‘এশিয়া কাপ ২০২৫’ ২০ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা ৩০ মিনিট। মরুর দেশে উত্তপ্ত বাতাসে বাজলো যুদ্ধের দামামা। এশিয়া কাপের সুপার ফোরে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ। টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন লিটন দাস। শুরু থেকেই যেন লঙ্কানদের চোখে আগুন, হাতে ব্যাট আর মনে দম্ভ।
লঙ্কানদের অগ্নিঝরা ব্যাটিং
ওপেনিংয়ে নিসাঙ্কা-কুশলের ঝড়। পাওয়ার প্লেতে ৪৪ রান। এরপর দ্রুত উইকেট পতন হলেও দাসুন শানাকার ব্যাটে ফের উঠে দাঁড়ায় লঙ্কানরা। মাত্র ৩৭ বলে ৬৪ রান – ৩টি চার ও ৬টি ছক্কার রণহুঙ্কারে বাংলাদেশ শিবিরে আংশিক ভয় ছড়ায়। ২০ ওভারে ১৬৮ রান তুলে ফেলে শ্রীলঙ্কা।
বোলিংয়ে বিদ্রোহ!
মোস্তাফিজুর রহমান ছিলেন দুর্দান্ত। ৩ উইকেট মাত্র ২০ রানে। মেহেদী হাসান ২৫ রানে ২ উইকেট নেন। তাসকিন ছিলেন ধারালো, শরিফুল ছিলেন ব্যয়বহুল কিন্তু সবমিলিয়ে বাংলাদেশি বোলিং আক্রমণ লঙ্কান আগ্রাসনকে অনেকটাই ঠেকিয়ে দেয়।।
আইসিসির সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ পাকিস্তান, ম্যাচ বর্জনের ইঙ্গিত সালমানদের!
সাইফ-হৃদয়ের আগুনজ্বলা ব্যাটিং
বাংলাদেশের জবাব ছিল বিস্ফোরক! ওপেনার সাইফ হাসান ৪৫ বলে ৬১ রানে লঙ্কানদের ছিন্নভিন্ন করে দেন। এরপর তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটে ঝড় উঠে- ৩৭ বলে ৫৮ রানে নিশ্চিত করেন ম্যাচের দিক বদল। ব্যাটিংয়ের মাঝে ছোট ছোট ধস থাকলেও, জয় ছিল দৃশ্যমান।
শেষ ওভারের নাটকীয়তা
শেষ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ছিল হাতে গোনা কয়েক রান। জাকের আলীর ছক্কা দিয়ে শুরু হলেও তিনি আউট হন স্কোর সমতায়। এরপর শেখ মেহেদিও ফিরলে ফের শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি। তখন এগিয়ে আসেন নাসুম আহমেদ। এক রান নিয়ে নিশ্চিত করেন বিজয়। বাংলাদেশ জয় পায় ৪ উইকেটে।
সুপার ফোরে দুর্দান্ত সূচনা
গ্রুপ পর্বে দুই জয় ও এক হারে দ্বিতীয় স্থানে ছিল বাংলাদেশ। এবার সুপার ফোরে এই জয় দিয়ে শুরু করলো রণকৌশল! বাংলাদেশের ক্রিকেট আবারও প্রমাণ করলো – তারা ভয় পায় না, তারা লড়াই করে, তারা বিদ্রোহ করে জেতে!
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:
শ্রীলঙ্কা: ১৬৮/৭ (২০ ওভার)
শানাকা ৬৪*, মেন্ডিস ৩৪
মোস্তাফিজ ৩/২০, মেহেদী ২/২৫
বাংলাদেশ: ১৬৯/৬ (১৯.৫ ওভার)
সাইফ ৬১, হৃদয় ৫৮
জাকের ৯, লিটন ২৩