তরুণদের জন্য ডঃ ইউনূসের বার্তা হলোতোমরাই বর্তমান, তোমরাই ভবিষ্যৎ গড়বে।
গতকাল রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সুইডেন ও নরওয়ের তরুণ রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “অনেকে বলেন তরুণরা ভবিষ্যৎ। কিন্তু আমি বলি তরুণরাই বর্তমান। তোমরাই প্রযুক্তি, চিন্তা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিশ্ব বদলে দিতে পারো।”
প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের দুনিয়ায় তরুণরা
তিনি আরও বলেন, “তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আজকের তরুণরা এক নতুন সম্ভাবনার যুগে প্রবেশ করেছে। তোমাদের স্বপ্নই হতে পারে একটি নতুন, মানবিক পৃথিবীর নকশা।”
বৈশ্বিক তরুণ নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিনিময়
সুইডেন ও নরওয়ের প্রতিনিধিদলে ছিলেন-
নিকোলাস উইকস, হকন আরাল্ড গুলব্রান্ডসেন, অ্যালিস ল্যান্ডারহোম, অ্যান্টন হোল্মলুন্ড, হান্না লিন্ডকভিস্টসহ অনেকে।
এই আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার এবং নর্ডিক অফিসের কর্মকর্তারা।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে যুব সমাজের ভূমিকা
অধ্যাপক ইউনূস স্মরণ করিয়ে দেন- “জুলাই মাসে দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তন ছিল এক ঐতিহাসিক মোড়। অসংখ্য তরুণ তখন ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল এবং ভবিষ্যতের রাষ্ট্রের রূপরেখা তৈরি করেছিল।”
সরকার এরই মধ্যে সংস্কারমূলক কমিশন গঠন করেছে এবং ৩০টির বেশি রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’-এ অংশ নিয়েছে।
তরুণদের চোখে বাংলাদেশ
তরুণদের জন্য ডঃ ইউনূসের বার্তা শুধু বক্তব্য নয়, এটি দেশের ভেতরের চিত্র তুলে ধরার আহ্বান। তিনি তরুণ নেতাদের উদ্দেশে বলেন: “বাংলাদেশের প্রতিটি রাস্তা, দেয়ালচিত্র, প্রতিবাদলিপি তরুণদের স্বপ্ন ও সংগ্রামের কথা বলে। এগুলোই জীবন্ত ইতিহাস।”
থ্রি-জিরো ও সোশ্যাল বিজনেস মডেল
আলোচনায় উঠে আসে ইউনূসের বিখ্যাত থ্রি জিরো লক্ষ্য:
- শূন্য কার্বন নিঃসরণ
- শূন্য সম্পদ বৈষম্য
- শূন্য বেকারত্ব
তিনি বলেন, “এই তিনটি লক্ষ্য অর্জনে তরুণদের ভূমিকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সোশ্যাল বিজনেসের মাধ্যমেই একটি মানবিক সমাজ গঠন সম্ভব।”
তরুণদের জন্য ডঃ ইউনূসের বার্তা একটি স্পষ্ট ও শক্তিশালী আহ্বান-
“পরিবর্তন ভবিষ্যতের জন্য নয়- পরিবর্তন চাই এখনই। আর এই পরিবর্তন আনবে তরুণরাই।”




