তারেক রহমানের ফিরে আসা নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়েছে সারা দেশজুড়ে। গত বছর দেশের রাজনীতিতে ঘটে যাওয়া জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে, ২০ বছরের নির্বাসন শেষে দেশে ফিরে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তারেক রহমান দীর্ঘ একযুগ ধরে লন্ডন থেকে দেশের রাজনীতিতে বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন, সম্প্রতি বিবিসি কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন-
“সময় এসেছে, ইনশাআল্লাহ, আমি শিগগিরই দেশে ফিরে আসব।”
তিনি আরও জানিয়েছেন, দীর্ঘ সময় নির্বাসনে থাকলেও দলের নেতৃত্ব দেওয়া এবং নির্বাচনে অংশ নেওয়া তার রাজনৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব।
নির্বাচন ২০২৬: সময় ও সম্ভাবনা
- আগামী ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এ অনুষ্ঠিতব্য সংসদীয় নির্বাচনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ফলপ্রসূ নির্বাচন হিসেবে দেখা হচ্ছে দেশজুড়ে।
- নির্বাচন পরিচালিত হবে অন্তর্বর্তী সরকারের তত্ত্বাবধানে, যা বর্তমান রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণে একটি সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে।
- তারেকের রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ও বিএনপির অভ্যূত্থান নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-দল মনে করছে, ২০২৬-এ তাদের একটি শক্তিশালী জয় সম্ভাবনা আছে।
ইতিহাস, মামলা ও বিরোধ
- ২০০৮ সাল থেকে নির্বাসিত তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলাও ছিল। তবে গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পলায়নের পর, বেশিরভাগ অভিযোগ তুলে নেওয়া হয়েছে এবং আইনগত বাধা অনেকাংশে সরানো হয়েছে।
- বিশেষ করে ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলা মামলায় তার বিরুদ্ধে করা দোষলিপি সম্পূর্ণভাবে বাতিল করা হয়েছে- তারেক রহমান সহ অনেক আদালতে শুনানি হয়েছে এবং রায় বিপরীত হয়েছে।
- তার অভিব্যক্তিতে দেখা যায়, তিনি সবসময় নিজেকে নির্দোষ দাবী করেন এবং মামলাগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন।
প্রতিক্রিয়া ও চ্যালেঞ্জ
- বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলছেন, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন হবে নির্বাচনী প্রচারের অর্ধেক কর্মসূচির সম্পূর্ণতা।
- দলের বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, ভোটের তারিখ ঘোষণার পর ডিসেম্বর বা নভেম্বর মাসে দেশ ফেরার পরিকল্পনা রয়েছে।
- তবে এই ফিরে আসার পরিকল্পনায় রয়েছে নিরাপত্তা ও আইনগত জটিলতা- বিশেষ করে আদালতের আইন প্রক্রিয়া, কার্যকর ভোটাধিকার, এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের স্বীকৃতি।




