বিশ্ব শান্তি ও মানবতার কল্যাণে মালয়েশিয়ার ভূমিকা আবারও প্রশংসিত হচ্ছে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ঘোষণা দিয়েছেন- গাজায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দিতে প্রস্তুত মালয়েশিয়া ।
তিনি একইসঙ্গে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (OIC)–এর সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন।
এই ঘোষণা বিশ্বকে জানিয়ে দিলো, মালয়েশিয়া মানবতার পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত।
জাতিসংঘের সঙ্গে সহযোগিতার নতুন অধ্যায়
কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত ৪৭তম আসিয়ান সম্মেলন চলাকালীন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস–এর সঙ্গে আনোয়ার ইব্রাহিমের বৈঠক হয়।
বৈঠকে তিনি বলেন, “মালয়েশিয়া ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি তার অটল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছে এবং গাজার অবরোধকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে।”
এছাড়াও মালয়েশিয়া জাতিসংঘ সংস্কার এজেন্ডা, “প্যাক্ট ফর দ্য ফিউচার” এবং “ইউএন৮০ ইনিশিয়েটিভ”–এর প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে।
টেকসই উন্নয়ন ও ভবিষ্যতের অঙ্গীকার
আনোয়ার ইব্রাহিম স্পষ্ট করেছেন যে, মালয়েশিয়া আসিয়ান কমিউনিটি ভিশন ২০৪৫ এবং এসডিজি ২০৩০ এজেন্ডা বাস্তবায়নে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
এর অংশ হিসেবে দেশটি “কমপ্লিমেন্টারিটিজ ইনিশিয়েটিভ ২.০” বাস্তবায়নে কাজ করছে, যা আসিয়ান অঞ্চলের টেকসই উন্নয়নে নতুন দিগন্ত খুলবে।
জলবায়ু ও শান্তির মিলিত দৃষ্টিভঙ্গি
বৈঠকে COP30 (ব্রাজিল) সম্মেলনের আগে মালয়েশিয়ার NDC 3.0 জমা দেওয়ার পরিকল্পনাও আলোচিত হয়েছে।
এটি প্রমাণ করে মালয়েশিয়া শুধু আঞ্চলিক নয়, বৈশ্বিক দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবেও জলবায়ু পরিবর্তন ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় সমানভাবে সক্রিয়।
বিশ্ব শান্তির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত
আনোয়ার ইব্রাহিমের ভাষায়, “বিশ্ব শান্তি, ন্যায়বিচার এবং টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে মালয়েশিয়া জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাবে।”
এ বক্তব্য শুধু কূটনৈতিক প্রতিশ্রুতি নয় – এটি বিশ্বে ন্যায়, মানবতা ও শান্তির নেতৃত্বে মালয়েশিয়ার প্রত্যয়ী অবস্থান।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন FAQ
১. মালয়েশিয়া কেন গাজায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দিতে চায়?
মালয়েশিয়া ফিলিস্তিনের মানবিক সংকট নিরসন ও আন্তর্জাতিক শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২. আনোয়ার ইব্রাহিমের এই পদক্ষেপের বৈশ্বিক গুরুত্ব কী?
এটি দেখায় যে মালয়েশিয়া শুধু আঞ্চলিক নয়, বৈশ্বিক শান্তি ও টেকসই উন্নয়নের নেতৃত্বেও অগ্রণী ভূমিকা নিচ্ছে।
৩. এই উদ্যোগে জাতিসংঘের প্রতিক্রিয়া কী?
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস মালয়েশিয়ার অবস্থানকে প্রশংসা করেছেন এবং আসিয়ান–জাতিসংঘ সহযোগিতা আরও জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন।




