বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২০, ২০২৫

কিডনি সুরক্ষায় প্রাকৃতিক সহায়ক: যেসব ফল নিয়মিত খেলে কিডনি সুস্থ থাকবে

বহুল পঠিত

কিডনি শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা রক্ত পরিশোধন, বর্জ্য নিষ্কাশন এবং ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য রক্ষা করে। কিডনি সুস্থ রাখতে সঠিক খাদ্যাভ্যাসের কোনো বিকল্প নেই। নিয়মিত কিছু ফল খাওয়া কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করতে সাহায্য করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন ফল কিডনির জন্য বিশেষ উপকারী:

. আপেল (Apple) 

  • উপকারিতা: আপেলে রয়েছে প্রচুর ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা কিডনিতে প্রদাহ কমায় এবং টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। এর কম পটাসিয়াম কিডনি রোগীদের জন্য নিরাপদ।
  • খাওয়ার নিয়ম: দৈনিক ১টি আপেল খেতে পারেন। চামড়াসহ খেলে বেশি উপকার পাবেন।

. ব্লুবেরি (Blueberry) 

  • উপকারিতা: অ্যান্থোসায়ানিন নামক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর ব্লুবেরি কিডনির কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এটি ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন প্রতিরোধ করে।
  • খাওয়ার নিয়ম: সপ্তাহে ৩-৪ বার এক কাপ তাজা ব্লুবেরি খান।

. আঙ্গুর (Grapes) 

  • উপকারিতা: আঙ্গুরের রেসভেরাট্রল উপাদান কিডনিতে প্রদাহ কমায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি কিডনি স্টোনের ঝুঁকি কমায়।
  • খাওয়ার নিয়ম: দৈনিক ১৫-২০টি কালো বা লাল আঙ্গুর খেতে পারেন।

. আনারস (Pineapple) 

  • উপকারিতা: ব্রোমেলাইন এনজাইমসমৃদ্ধ আনারস কিডনির প্রদাহ কমায় এবং ইমিউনিটি বাড়ায়। এর কম পটাসিয়াম কিডনি রোগীদের জন্য আদর্শ।
  • খাওয়ার নিয়ম: সপ্তাহে ২-৩ বার এক কাপ কাটা আনারস খান।

. ক্র্যানবেরি (Cranberry) 

  • উপকারিতা: ক্র্যানবেরির প্রোঅ্যান্থোসায়ানিডিন ব্যাকটেরিয়াকে কিডনি ও মূত্রথলিতে লেগে থাকতে বাধা দেয়। এটি ইনফেকশন প্রতিরোধে অতুলনীয়।
  • খাওয়ার নিয়ম: প্রতিদিন এক গ্লাস ক্র্যানবেরি জুস (চিনিমুক্ত) পান করুন।

. চেরি (Cherry) 

  • উপকারিতা: অ্যান্থোসায়ানিন ও কোয়েরসেটিনে ভরপুর চেরি কিডনির অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায় এবং ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
  • খাওয়ার নিয়ম: দৈনিক ১০-১২টি তাজা চেরি খান।

. পেয়ারা (Guava) 

  • উপকারিতা: ভিটামিন সি ও ফাইবারে সমৃদ্ধ পেয়ারা কিডনি স্টোন গঠন রোধ করে এবং পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখে।
  • খাওয়ার নিয়ম: সপ্তাহে ৩-৪ বার একটি পাকা পেয়ারা খান।

সতর্কতা:

  • কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পটাসিয়ামযুক্ত ফল (যেমন কলা, কমলা) এড়িয়ে চলা উচিত।
  • ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে ফলের পরিমাণ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নির্ধারণ করুন।
  • সব ফলই তাজা ও পরিষ্কার করে খেতে হবে। প্রক্রিয়াজাত ফলের রস বা ক্যানড ফল এড়িয়ে চলুন।

আরো পড়ুন

ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায়: ক্যান্সার ঝুঁকি কমানোর কার্যকরী পদ্ধতি

সুস্থ খাদ্যাভ্যাস: ক্যান্সার প্রতিরোধের প্রথম পদক্ষেপ সুষম খাদ্য গ্রহণ ক্যান্সার প্রতিরোধের অন্যতম কার্যকরী উপায়। প্রতিদিন ফলমূল, শাকসবজি এবং আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। লাল মাংস এবং প্রক্রিয়াজাত মাংসের পরিমাণ সীমিত...

সুস্থতার চাবিকাঠি: নারীর প্রতিদিনের স্মার্ট ডায়েট প্ল্যান

ভূমিকা: ওজন নয়, সুস্থতাই মূল মন্ত্র  আধুনিক জীবনে নারীরা ওজন কমানোর পেছনে ছুটে। কিন্তু প্রকৃত সুখ নিহিত আছে সুস্থতায়। একটি স্মার্ট ডায়েট প্ল্যান আপনাকে দেবে...
- Advertisement -spot_img

আরও প্রবন্ধ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ প্রবন্ধ