১৯ নভেম্বর ২০২৫, বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন হিসেবে চিহ্নিত হবে। মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুশফিকুর রহিম তার শততম টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামবেন, যা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। তিনি প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করতে যাচ্ছেন।
টেস্ট ক্রিকেটের দীর্ঘ ইতিহাসে ১৮৭৭ সালে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু হয়। এরপর ৯১ বছর পর ১৯৬৮ সালে ইংল্যান্ডের মাইকেল কলিন কাউড্রে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলেন। আজ পর্যন্ত বিশ্বের ৮৪ জন ক্রিকেটার এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন, যাদের মধ্যে মুশফিকুর রহিম হতে যাচ্ছেন সর্বশেষ সংযোজন।
মুশফিকুর রহিমের ক্রিকেট যাত্রা ২০০০ সালে শুরু হলেও টেস্ট অভিষেক হয় ২০০৫ সালে। তার ক্যারিয়ার জুড়ে তিনি বাংলাদেশ দলের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হিসেবে কাজ করেছেন। উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে তার অবদান বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য অপরিসীম। তিনি একাধিকবার দলকে কঠিন পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করেছেন এবং দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
শততম টেস্টের আগে মুশফিকুর রহিম বলেন, “এটি আমার জন্য একটি সম্মানজনক মুহূর্ত হবে। আমি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করতে পেরে গর্বিত। আমি আমার সতীর্থদের সমর্থন এবং দেশবাসীর ভালোবাসার কাছে কৃতজ্ঞ।”
বিশ্ব ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের ১৭ জন, অস্ট্রেলিয়ার ১৬ জন এবং ভারতের ১৪ জন ক্রিকেটার শততম টেস্ট খেলার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। মুশফিকুরের এই অর্জন বাংলাদেশকে বিশ্ব ক্রিকেটের এই অভিজাত ক্লাবে নিয়ে যাবে, যা দেশের ক্রিকেটের উন্নতির একটি বড় নিদর্শন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি বলেন, “মুশফিকুর রহিমের শততম টেস্ট আমাদের জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত। তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য অনেক কিছু করেছেন এবং আমরা তার এই অর্জনের জন্য তাকে অভিনন্দন জানাই।”
মুশফিকুরের শততম টেস্ট ম্যাচটি মিরপুরে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে তিনি বাংলাদেশের হয়ে তার অসংখ্য স্মরণীয় ইনিংস খেলেছেন। এই ম্যাচটি বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে একটি বিশেষ স্থান করে নেবে এবং ভবিষ্যতের ক্রিকেটারদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাস ও উৎপত্তি
টেস্ট ক্রিকেটের যাত্রা শুরু হয় ১৮৭৭ সালে, যখন অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড মেলবোর্নে প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলে। এই ম্যাচেই প্রথম সেঞ্চুরির দেখা মেলে, যা টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়। এরপর ৩১ বছর পর, ১৯০৮ সালে সিডনিতে আবারও অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ম্যাচের মধ্য দিয়ে টেস্ট ক্রিকেট তার ১০০তম ম্যাচে পা রাখে। এক বছর পর প্রথম দল হিসেবে নিজেদের ১০০তম টেস্ট খেলে ইংল্যান্ড। তবে কোনো খেলোয়াড়ের ১০০তম টেস্ট দেখতে অপেক্ষা করতে হয়েছে আরও ছয় দশকের বেশি সময়, ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত। সেই বছর এজবাস্টনে ইতিহাসের ৬৩৯তম টেস্টে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে শততম টেস্ট মাঠে নামেন মাইকেল কলিন কাউড্রে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটির প্রথম ইনিংসেই সেঞ্চুরি করে নিজের মাইলফলককে আরও উজ্জ্বল করেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক।
শততম টেস্ট ক্লাব: একটি অভিজাত সম্প্রদায়
