বাংলাদেশ সরকার ধীরে ধীরে সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভরতা কমাচ্ছে। অর্থনীতির চাপ কমাতে এবং সুদের বোঝা হ্রাস করতে বাংলাদেশ ব্যাংক আগামী বছর থেকে আরও সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। এতে সরকারের ব্যয় অনেকাংশে কমে আসবে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকার আগে সঞ্চয়পত্র বিক্রির ওপর নির্ভর করত। এখন বাংলাদেশ ব্যাংক সেই প্রবণতা থেকে সরে এসে ট্রেজারি বন্ড ও বিকল্প বিনিয়োগের দিকে মানুষকে উৎসাহিত করছে। জুন মাসে সর্বোচ্চ সুদহার নির্ধারিত হয়েছে ১১.৯৮ শতাংশ।
অগ্রণী ব্যাংকসহ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোও সুদহার কমানোর পক্ষে মত দিয়েছে। ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, মূল্যস্ফীতি কমায় সুদ কমানো অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক হবে। অর্থনীতিবিদ ড. তৌফিকের মতে, এখনই নিরাপদ বিকল্প বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করা জরুরি। আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকও এ বিষয়ে নজর দিচ্ছে।
গত অর্থবছরে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি ঋণাত্মক ছিল। সুদ ও আসল পরিশোধে বিক্রির চেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় হয়েছে। এতে সরকারের আর্থিক চাপ বেড়েছে, যা এই নতুন পরিকল্পনার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।




