বুধবার, নভেম্বর ১৯, ২০২৫

বাংলাদেশ নির্বাচন: ভোটার সংখ্যা বেড়ে ১২ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার

বহুল পঠিত

নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মোট ভোটার সংখ্যা নির্ধারিত হয়েছে ১২ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৮৩ জন। নির্বাচন ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে এই তথ্য জানান কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। পূর্বের খসড়া তালিকায় ভোটার ছিলেন ১২ কোটি ৭৬ লাখ ১২ হাজার ৩৮৪ জন। চূড়ান্ত তালিকায় নতুন ভোটার যুক্ত হওয়ায় সংখ্যাটি বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী নির্বাচনে এই ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। নির্বাচন কমিশন সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য।

ভোটার তালিকা হালনাগাদ প্রক্রিয়া

নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশের ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। প্রতিবছর জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ চলে। এবারও সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাচন অফিসের মাধ্যমে নতুন ভোটারদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। একই সাথে মৃত ব্যক্তিদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যের সাথে মিলিয়ে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। নির্বাচন কমিশনের ডাটাবেজে সব তথ্য সংরক্ষিত রয়েছে। ভোটাররা অনলাইনে তাদের তথ্য যাচাই করতে পারবেন।

নির্বাচনী এলাকা ও আসন বণ্টন

বাংলাদেশের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ৩০০টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে ২৯৮টি সাধারণ আসন এবং ২টি সংরক্ষিত আসন রয়েছে। সংসদীয় আসনগুলো জেলা ও উপজেলা ভিত্তিক বণ্টন করা হয়েছে। জনসংখ্যার ঘনত্ব অনুযায়ী আসনের সীমানা নির্ধারিত হয়। নির্বাচন কমিশন প্রতিটি আসনের জন্য ভোটার সংখ্যা নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিছু আসনে ভোটার সংখ্যা বেশি এবং কিছু আসনে কম। নির্বাচন পরিচালনার সুবিধার্থে প্রতিটি আসনকে কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে ভাগ করা হয়েছে। ভোটাররা তাদের নির্ধারিত কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন।

নির্বাচনী প্রস্তুতি ও আইনশৃঙ্খলা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশন ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ভোটগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় ইভিএম মেশিন সংগ্রহ করা হচ্ছে। ভোটকেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবে। নির্বাচন কমিশন স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে কাজ করছে। ভোটারদের নিরাপদে ভোট দেওয়ার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনী আচরণবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালনের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থী ও ভোটারদের জন্য নির্দেশিকা প্রকাশ করা হবে।

নারী ভোটারদের অংশগ্রহণ

বাংলাদেশের নির্বাচনী ইতিহাসে নারী ভোটারদের অংশগ্রহণ ক্রমবর্ধমান। এবারও নারী ভোটাররা উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় ভোট দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন নারী ভোটারদের উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। নারী ভোটারদের সুবিধার্থে ভোটকেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হবে। নারী প্রার্থীদের অংশগ্রহণও বাড়ছে ধীরে ধীরে। সংরক্ষিত আসনগুলোতে নারী প্রতিনিধিরা নির্বাচিত হবেন। নারী ভোটারদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন এনজিও ও সরকারি সংস্থা কাজ করছে। নারী ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারবেন।

তরুণ ভোটারদের ভূমিকা

এবারের নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। নতুন ভোটারদের মধ্যে অনেকেই তরুণ। তরুণ ভোটাররা দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে পারেন। নির্বাচন কমিশন তরুণ ভোটারদের নিবন্ধনে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তরুণদের ভোটার হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তরুণ ভোটাররা সক্রিয় আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। তরুণ ভোটারদের মতামত নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলো তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে। তরুণ ভোটাররা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।

প্রবাসী ভোটারদের অংশগ্রহণ

বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক প্রবাসী নাগরিক রয়েছেন যারা বিভিন্ন দেশে বসবাস করছেন। প্রবাসী ভোটাররা নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। নির্বাচন কমিশন প্রবাসী ভোটারদের ভোট দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করছে। বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে প্রবাসীরা ভোট দিতে পারবেন। প্রবাসী ভোটারদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে। অনলাইনে প্রবাসীরা তাদের ভোটার তথ্য যাচাই করতে পারবেন। প্রবাসী ভোটাররা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।

নির্বাচনী প্রযুক্তি ও ইভিএম

আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্বাচন পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশন পদক্ষেপ নিয়েছে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ আরও স্বচ্ছ হবে। ইভিএমের মাধ্যমে ভোট দিলে ফলাফল দ্রুত পাওয়া যায়। ভোট কারচুপির সম্ভাবনা কমে যায় ইভিএম ব্যবহারের ফলে। নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তাদের ইভিএম ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ভোটারদের ইভিএম ব্যবহারের পদ্ধতি সম্পর্কে জানানো হবে। কিছু কেন্দ্রে ইভিএম এবং কিছু কেন্দ্রে সাধারণ ব্যালট পেপার ব্যবহার করা হতে পারে। প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নির্বাচনের মান উন্নত করতে সাহায্য করবে।

