এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (আকু)–এর সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের আমদানি বিল পরিশোধের পরও বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রয়েছে। গত রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংক আকুর কাছে ১.৬১ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের অর্থ পরিশোধ করেছে, যা সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আমদানি-রপ্তানির স্বাভাবিক নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ার অংশ।
এই বিল পরিশোধের পর দেশের রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এলেও অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে প্রবাসী রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধির ফলে রিজার্ভে ইতিবাচক প্রবণতা বজায় রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, নভেম্বরের শুরুতে মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩২.৭১ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি অনুযায়ী এটি প্রায় ২৮ বিলিয়ন ডলারের সমান যা দিয়ে পাঁচ মাসেরও বেশি আমদানি ব্যয় নির্বিঘ্নে মেটানো সম্ভব।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, নতুন সরকার গঠনের পর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফিরেছে। রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি না করে মুদ্রা বাজারে স্বাভাবিক ভারসাম্য রক্ষার নীতি, অর্থ পাচার প্রতিরোধে কঠোরতা এবং ঋণ সহায়তার ইতিবাচক প্রবাহ, সব মিলিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন ধীরে ধীরে স্থিতিশীলতার পথে।
২০১৪–২০২২ সময়কালে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮.০৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল, আর রাজনৈতিক ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপে কিছুটা হ্রাস পেলেও বর্তমানে তা আবারও পুনরুদ্ধারের ধারায়।
বাংলাদেশ ব্যাংক আশাবাদ ব্যক্ত করেছে যে, প্রবাসী আয়ের ধারাবাহিক প্রবাহ, নতুন রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ এবং আমদানি ব্যয়ের ভারসাম্য রক্ষায় গৃহীত পদক্ষেপগুলো আগামী মাসগুলোতে রিজার্ভ আরও শক্তিশালী করবে।




