বাংলাদেশের শিশুদের জন্য এসেছে এক বড় সুখবর! জন্মসনদ ছাড়াই টিকা পাবে সকল শিশু। একটি শিশুও যেন টাইফয়েড টিকা থেকে বাদ না পড়ে, এ বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যৎ
আজ রাজধানীর শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫–এর জাতীয় অ্যাডভোকেসি সভায় তিনি বলেন: “একটি শিশু বাদ পড়া মানে একটি পরিবার ঝুঁকিতে পড়া। বাংলাদেশের সকল শিশুকে টিকার আওতায় আনতেই হবে।”
টাইফয়েড: প্রতিরোধযোগ্য ও প্রাণঘাতী
তিনি আরও বলেন, আমরা অনেক জটিল রোগ নিয়ন্ত্রণ করেছি। যেমন ডায়রিয়া ও রাতকানা। কিন্তু টাইফয়েডে এখনও শিশুদের মৃত্যু হচ্ছে, যা খুবই দুঃখজনক। “টাইফয়েড কোনো কঠিন রোগ নয়। এটি প্রতিরোধযোগ্য। তাই আর দেরি নয়,” বলেছেন নূরজাহান বেগম।
জনসচেতনতার অভাব বড় বাধা
অনেক অভিভাবক জানেন না, দেশে টাইফয়েডের টিকা সহজে এবং বিনামূল্যে পাওয়া যায়। তাই সচেতনতা বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি।
তিনি বলেন: “ভুল ধারণা নয়, প্রয়োজন সঠিক তথ্য। মসজিদ, স্কুল, কমিউনিটি সেন্টারসহ সব জায়গায় এই বার্তা পৌঁছাতে হবে: টাইফয়েড টিকা জীবন বাঁচায়।”
সরকারের পাশাপাশি সমাজেরও দায়িত্ব
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা মনে করিয়ে দেন, শুধু সরকার নয়- ইমাম, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক সবারই ভূমিকা জরুরি।
তিনি আরও বলেন -আমরা সবাই মিলে একটি সহানুভূতিশীল সমাজ গড়ে তুলতে পারি।
সহজ ও ঝামেলামুক্ত টিকাদান ব্যবস্থা চায় সরকার
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন: “টিকা নিতে গিয়ে যেন কেউ প্রশাসনিক ঝামেলায় না পড়ে। সবার জন্য সহজ, বাধাহীন ও বিনামূল্যে টিকা নিশ্চিত করতে হবে।”
টাইফয়েড টিকা আসছে নিয়মিত কর্মসূচিতে
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. সায়েদুর রহমান সভায় বলেন: “জাতীয় টিকাদান কর্মসূচি আমাদের একটি বড় সফলতা। আমরা চাই, টাইফয়েড টিকা নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হোক।”
তিনি আরও বলেন, মেডিকেল ও নার্সিং শিক্ষার্থীদের যুক্ত করলে মাঠপর্যায়ে কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন:
- স্বাস্থ্য সচিব মো: সাইদুর রহমান
- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো: আবু জাফর
- অতিরিক্ত সচিব এ টি এম সাইফুল ইসলাম
- এনজিও ব্যুরোর মহাপরিচালক দাউদ মিয়া
- ইউনিসেফের দীপিকা শর্মা
- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি রাজেশ নরওয়ান




