১৯৮২ সালের জনপ্রিয় ছবি ‘সত্তে পে সত্তা’-এর একটি পুরনো ছবি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে অমিতাভ বচ্চনের পাশে দেখা যায় এক ছোট্ট শিশু শিল্পীকে।
সেই শিশুটিই আজ কন্নড় সিনেমার এক কিংবদন্তি নাম- শিব রাজকুমার।
শিব রাজকুমারের সাফল্যের কাহিনি যেন এক বাস্তব রূপকথা, যেখানে পরিশ্রম ও প্রতিভা মিলেছে একসাথে।
উত্তরাধিকার ও অভিনয়ে অভিষেক
শিব রাজকুমার কন্নড় চলচ্চিত্রের মহাতারকা ড. রাজকুমারের সন্তান।
১৯৮৬ সালে, তিনি ‘আনন্দ’ ছবির মাধ্যমে নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।
ছবিটি মুক্তির পর বিশাল সাড়া ফেলে।
ফলস্বরূপ, তিনি রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।
এরপর শতাধিক ছবিতে অভিনয় করে শিব রাজকুমার নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন কন্নড় সিনেমার অন্যতম স্তম্ভ হিসেবে।
বিনয়ী তারকার আলাদা পরিচয়
তারকাখ্যাতি থাকা সত্ত্বেও শিব রাজকুমার বরাবরই বিনয়ী ও সংযত।
তিনি কখনোই অতিরিক্ত প্রচারের পেছনে ছুটে যান না।
বরং, সবসময় মনোযোগ দেন অভিনয়ের মানে ও চরিত্রের গভীরতায়।
অন্যদিকে, রাজনীতির জগৎ থেকেও তিনি দূরে থাকেন।
এই নীরব ব্যক্তিত্বই তাকে করে তুলেছে ভক্তদের প্রিয় অভিনেতা।
শিব রাজকুমারের সাফল্যের কাহিনি ২৩০ কোটি রুপির আর্থিক সাম্রাজ্য
বর্তমানে শিব রাজকুমারের সম্পদের পরিমাণ আনুমানিক ২৩০ কোটি ভারতীয় রুপি।
এই বিপুল সম্পদ তাকে দক্ষিণ ভারতের অন্যতম ধনী অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা দিয়েছে।
অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি বিজ্ঞাপন, টেলিভিশন ও লাইভ শো থেকে আয় করেন।
তবে, অর্থ নয়, দর্শকের ভালোবাসাকেই তিনি আসল সাফল্য মনে করেন।
রজনীকান্তের ‘জেলার’ ছবিতে তার সংক্ষিপ্ত উপস্থিতিও দর্শকদের মনে গভীর ছাপ ফেলেছে।
প্রতিভা ও অধ্যবসায়ের অনুপ্রেরণামূলক গল্প
শিব রাজকুমারের যাত্রা শুরু হয়েছিল অমিতাভের পাশে এক শিশু শিল্পী হিসেবে।
আজ তিনি কন্নড় চলচ্চিত্রের এক অপরিহার্য শক্তি।
অতএব, তার জীবন প্রমাণ করে-উত্তরাধিকার যদি অধ্যবসায়ের সঙ্গে মেলে, তবে সাফল্য অনিবার্য।
শিব রাজকুমারের গল্প শুধু একজন তারকার নয়, বরং এক অনুপ্রেরণার প্রতীক।




