বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বর্তমান আমির ডা. শফিকুর রহমান আবারো পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন সংগঠনের ২০২৬-২০২৮ কার্যকালের জন্য। রবিবার (২ নভেম্বর) দলটির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়। পুনর্নির্বাচন প্রসঙ্গে দল জানিয়েছে, ভোটপ্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও গোপন ব্যালটের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে।
সংগঠনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, শনিবার রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ শুরু হয় ৯ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত এবং সারাদেশের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচনের প্রতিটি ধাপের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে নির্বাচন কমিশন এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত টিম। ভোট গণনার পর ঘোষণা করা হয় সর্বোচ্চ ভোট প্রাপ্ত প্রার্থী হিসেবে ডা. শফিকুর রহমান পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন।
জামায়াতে ইসলামী সূত্রে জানা গেছে, এই নির্বাচন ছিল সম্পূর্ণ স্বচ্ছ এবং গোপনীয়তার সঙ্গে পরিচালিত। ভোটগ্রহণের সময় দলীয় শাখা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত টিম নির্বাচনের সকল কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেছে। নির্বাচন কমিশনারের তত্ত্বাবধানে ভোট গণনা সম্পন্ন হওয়ার পর রাতেই ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
ডা. শফিকুর রহমানের পুনর্নির্বাচন সংগঠনের অভ্যন্তরীণ ঐক্য এবং সদস্যদের আস্থা প্রদর্শনের প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে। দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ ও শাখা প্রধানরা ভোট প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন এবং পুনর্নির্বাচিত আমিরকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
উল্লেখযোগ্য যে, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংগঠন হিসেবে পরিচিত এবং এটি সমাজের বিভিন্ন স্তরে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। সংগঠনটি সমাজের কল্যাণ ও নৈতিক উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে আগামী দুই বছরের জন্য দলটির কার্যক্রম আরও শক্তিশালী ও সংগঠিত হওয়ার আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
এর আগে, ডা. শফিকুর রহমান এই পদে দায়িত্ব পালনকালে দলের অভ্যন্তরীণ ঐক্য বজায় রাখতে এবং সদস্যদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। এই পুনর্নির্বাচন নতুন কার্যকাল শুরু করতে দলকে আরও দৃঢ় ও শক্তিশালী করবে বলে অভ্যন্তরীণ সূত্র নিশ্চিত করেছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের প্রভাবশালী দল হিসেবে পরিচিত। এই পুনর্নির্বাচনের মাধ্যমে দল তার নেতৃত্ব ও নীতি পুনর্নির্ধারণের পাশাপাশি ভবিষ্যতের কর্মকৌশল নির্ধারণের পথে এগোতে যাচ্ছে।