টেস্ট ক্রিকেটের দীর্ঘ ইতিহাসে শততম টেস্ট খেলা একটি বিশেষ অর্জন হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি কোনো খেলোয়াড়ের দীর্ঘকালীন ধারাবাহিকতা, দক্ষতা এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টিকে থাকার প্রতীক। আজ পর্যন্ত মোট ৮৪ জন ক্রিকেটার এই অভিজাত ক্লাবের সদস্য হতে পেরেছেন। এই ক্লাবের সদস্যরা বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে বিশেষ স্থান দখল করে আছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন স্যার ডন ব্র্যাডম্যান, স্যার গারফিল্ড সোবার্স, সুনীল গাভাস্কার, জ্যাক ক্যালিস, সচিন টেন্ডুলকার, রিকি পন্টিং, জ্যাকুয়েস ক্যালিস এবং অন্যান্য কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা। এই ক্লাবে যোগ দেওয়ার জন্য একজন খেলোয়াড়কে কমপক্ষে ১০-১২ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে হয়, যা কোনো খেলোয়াড়ের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। মুশফিকুর রহিম প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এই ক্লাবে যোগ দিচ্ছেন, যা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য একটি বড় অর্জন।
মুশফিকুর রহিম: বাংলাদেশের প্রথম শততম টেস্টার
মুশফিকুর রহিম বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে একটি বিশেষ অধ্যায়ের সূচনা করতে যাচ্ছেন। ১৯ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে তিনি প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামবেন। এই অর্জনের মাধ্যমে তিনি বিশ্ব ক্রিকেটের অভিজাত শততম টেস্ট ক্লাবের ৮৪তম সদস্য হিসেবে যোগ দিচ্ছেন। মুশফিকুরের ক্রিকেট যাত্রা ২০০০ সালে শুরু হলেও টেস্ট অভিষেক হয় ২০০৫ সালে। তিনি বাংলাদেশ দলের হয়ে উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং দলের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হিসেবে কাজ করেছেন। তার ক্যারিয়ারে একাধিক সেঞ্চুরি এবং গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস রয়েছে, যা বাংলাদেশকে অনেক ম্যাচে জয়লাভ করতে সাহায্য করেছে। তিনি তার ক্যারিয়ারে বাংলাদেশের হয়ে প্রায় ৫,০০০ রান করেছেন এবং ২০০টিরও বেশি উইকেট নিয়েছেন। তার এই অর্জন বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য একটি বড় গর্বের বিষয় এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।
দেশভিত্তিক শততম টেস্ট ক্লাবের সদস্য সংখ্যা
বিশ্ব ক্রিকেটে বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটাররা শততম টেস্ট খেলার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। এই অর্জনের তালিকায় সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে ইংল্যান্ড, যাদের ১৭ জন ক্রিকেটার শততম টেস্ট খেলেছেন। তাদের পরেই রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, যাদের ১৬ জন ক্রিকেটার এই মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত, যাদের ১৪ জন ক্রিকেটার শততম টেস্ট খেলেছেন। এরপর রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা। এই আটটি দেশের ক্রিকেটাররা এই অর্জন ছুঁয়েছেন। ইংল্যান্ডের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় দল হিসেবে পায় ১০০ টেস্ট খেলা খেলোয়াড়। ১৯৮৪ সালে দলের দুইবারের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েড নাম লেখান এই অভিজাত ক্লাবে। একই বছরে ভারতও পায় তাদের প্রথম ১০০ টেস্ট খেলোয়াড় সুনীল গাভাস্কারকে। পরে নিজ নিজ দেশের হয়ে ১০০ টেস্টের ক্লাবে নাম লেখান অস্ট্রেলিয়ার অ্যালান বোর্ডার, পাকিস্তানের জাভেদ মিয়াঁদাদ, দক্ষিণ আফ্রিকার গ্যারি কারস্টেন, শ্রীলঙ্কার সনাত জয়াসুরিয়া ও নিউজিল্যান্ডের স্টিভেন ফ্লেমিং।
বিভিন্ন দেশের প্রথম শততম টেস্টার
