মিশরের শার্ম আল-শেখ শহরে গাজা যুদ্ধ অবসানে চলমান আলোচনায় নতুন গতি আসছে। বুধবার (৯ অক্টোবর) আলোচনার তৃতীয় দিনে অংশ নিতে যাচ্ছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল সানি এবং তুরস্কের গোয়েন্দা প্রধান ইব্রাহিম কালিন।
এই শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাবিত ২০-দফা পরিকল্পনার ভিত্তিতে। আলোচনার মূল উদ্দেশ্য হলো যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা, জিম্মিদের মুক্তি, হামাসের নিরস্ত্রীকরণ এবং গাজা থেকে ধাপে ধাপে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার।
ট্রাম্প বলেন,
“আমরা একটি বাস্তব সম্ভাবনার মুখোমুখি- মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি আসতে পারে। শুধু গাজা নয়, গোটা অঞ্চলের জন্যই।”
ইসরাইল ও হামাস প্রতিনিধিরা ইতোমধ্যেই মিশরে পরোক্ষ আলোচনা শুরু করেছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফ আলোচনা টেবিলে যোগ দিচ্ছেন, যা আলোচনাকে আরও কার্যকর করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দুই পক্ষের দাবি ও বাস্তবতা:
- হামাস চায় স্থায়ী যুদ্ধ সমাপ্তির গ্যারান্টি।
- ইসরাইল চায় জিম্মিদের মুক্তি ও হামাসের নিরস্ত্রীকরণ।
- জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজা অঞ্চলে মানবিক সংকট ভয়াবহ রূপ নিয়েছে এবং তা দুর্ভিক্ষে রূপ নিচ্ছে।
হামাসের আলোচক খলিল আল-হাইয়া জানান, তারা ট্রাম্প ও অন্যান্য পৃষ্ঠপোষকদের কাছ থেকে চূড়ান্ত শান্তির নিশ্চয়তা চান।
আলোচনায় কী থাকছে?
হামাসের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র অনুযায়ী,
- ইসরাইলের উপস্থাপিত সেনা প্রত্যাহারের মানচিত্র,
- জিম্মি-বন্দি বিনিময়ের সময়সূচি,
এই বিষয়গুলো আলোচনায় রয়েছে।
মানবিক বাস্তবতা ও আন্তর্জাতিক চাপ
ইসরাইলি প্রতিক্রিয়ায় গাজায় অন্তত ৬৭,১৬০ জন নিহত, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু-.এমন তথ্য দিয়েছে হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
জাতিসংঘ এই তথ্যকে “বিশ্বাসযোগ্য” বলেছে।
অন্যদিকে, ৭ অক্টোবরের হামলায় হামাসের হাতে ১,২১৯ জন নিহত এবং ২৫১ জন জিম্মি, যার মধ্যে ৪৭ জন এখনও বন্দী।
একটি আশাব্যঞ্জক দিক
বিশ্বব্যাপী যুদ্ধবিরতির আহ্বান বাড়ছে। আলোচনায় কাতার ও তুরস্কের মতো প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলোর অংশগ্রহণ এই সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক ঐক্যের প্রতীক হয়ে উঠতে পারে।
মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তি বলেন:
“এই মুহূর্তে শান্তি আলোচনার সবচেয়ে বড় গ্যারান্টি হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।”




