ত প্রশংসা তাঁরই জন্য এবং তিনি সর্ব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।

৫। اَللّهُمَّ لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ وَلاَ مُعْطِىَ لِمَا مَنَعْتَ وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الَجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ

উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মা লা মা-নিয়া লিমা আ’ত্বাইতা, অলা মু’তিয়া লিমা মানা’তা অলা য়্যানফাউযাল জাদ্দি মিনকাল জাউঊ।

অর্থ- হে আল্লাহ! তুমি যা দান কর তা রোধ করার এবং যা রোধ কর তা দান করার সাধ্য কারো নেই। আর ধনবানের ধন তোমার আযাব থেকে মুক্তি পেতে কোন উপকারে আসবে না। (বুখারী, মুসলিম, সহীহ , মিশকাত ৯৬২ নং)

৬। সুবহা-নাল্লাহ্ ৩৩ বার, আলহামদু লিল্লা-হ্‌ ৩৩ বার, আল্লা-হু আকবার ৩৩ বার।

আর ১০০ পূরণ করার জন্য উপরোক্ত ৪নং দুআ একবার পঠনীয়। এগুলি পাঠ করলে সমুদ্ররের ফেনা বরাবর পাপ হলেও মাফ হয়ে যায়। (মুসলিম, সহীহ ১/৪১৮, আহমাদ, মুসনাদ ২/৩৭১)

‘আল্লাহু আকবার’ ৩৪ বারও পড়া যায়। (মুসলিম, সহীহ ১৩৭৭নং)

৭। সুরা ইখলাস,ফালাক্ব ও নাস ১ বার করে। (আবু দাঊদ২/৮৬, সহীহ তিরমিযী ১/৮, নাসাঈ ৩/৬৮)

৮. আয়াতুল কুরসী ১বার।

ফরজ নামাজের পর দোয়াসমূহঃ বিস্তারিত পড়ুন এখানে ক্লিক করে।

জোহরের নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

যোহরের নামাজের গুরুত্ব

যোহরের নামাজ একজন মুমিনকে দিনের মাঝপথে দুনিয়ার ব্যস্ততা থেকে আল্লাহর স্মরণে ফিরিয়ে আনে। এটি আত্মাকে শান্ত করে ও মনকে স্থির রাখে।

যোহরের নামাজের ফজিলত

যে ব্যক্তি জোহরের আগে চার রাকাত ও পরে চার রাকাতের উপর যত্নশীল হবে আল্লাহ তার উপর জাহান্নামের আগুন হারাম করে দিবেন।” [ইমাম তিরমিজি বলেন, এ হাদিসটি হাসান-সহিহ, শাইখ আলবানিও উক্ত হাদিসটিকে সহিহ বলে সাব্যস্ত করেছেন]

এই চার রাকাত হল, জোহরের পরে দু রাকাত সুন্নতে রাতিবা (নিয়মিত সুন্নতে মুয়াক্কাদা) এর সাথে আরও দু রাকাত যুক্ত করে মোট ৪ রাকাত।

এ হাদিসের মাধ্যমে বোঝা যায়, জোহরের নামাজের আগে ও পরে এই আট রাকাত সুন্নত আদায় করা কত বড় ফজিলতের কাজ!
এটি শুধু নামাজ নয়, বরং জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার এক মহামূল্যবান সুযোগ।

প্রতিদিনের ব্যস্ত জীবনে আমরা যখন একটু সময় বের করে এই সুন্নত নামাজ আদায় করি, তখন তা আমাদের আত্মাকে প্রশান্ত করে, পাপ মোচন করে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথ উন্মুক্ত করে দেয়।

যোহরের নামাজ সংক্রান্ত হাদিস

উম্মে হাবিবা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি জোহরের আগে ও পরের চার রাকাত করে সুন্নত আদায় করবে, আল্লাহ তাআলা তার দেহ জাহান্নামের জন্য হারাম করে দেবেন। (তিরমিজি, হাদিস নং: ১/৫৫৩){সুনানে আন-নাসায়ী : ১৮১৭}

আবু সুফিয়ান (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আমার বোন উম্মে হাবিবা (রা.) (প্রিয় নবীজীর সা. সহধর্মিণী) কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, ‘আমি স্বয়ং রাসুল (সা.) থেকে শুনেছি, তিনি এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি জোহরের নামাজের পূর্বের এবং পরের চার রাকাত সুন্নত নামাজ এর পূর্ণ খেয়াল রাখবে (নিয়মিত আদায় করবে), মহান আল্লাহ তায়ালা তার জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম করে দেবেন। (তিরমিজি, হাদিস নং: ১/৫৫৪)

নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘যখন গরম বেড়ে যায় তখন তোমরা তা কমে এলে যোহরের নামাজ আদায় করো। কেননা গরমের প্রচণ্ডতা জাহান্নামের উত্তাপেরই অংশ’ (বুখারি : ৫৩৬)

সাধারণ ভুল ও সতর্কতা

  • নামাজের ওয়াক্ত দেরিতে পড়া
  • নিয়ত ভুলভাবে পড়া
  • সূরা বাদ দিয়ে পড়া
  • মনোযোগ হারিয়ে নামাজ আদায়

নামাজে মনোযোগ ধরে রাখার উপায়

  • নামাজের আগে দুনিয়ার চিন্তা দূরে রাখুন
  • কুরআনের অর্থ নিয়ে ভাবুন
  • নামাজের প্রতিটি ধাপে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণের অনুভূতি রাখুন

ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং অবশ্যই কুরআন ও সহিহ হাদিস অনুসারে নির্ভরযজ্ঞ আলেমের মতামত অনুযায়ী আমল করবেন।

সূত্রঃ হাদিসবিডি.কম ও অন্যান্য সূত্র থেকে সংগ্রহীত।

যোহরের নামাজ সম্পর্কে প্রশ্নোত্তর (FAQ)

১। যোহরের নামাজ আগে সুন্নত নাকি ফরজ?

সুন্নত আগে, তারপর ফরজ পড়তে হয় এর পর আবার সুন্নত।

২। যোহরের কাজা নামাজ কিভাবে পরবো?

একই নিয়মে চার রাকাত ফরজ নামাজ কাজা হিসেবে পড়বেন।

৩। যোহরের কাজা নামাজ কখন পরবো?

আসর নামাজের আগে বা মাগরিবের পরে কাজা আদায় করা যেতে পারে। ( বিজ্ঞ আলেমের পরামর্শ নিন।)

৪। জোহরের নামাজের ওয়াক্ত শুরু কখন?

সূর্যের ছায়া যখন বস্তুর সমান হয়, তখন থেকে।

৫। জোহরের নামাজের শেষ সময় কখন?

আসরের ওয়াক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত।

৬। জোহরের নামাজের নিয়ত কী?

উপরে দেয়া আছে।

৭। মহিলাদের জোহরের নামাজ পড়ার নিয়ম

পুরুষদের মতোই, তবে গৃহে পড়া উত্তম।

৮। জোহরের সুন্নত নামাজের নিয়ত কী?

উপরে দেয়া আছে।

৯। ফরয ও সুন্নাতের মধ্যে পার্থক্য কি?

ফরজ নামাজ বাধ্যতামূলক ইবাদত আর সুন্নত নামাজ রাসুল (স.)-এর অনুসরণ।

১০। জোহরের আগের চার সুন্নত নামাজ কিভাবে পড়তে হয়?

উপরের অংশে পড়ুন।

১১। যোহরের নামাজে কোন সূরা পড়তে হয়?

যেকোনো সূরা দিয়ে যোহরের নামায পড়া যায়।

১২। ৩য় ও ৪র্থ রাকাত কিভাবে পড়তে হয়?

উপরের অংশে পড়ুন।

১৩। মসজিদে যোহরের নামাজ কিভাবে পড়তে হয়?

উপরের অংশে পড়ুন।

আরো পড়ুন

সূরা কদরের বাংলা অর্থ ও উচ্চারণ: লাইলাতুল কদরের মহিমা, আমল ও ফজিলত

পবিত্র কুরআনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুরা গুলোর মধ্যে সুরা কদর একটি। এই সূরা মূলত লাইলাতুল কদরের রাতের মহিমা এবং কুরআন নাজিল হওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরে। এই লেখায় সূরা কদরের বাংলা অর্থ ও উচ্চারণ, ফযিলত সহ সবকিছু জানব।

স দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম: অর্থপূর্ণ ও সুন্দর নামের তালিকা

আপনি কি আপনার সন্তানের জন্য সুন্দর এবং অর্থপূর্ণ ইসলামিক নাম খুঁজছেন? বিশেষ করে স দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম আপনার জন্য হবে সহজ এবং ব্যবহারযোগ্য গাইড।

গোসলের ফরজ কয়টি ও কী কী: ইসলামে সঠিকভাবে গোসলের পূর্ণাঙ্গ গাইড

ইসলাম ধর্ম মানুষের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক পবিত্রতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়। এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো গোসল, যা মানুষকে পরিচ্ছন্ন রাখে এবং আল্লাহর ইবাদতের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত করে। আজকে আমরা সহজভাবে জানতে পারবো- গোসলের ফরজ কয়টি ও কী কী, গোসলের সুন্নত, গোসল করার নিয়ম, এবং গোসলের উপকারিতা।
- Advertisement -spot_img

আরও প্রবন্ধ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ প্রবন্ধ