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে বিভিন্ন দেশের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে শততম টেস্ট খেলার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন কিছু বিশেষ ব্যক্তিত্ব। ১৯৬৮ সালে ইংল্যান্ডের মাইকেল কলিন কাউড্রে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে শততম টেস্ট খেলেন। এরপর ১৯৮৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্লাইভ লয়েড দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন। একই বছরে ভারতের সুনীল গাভাস্কার তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে শততম টেস্ট খেলেন। পরবর্তীতে অস্ট্রেলিয়ার অ্যালান বোর্ডার, পাকিস্তানের জাভেদ মিয়াঁদাদ, দক্ষিণ আফ্রিকার গ্যারি কারস্টেন, শ্রীলঙ্কার সনাত জয়াসুরিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের স্টিভেন ফ্লেমিং নিজ নিজ দেশের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে শততম টেস্ট খেলেন। এই খেলোয়াড়রা তাদের দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছেন এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করছেন। মুশফিকুর রহিম এখন বাংলাদেশের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এই তালিকায় যোগ দিতে যাচ্ছেন, যা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য একটি বড় গর্বের বিষয়।
মুশফিকুর রহিমের ক্রিকেট যাত্রা ও সাফল্য
মুশফিকুর রহিমের ক্রিকেট যাত্রা শুরু হয় ২০০০ সালে, যখন তিনি বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে খেলতেন। তার প্রতিভা দেখে তাকে শীঘ্রই জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং ২০০৫ সালে তার টেস্ট অভিষেক হয়। তিনি উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে বাংলাদেশ দলের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হিসেবে কাজ করেছেন। তার ক্যারিয়ারে একাধিক সেঞ্চুরি এবং গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস রয়েছে, যা বাংলাদেশকে অনেক ম্যাচে জয়লাভ করতে সাহায্য করেছে। তিনি বাংলাদেশের হয়ে প্রায় ৫,০০০ রান করেছেন এবং ২০০টিরও বেশি উইকেট নিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ দলের হয়ে একাধিকবার অধিনায়কের দায়িত্বও পালন করেছেন। তার অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ দল কিছু সফলতা পেয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়। তিনি তার ক্যারিয়ারে একাধিক পুরস্কারও জিতেছেন, যার মধ্যে রয়েছে আইসিসি প্লেয়ার অব দ্য মান্থ এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার। তার এই সাফল্য এবং ধারাবাহিকতা তাকে বাংলাদেশের প্রথম শততম টেস্টার হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করতে সাহায্য করেছে।
শততম টেস্ট: একটি বিশেষ মাইলফলক
কোনো ক্রিকেটারের জন্য শততম টেস্ট খেলা একটি বিশেষ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি কোনো খেলোয়াড়ের দীর্ঘকালীন ধারাবাহিকতা, দক্ষতা এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টিকে থাকার প্রতীক। একজন ক্রিকেটারকে শততম টেস্ট খেলতে হলে কমপক্ষে ১০-১২ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে হয়, যা কোনো খেলোয়াড়ের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই সময়ের মধ্যে একজন খেলোয়াড়কে নানা ধরনের চাপ, ইনজুরি এবং প্রতিযোগিতার মোকাবিলা করতে হয়। শততম টেস্ট খেলা একজন খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ারের একটি বিশেষ অর্জন হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এটি সাধারণত বিশেষভাবে উদযাপন করা হয়। অনেক খেলোয়াড় তাদের শততম টেস্টে বিশেষ পারফরম্যান্স করেন, যা তাদের ক্যারিয়ারকে আরও উজ্জ্বল করে। মুশফিকুর রহিমও তার শততম টেস্টে বিশেষ কিছু করার আশা করছেন, যা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য একটি বড় গর্বের বিষয় হবে।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নতি ও মুশফিকুরের অবদান
বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নতির ইতিহাসে মুশফিকুর রহিমের অবদান অনস্বীকার্য। ২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট ধীরে ধীরে উন্নতি করছে, যার মধ্যে মুশফিকুর রহিম একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ দলের হয়ে উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং দলের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হিসেবে কাজ করেছেন। তার ক্যারিয়ারে একাধিক সেঞ্চুরি এবং গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস রয়েছে, যা বাংলাদেশকে অনেক ম্যাচে জয়লাভ করতে সাহায্য করেছে। তিনি বাংলাদেশের হয়ে প্রায় ৫,০০০ রান করেছেন এবং ২০০টিরও বেশি উইকেট নিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ দলের হয়ে একাধিকবার অধিনায়কের দায়িত্বও পালন করেছেন। তার অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ দল কিছু সফলতা পেয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়। তার এই অবদান বাংলাদেশ ক্রিকেটকে বিশ্ব ক্রিকেটের একটি সম্মানজনক স্থানে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে এবং তাকে বাংলাদেশের প্রথম শততম টেস্টার হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করতে সাহায্য করেছে।
মুশফিকুরের শততম টেস্ট: একটি জাতীয় উৎসব
আগামী ১৯ নভেম্বর, ২০২৫ সালে মিরপুরে গড়ে উঠবে ইতিহাস। সেদিন মুশফিকুর রহিম প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে খেলবেন শততম টেস্ট লড়াই। এই ক্রীড়াবিদের সাফল্যকে জাতীয় উৎসবে পরিণত করতে চায় বিসিবি। শেরে বাংলা স্টেডিয়াম সেজে উঠবে বর্ণিল আয়োজনে। প্রতিযোগিতার পূর্বে তাঁকে জানানো হবে বিশেষ সংবর্ধনা। তাঁর দীর্ঘ ক্রীড়া যাত্রা নিয়ে তৈরি হবে একটি তথ্যচিত্র। সরাসরি সম্প্রচারিত হবে এই স্মরণীয় অনুষ্ঠানটি টেলিভিশনের পর্দায়। দেশের কোটি ক্রীড়াপ্রেমী মিলিতভাবে উদযাপন করবে এই দিনটি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এই ঘটনা হবে এক অনুপ্রেরণার উৎস। উইকেটকিপার-ব্যাটারের এই অর্জন লাল-সবুজের পতাকায় যোগ করবে নতুন মাত্রা।
মুশফিকুর রহিম: একজন রোল মডেল
মুশফিকুর রহিম বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য একজন রোল মডেল হিসেবে কাজ করছেন। তার দীর্ঘ ক্রিকেট ক্যারিয়ার, ধারাবাহিকতা এবং পেশাদারিত্ব তাকে একজন আদর্শ ক্রিকেটার হিসেবে পরিচিতি দিয়েছে। তিনি বাংলাদেশ দলের হয়ে উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং দলের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হিসেবে কাজ করেছেন। তার ক্যারিয়ারে একাধিক সেঞ্চুরি এবং গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস রয়েছে, যা বাংলাদেশকে অনেক ম্যাচে জয়লাভ করতে সাহায্য করেছে। তিনি বাংলাদেশের হয়ে প্রায় ৫,০০০ রান করেছেন এবং ২০০টিরও বেশি উইকেট নিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ দলের হয়ে একাধিকবার অধিনায়কের দায়িত্বও পালন করেছেন। তার অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ দল কিছু সফলতা পেয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়। তার এই সাফল্য এবং ধারাবাহিকতা তাকে বাংলাদেশের প্রথম শততম টেস্টার হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করতে সাহায্য করেছে এবং তিনি ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একজন আদর্শ হিসেবে কাজ করবেন।
শততম টেস্ট ক্লাবের সদস্যদের সাফল্য
শততম টেস্ট ক্লাবের সদস্যরা বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে বিশেষ স্থান দখল করে আছেন। এই ক্লাবের সদস্যরা বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে অনেক সাফল্য অর্জন করেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন স্যার ডন ব্র্যাডম্যান, স্যার গারফিল্ড সোবার্স, সুনীল গাভাস্কার, জ্যাক ক্যালিস, সচিন টেন্ডুলকার, রিকি পন্টিং, জ্যাকুয়েস ক্যালিস এবং অন্যান্য কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা। এই ক্লাবের সদস্যরা বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে অনেক রেকর্ড গড়েছেন এবং তাদের অনেকেই বিশ্বকাপ জিতেছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন, আবার কেউ কেউ সেরা বোলার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। এই ক্লাবের সদস্যরা বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছেন এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করছেন। মুশফিকুর রহিম এখন এই ক্লাবের ৮৪তম সদস্য হিসেবে যোগ দিচ্ছেন, যা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য একটি বড় গর্বের বিষয়।
