বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজনের চলমান প্রস্তুতিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইইউ সমর্থন করছে বলে এক প্রকাশিত বার্তায় জানিয়েছে সংস্থাটি। সংস্থাটির মতে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যে পরিবর্তন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তা ভবিষ্যতের স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ইইউ একটি ফেসবুক পোস্টে জানায়, বাংলাদেশ যে নতুন ধারার অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে, তা তারা ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছে এবং এ উদ্যোগকে উৎসাহিত করছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও এই সমর্থনকে বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আস্থা
ইইউ তাদের বার্তায় উল্লেখ করেছে যে, আগামী ফেব্রুয়ারিতে যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে, তা যেন অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও সুষ্ঠু হয়- এ প্রত্যাশা থেকেই তারা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টাকে তুলে ধরেছে। তারা আরও জানায়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বকে যথেষ্ট আশা জাগানিয়া মনে করছে।
ড. ইউনূসের প্রতি আন্তর্জাতিক মহলের আস্থার বিষয়টি নতুন নয়। নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদকে দেশে ও বিদেশে স্বচ্ছতা, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের পক্ষে সোচ্চার কণ্ঠ হিসেবে দেখা হয়। ফলে ইইউর এই সমর্থনকে অনেক বিশ্লেষক দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ার জন্য একটি ইতিবাচক সংকেত হিসেবে দেখছেন।
রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি দায়িত্বশীল অংশগ্রহণের আহ্বান
ইউরোপীয় ইউনিয়ন শুধু সরকারের প্রতি নয়, দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিও বিশেষ আহ্বান জানিয়েছে। তাদের মতে, আগামী নির্বাচনকে অর্থবহ ও অংশগ্রহণমূলক করতে সব রাজনৈতিক দলের উচিত গঠনমূলক ভূমিকা রাখা এবং গণতান্ত্রিক নীতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকা।
সংস্থাটি বলেছে যে, রাজনৈতিক দলগুলো যদি দায়িত্বশীলভাবে পরবর্তী ধাপগুলোতে অংশ নেয়, তবে দেশের ভবিষ্যৎ গণতন্ত্র আরও সুসংহত হবে। এই বার্তাটি মূলত বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে একটি আহ্বান—সংঘাত নয়, বরং আলোচনার ভিত্তিতে অগ্রসর হওয়ার।
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যত নিয়ে আন্তর্জাতিক আগ্রহ
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। কারণ দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ আঞ্চলিক অর্থনীতি ও কূটনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ইইউর সর্বশেষ বিবৃতি তাই শুধু সমর্থনের ঘোষণা নয়, বরং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় একটি উৎসাহমূলক আন্তর্জাতিক বার্তাও বটে।