নির্বাচনী আচরণবিধি ও শাস্তি

সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচনী আচরণবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালন করা প্রয়োজন। নির্বাচন কমিশন আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা রাখে। প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণার সময় নির্দিষ্ট নিয়মাবলী মেনে চলতে বাধ্য। অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করা যাবে না। মিথ্যা তথ্য প্রচার করলে শাস্তির বিধান রয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করলে প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হতে পারে। নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন পর্যবেক্ষক দল নিয়োগ করে আচরণবিধি পরিপালন তদারকি করবে। আচরণবিধি মেনে চললে নির্বাচন প্রক্রিয়া আরও সুশৃঙ্খল হবে।

নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকরা উপস্থিত থাকবেন। নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাকে পর্যবেক্ষণের জন্য আমন্ত্রণ জানাবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কমনওয়েলথ, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারে। দেশের বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাও নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য কাজ করবে। পর্যবেক্ষকরা নির্বাচনের বিভিন্ন ধাপ পর্যবেক্ষণ করে প্রতিবেদন তৈরি করবেন। তাদের প্রতিবেদন নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নির্ধারণে সহায়তা করবে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতি নির্বাচন প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ করতে সাহায্য করে।

ভোটার শিক্ষা ও সচেতনতা কর্মসূচি

নির্বাচন কমিশন ভোটার শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ভোটারদের তাদের ভোটাধিকার সম্পর্কে জানানো হচ্ছে। ভোট কিভাবে দিতে হয় তা প্রদর্শন করা হচ্ছে। বিভিন্ন মাধ্যমে ভোটারদের সচেতন করা হচ্ছে। টেলিভিশন, রেডিও, সংবাদপত্র ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারণা চালানো হচ্ছে। স্থানীয় পর্যায়ে ভোটার শিক্ষা কর্মসূচি পরিচালনা করা হচ্ছে। স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের ভোটার হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভোটারদের নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পর্কে জ্ঞান দেওয়া হচ্ছে। ভোটার সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ বাড়বে।

নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতি

ভোটগ্রহণের পর ফলাফল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচন কমিশন ফলাফল ঘোষণার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিজয়ী প্রার্থীদের শপথ গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হবে। নবনির্বাচিত সরকার গঠন করবে এবং কাজ শুরু করবে। নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীরা ফলাফল মেনে নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। নির্বাচন পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকবে। জনগণ নির্বাচিত সরকারের কাজে সহযোগিতা করবে। নির্বাচন কমিশন ফলাফল নিয়ে কোনো অভিযোগ থাকলে তা নিষ্পত্তি করবে। সুষ্ঠু নির্বাচন দেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারগণ নির্বাচনী কার্যক্রম তদারকি করেন। নির্বাচন কমিশন সব রাজনৈতিক দলের সাথে সমন্বয় রেখে কাজ করে। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা থেকে শুরু করে ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত সব কাজ কমিশন পরিচালনা করে। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করেন। কমিশন নির্বাচনী আইন ও বিধিমালা প্রয়োগ করে। নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কমিশনের ভূমিকা অপরিহার্য।

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশগ্রহণ করে। সুষ্ঠু নির্বাচন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করে। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে। নির্বাচিত সরকার জনগণের কল্যাণে কাজ করার দায়িত্ব পায়। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে। ভোটারদের সচেতন অংশগ্রহণ নির্বাচনের মান উন্নত করে। নির্বাচনের মাধ্যমে জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নিয়মিত নির্বাচন অপরিহার্য।

নির্বাচন ও জাতীয় উন্নয়ন

সুষ্ঠু নির্বাচন জাতীয় উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নির্বাচিত সরকার দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচন করে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে নির্বাচন। স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশে উন্নয়ন কার্যক্রম ত্বরান্বিত হয়। নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারের কার্যক্রমের গণতান্ত্রিক বৈধতা অর্জিত হয়। বৈধ সরকার আন্তর্জাতিক সহযোগিতা লাভ করে উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করতে পারে। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন সম্ভব। জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করলে উন্নয়ন কার্যক্রম আরও ফলপ্রসূ হয়। নির্বাচন ও উন্নয়ন পরস্পরের পরিপূরক।

প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট কতজন ভোটার ভোট দিতে পারবেন?

উত্তর: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন ১২ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৮৩ জন ভোটার।

প্রশ্ন ২: নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব কে এই তথ্য জানিয়েছেন?

উত্তর: নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এই তথ্য জানিয়েছেন।

প্রশ্ন ৩: খসড়া তালিকা অনুযায়ী ভোটার সংখ্যা কত ছিল?

উত্তর: খসড়া তালিকা অনুযায়ী ভোটার ছিলেন ১২ কোটি ৭৬ লাখ ১২ হাজার ৩৮৪ জন।

প্রশ্ন ৪: কখন এই তথ্য জানানো হয়?

উত্তর: মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানানো হয়।

প্রশ্ন ৫: বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে মোট কতটি আসন রয়েছে?