মুশফিকুরের শততম টেস্ট: বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ
মুশফিকুর রহিমের শততম টেস্ট ম্যাচটি বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই ম্যাচটি বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে একটি বিশেষ স্থান করে নেবে এবং ভবিষ্যতের ক্রিকেটারদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। মুশফিকুর রহিমের এই অর্জন বাংলাদেশ ক্রিকেটকে বিশ্ব ক্রিকেটের একটি সম্মানজনক স্থানে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে এবং তাকে বাংলাদেশের প্রথম শততম টেস্টার হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করতে সাহায্য করবে। এই অর্জন বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নতির একটি বড় নিদর্শন হিসেবে কাজ করবে এবং ভবিষ্যতে আরও বেশি ক্রিকেটারকে এই মাইলফলক স্পর্শ করতে অনুপ্রেরণা দেবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এই ম্যাচটিকে একটি বিশেষ উপলক্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে। ম্যাচের আগে মুশফিকুর রহিমকে সম্মাননা জানানো হবে এবং তার ক্রিকেট যাত্রা নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হবে। ম্যাচটি সরাসরি টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হবে এবং স্টেডিয়ামে বিশেষ সাজসজ্জা করা হবে। বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা এই ম্যাচটিকে একটি জাতীয় উৎসব হিসেবে পালন করবে এবং মুশফিকুর রহিমকে সমর্থন দেবে।
মুশফিকুর রহিমের শততম টেস্ট: একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত
১৯ নভেম্বর, ২০২৫ তারিখে মিরপুরে মুশফিকুর রহিমের শততম টেস্ট এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হতে যাচ্ছে। তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এই মর্যাদাপূর্ণ মাইলফলক স্পর্শ করতে প্রস্তুত রয়েছেন। এই কীর্তি তাঁর দীর্ঘ ক্যারিয়ারের অধ্যবসায় ও নিষ্ঠার এক অনন্য প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। দেশের ক্রিকেটের অগ্রগতির ধারাবাহিকতায় এই সাফল্য একটি উজ্জ্বল নিদর্শন স্থাপন করবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এই দিনটিকে স্মরণীয় করতে বিশেষ কর্মসূচির আয়োজন করেছে। খেলার পূর্বে তাঁকে সম্মাননা জানানো হবে এবং তাঁর জীবনী নিয়ে একটি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। স্টেডিয়ামকে উৎসবমুখর পরিবেশে সাজানো হবে এবং ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। ক্রিকেটপ্রেমীরা এই অনুষ্ঠানকে জাতীয় উৎসব হিসেবে পালন করতে মুখিয়ে আছেন। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ক্রিকেটারদের জন্য এই অর্জন এক বড় অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। এই মাইলফলক তাঁকে কিংবদন্তির আসনে প্রতিষ্ঠিত করবে এবং দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে।
| ব্যাটিং | বোলিং | |||||
| Overview | টেস্ট | ওয়ানডে | টি২০আই | টি২০ | লিস্ট এ | প্রথম শ্রেণী |
| Matches | 99 | 274 | 102 | 288 | 385 | 152 |
| Innings | 182 | 256 | 93 | 265 | 359 | 265 |
| Not Out | 15 | 42 | 16 | 60 | 60 | 26 |
| Runs | 6351 | 7795 | 1500 | 6004 | 11858 | 9181 |
| High Score | 219 | 144 | 72 | 98 | 145 | 219 |
| Average | 38.02 | 36.42 | 19.48 | 29.28 | 39.65 | 38.41 |
| Strike Rate | 48.4 | 79.7 | 115.03 | 126.16 | 0 | 0 |
| 100S | 12 | 9 | 0 | 0 | 15 | 19 |
| 50S | 27 | 49 | 6 | 34 | 76 | 41 |
| 6S | 37 | 100 | 37 | 168 | 0 | 0 |
| 4S | 740 | 617 | 126 | 515 | 0 | 0 |
প্রশ্ন ও উত্তর
১. প্রশ্ন: মুশফিকুর রহিম কবে তার শততম টেস্ট ম্যাচ খেলবেন?
