বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য বড় পরিসরে চলাচলে স্বস্তির সুযোগ আসতে পারে। ট্রেন ও মেট্রোরেলে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া নির্ধারণে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। এই রিটটি দেশে চলমান ভাড়ার বৈষম্য ও শিক্ষার্থীদের আর্থিক চাপে কিছুটা হলেও স্বস্তি এনে দিতে পারে।
এই জনস্বার্থমূলক রিটটি দায়ের করেছেন নরসিংদীর বাসিন্দা ও শিক্ষাবান্ধব চিন্তাধারার মানুষ আরিফুর রহমান মুরাদ। তার মতে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ট্রেনে যাতায়াত করলেও তারা এখনো পুরো ভাড়াই দিতে বাধ্য হচ্ছেন, যা তাদের শিক্ষাজীবনে আর্থিক চাপ সৃষ্টি করছে।

কী চাওয়া হয়েছে রিটে?
রিটে উল্লেখ করা ১৩টি দাবির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দুটি দাবি হলো:
- শিক্ষার্থীদের জন্য ট্রেন ও মেট্রোরেলে হাফ ভাড়া চালু করা
- দাঁড়িয়ে যাতায়াত করা যাত্রীদের জন্য ভাড়ায় ছাড় দেওয়া
এই দাবিগুলো বাস্তবায়িত হলে বিশেষ করে দূরপাল্লার রুটে যাতায়াত করা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরাসরি উপকৃত হবেন। এখনকার মতো ভাড়া দিতে গিয়ে টিউশন বা প্রয়োজনীয় খরচ কমাতে হবে না।
“মেট্রোরেলে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া ” শিক্ষার্থীদের কণ্ঠস্বরের প্রতিফলন
দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকেই এই দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। অনেকে মনে করছেন, এটি “স্টুডেন্ট কার্ড হোল্ডারদের জন্য একটি মৌলিক অধিকার” হওয়া উচিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন,
“আমরা প্রতিদিন ট্রেনে বা মেট্রোরেলে ক্লাসে যাই। হাফ ভাড়া আমাদের জন্য একটা বাস্তবিক প্রয়োজন, বিলাসিতা নয়।”
রিটটি যদি আদালতে গৃহীত হয় এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়, তবে বাংলাদেশের পরিবহন নীতিতে এটি হতে পারে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এটি শিক্ষার্থীদের শুধু আর্থিক স্বস্তিই নয়, বরং দেশব্যাপী ‘এডুকেশন ফর অল’ লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।