উত্তর: বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে মোট ৩০০টি আসন রয়েছে, যার মধ্যে ২৯৮টি সাধারণ আসন এবং ২টি সংরক্ষিত আসন।

প্রশ্ন ৬: নির্বাচন কমিশন কিভাবে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে?

উত্তর: নির্বাচন কমিশন প্রতিবছর জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ পরিচালনা করে, যেখানে নতুন ভোটারদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং মৃত ব্যক্তিদের নাম বাদ দেওয়া হয়।

প্রশ্ন ৭: ইভিএম ব্যবহারের ফলে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কী সুবিধা হয়?

উত্তর: ইভিএম ব্যবহারের ফলে ভোটগ্রহণ আরও স্বচ্ছ হয়, ফলাফল দ্রুত পাওয়া যায় এবং ভোট কারচুপির সম্ভাবনা কমে যায়।

প্রশ্ন ৮: নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে কী ধরনের শাস্তি হতে পারে?

উত্তর: নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হতে পারে এবং নির্বাচন কমিশন অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।

প্রশ্ন ৯: নির্বাচনে প্রবাসী ভোটাররা কীভাবে ভোট দিতে পারবেন?

উত্তর: প্রবাসী ভোটাররা বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন।

প্রশ্ন ১০: নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের ভূমিকা কী?

উত্তর: নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা নির্বাচনের বিভিন্ন ধাপ পর্যবেক্ষণ করে প্রতিবেদন তৈরি করেন, যা নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নির্ধারণে সহায়তা করে।

প্রশ্ন ১১: ভোটার শিক্ষা কর্মসূচির উদ্দেশ্য কী?

উত্তর: ভোটার শিক্ষা কর্মসূচির উদ্দেশ্য হলো ভোটারদের তাদের ভোটাধিকার সম্পর্কে সচেতন করা, ভোট দেওয়ার পদ্ধতি শেখানো এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পর্কে জ্ঞান দেওয়া।

প্রশ্ন ১২: নির্বাচন কমিশনের প্রধান দায়িত্ব কী?

উত্তর: নির্বাচন কমিশনের প্রধান দায়িত্ব হলো স্বাধীনভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা, আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করা এবং ফলাফল ঘোষণা করা।

প্রশ্ন ১৩: নির্বাচন কীভাবে গণতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ?

উত্তর: নির্বাচন গণতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ এর মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে, জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়।

প্রশ্ন ১৪: নারী ভোটারদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির জন্য কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়?

উত্তর: নারী ভোটারদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির জন্য ভোটকেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়, নারী ভোটারদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় এবং নারী প্রার্থীদের অংশগ্রহণ উৎসাহিত করা হয়।

প্রশ্ন ১৫: তরুণ ভোটাররা নির্বাচনে কী ভূমিকা পালন করতে পারেন?

উত্তর: তরুণ ভোটাররা নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন, কারণ তারা দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে পারেন এবং তাদের মতামত নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে।

প্রশ্ন ১৬: নির্বাচন কীভাবে জাতীয় উন্নয়নে সহায়তা করে?

উত্তর: নির্বাচন জাতীয় উন্নয়নে সহায়তা করে কারণ এর মাধ্যমে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হয়, সরকারের কার্যক্রমের গণতান্ত্রিক বৈধতা অর্জিত হয় এবং জনগণ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে।

প্রশ্ন ১৭: নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতি কেমন হওয়া উচিত?

উত্তর: নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতি স্থিতিশীল হওয়া উচিত, যেখানে পরাজিত প্রার্থীরা ফলাফল মেনে নেবেন, নবনির্বাচিত সরকার গঠন করবে এবং জনগণ নির্বাচিত সরকারের কাজে সহযোগিতা করবে।

আরো পড়ুন

রুবাবা দৌলা: বিসিবির নারী উইংয়ের নতুন চেয়ারপারসন, ক্রিকেট বোর্ডে বড় পরিবর্তন

বিসিবির ইতিহাসে দ্বিতীয় নারী পরিচালক হিসেবে রুবাবা দৌলা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ইতিহাসে এক নতুন মাইলফলক সৃষ্টি হয়েছে রুবাবা দৌলার নিয়োগের মাধ্যমে। তিনি বিসিবির দ্বিতীয়...

ঢাকা মেট্রোরেল কার্ড এখন অনলাইনে রিচার্জ – ঘরে বসে সুবিধাজনক সেবা

ঢাকার মেট্রোরেল যাত্রীরা শিগগিরই তাদের যাত্রা আরও সুবিধাজনক করতে পারবেন। ২৫ নভেম্বর থেকে চালু হচ্ছে মেট্রোরেল কার্ড অনলাইন রিচার্জ সেবা। এটি ব্যবহারকারীদের স্টেশনে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে রিচার্জ করার ঝামেলা থেকে মুক্ত করবে।

মুশফিকুর রহিমের শততম টেস্ট ম্যাচ: ঐতিহাসিক দিন

১৯ নভেম্বর ২০২৫, বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন হিসেবে চিহ্নিত হবে। মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুশফিকুর রহিম তার শততম টেস্ট ম্যাচ...
- Advertisement -spot_img

আরও প্রবন্ধ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ প্রবন্ধ