উত্তর: মুশফিকুর রহিম ১৯ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে তার শততম টেস্ট ম্যাচ খেলবেন।
২. প্রশ্ন: মুশফিকুর রহিম কোথায় তার শততম টেস্ট ম্যাচ খেলবেন?
উত্তর: মুশফিকুর রহিম মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তার শততম টেস্ট ম্যাচ খেলবেন।
৩. প্রশ্ন: মুশফিকুর রহিম কততম খেলোয়াড় হিসেবে শততম টেস্ট খেলছেন?
উত্তর: মুশফিকুর রহিম ৮৪তম খেলোয়াড় হিসেবে শততম টেস্ট খেলছেন।
৪. প্রশ্ন: মুশফিকুর রহিম কোন দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলছেন?
উত্তর: মুশফিকুর রহিম বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলছেন।
৫. প্রশ্ন: টেস্ট ক্রিকেট কবে শুরু হয়?
উত্তর: টেস্ট ক্রিকেট ১৮৭৭ সালে শুরু হয়।
৬. প্রশ্ন: টেস্ট ক্রিকেটের প্রথম ম্যাচ কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?
উত্তর: টেস্ট ক্রিকেটের প্রথম ম্যাচ মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত হয়।
৭. প্রশ্ন: টেস্ট ক্রিকেটের প্রথম ম্যাচ কোন দুটি দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়?
উত্তর: টেস্ট ক্রিকেটের প্রথম ম্যাচ অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়।
৮. প্রশ্ন: টেস্ট ক্রিকেটের ১০০তম ম্যাচ কবে অনুষ্ঠিত হয়?
উত্তর: টেস্ট ক্রিকেটের ১০০তম ম্যাচ ১৯০৮ সালে অনুষ্ঠিত হয়।
৯. প্রশ্ন: টেস্ট ক্রিকেটের ১০০তম ম্যাচ কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?
উত্তর: টেস্ট ক্রিকেটের ১০০তম ম্যাচ সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়।
১০. প্রশ্ন: প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে শততম টেস্ট কে খেলেন?
উত্তর: প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে শততম টেস্ট মাইকেল কলিন কাউড্রে খেলেন।
১১. প্রশ্ন: মাইকেল কলিন কাউড্রে কবে শততম টেস্ট খেলেন?
উত্তর: মাইকেল কলিন কাউড্রে ১৯৬৮ সালে শততম টেস্ট খেলেন।
১২. প্রশ্ন: মাইকেল কলিন কাউড্রে কোথায় শততম টেস্ট খেলেন?
উত্তর: মাইকেল কলিন কাউড্রে এজবাস্টনে শততম টেস্ট খেলেন।
১৩. প্রশ্ন: কোন দেশের সবচেয়ে বেশি ক্রিকেটার শততম টেস্ট খেলেছে?
উত্তর: ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বেশি ক্রিকেটার শততম টেস্ট খেলেছে।
১৪. প্রশ্ন: ইংল্যান্ডের কতজন ক্রিকেটার শততম টেস্ট খেলেছে?
উত্তর: ইংল্যান্ডের ১৭ জন ক্রিকেটার শততম টেস্ট খেলেছে।
১৫. প্রশ্ন: ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম শততম টেস্টার কে?
উত্তর: ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম শততম টেস্টার ক্লাইভ লয়েড।
১৬. প্রশ্ন: ভারতের প্রথম শততম টেস্টার কে?
উত্তর: ভারতের প্রথম শততম টেস্টার সুনীল গাভাস্কার।
১৭. প্রশ্ন: মুশফিকুর রহিম কবে টেস্ট অভিষেক করেন?
উত্তর: মুশফিকুর রহিম ২০০৫ সালে টেস্ট অভিষেক করেন।




