চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চার মাসে রেমিট্যান্স ছাড়াল ১০ বিলিয়ন এ। প্রবাসী বাংলাদেশিরা গত চার মাসে দেশে পাঠিয়েছেন ১০.১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
এটি বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার ৩২২ কোটি টাকা।
ফলে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স ১৩.৫৬% বৃদ্ধি পেয়েছে।
রেমিট্যান্স বৃদ্ধির ধারা
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, অক্টোবরে এসেছে ২৫৬ কোটি ৩৫ লাখ ডলার।
এটি গত বছরের একই মাসের তুলনায় ১৬ কোটি ৮৫ লাখ ডলার বেশি।
অন্যদিকে, জুলাইয়ে রেমিট্যান্স ছিল ২৪৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার।
আগস্টে এসেছে ২৪২ কোটি ১৯ লাখ ডলার, এবং সেপ্টেম্বরে ছিল ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলার।
ফলে ধারাবাহিকভাবে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক প্রভাব
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ পাঠানোর প্রবণতা বেড়েছে।
এছাড়া, হুন্ডি প্রতিরোধে সরকারি পদক্ষেপ ও প্রণোদনা নীতি রেমিট্যান্স বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে।
একই সঙ্গে ব্যাংকিং ব্যবস্থার আধুনিকীকরণও ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।
গত অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৩০.৩৩ বিলিয়ন ডলার।
তবে এ বছর প্রবাসী আয়ের প্রবাহ আরও শক্তিশালী হয়েছে।
এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় নতুন আশাবাদ তৈরি হয়েছে।
রপ্তানি ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা
রেমিট্যান্স বৃদ্ধির পাশাপাশি রপ্তানিতেও ভালো প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে রপ্তানি বেড়েছে ৫.৬৪%।
তাই বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ স্থিতিশীল হচ্ছে এবং ডলারের দামও কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ৩০ অক্টোবর রিজার্ভ দাঁড়ায় ২৭.৫৪ বিলিয়ন ডলার (BPM6)।
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজস্ব হিসাব অনুযায়ী তা ৩২.১৪ বিলিয়ন ডলার।
এটি গত ৩১ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ রিজার্ভ।
রেমিট্যান্স ছাড়াল ১০ বিলিয়ন ডলার; প্রবাসীদের অবদান
প্রবাসীরা কেবল পরিবার নয়, পুরো দেশের অর্থনীতিকেও শক্তিশালী করছেন।
এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ বাড়ছে, আমদানি ও রপ্তানি স্থিতিশীলতা বজায় থাকছে।
এছাড়া, ডলারের দামের ওঠানামা নিয়ন্ত্রণেও এটি সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
চলতি অর্থবছরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিতে নতুন গতি এনেছে।
তাই রেমিট্যান্সের ধারাবাহিক বৃদ্ধি ভবিষ্যতেও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।




