বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় কমাতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) নতুন এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে টিসিবির নতুন পণ্য তালিকা এ যুক্ত হচ্ছে চাসহ ৫টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। এই উদ্যোগের ফলে মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
নতুন যুক্ত হতে যাওয়া ৫ পণ্য:
১. চাল (মিনিকেট ও স্বর্ণা জাত)
২. ডাল (মসুর ও মুগ)
৩. চিনি
৪. সয়াবিন তেল
৫. পেঁয়াজ
এছারাও থাকছে লবণ, চা, ডিটারজেন্ট ও দুই ধরনের সাবান।
কেন এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ?
- মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ: বর্তমানে বাজারে চাল, ডাল ও তেলের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। টিসিবির এই পণ্যগুলো সরাসরি ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি হবে, যা বাজার স্থিতিশীল করতে সহায়ক হবে।
- সুবিধাবঞ্চিত মানুষের স্বস্তি: টিসিবির ডিলারদের মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ডে এসব পণ্য পৌঁছে দেওয়া হবে। কার্ডধারী পরিবারগুলো সহজেই কম দামে পণ্য কিনতে পারবেন।
- স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা: সরকার জানিয়েছে, পণ্য বিতরণ প্রক্রিয়া ডিজিটাল মনিটরিংয়ের আওতায় আনা হবে, যাতে কোনো অনিয়ম না ঘটে।
কিভাবে পাবেন এই সুবিধা?
টিসিবির নিবন্ধিত ডিলারদের কাছ থেকে প্রতিমাসে নির্দিষ্ট পরিমাণে পণ্য কেনা যাবে। প্রতিটি পরিবারের জন্য চাল ৫ কেজি, ডাল ২ কেজি, চিনি ২ কেজি, তেল ২ লিটার ও পেঁয়াজ ২ কেজি বরাদ্দ থাকবে। মূল্য বাজারের তুলনায় ২০-৩০% কম হতে পারে।
টিসিবির নতুন পণ্য তালিকা ও সরকারের প্রত্যাশা
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, “এই উদ্যোগে দেশের ১ কোটি পরিবার উপকৃত হবে। আমরা চাই না কোনো মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে হিমশিম খাক।”