প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন,“আজকের এই দিনটি শুধুই বাংলাদেশের নয়- এটা সারা বিশ্বের জন্য এক মহান উদাহরণ হয়ে থাকবে। এমন একটি ঐক্যের নজির পাঠ্যপুস্তকে স্থান পাবে, ক্লাসরুমে আলোচনা হবে, রাজনীতিবিদরা বিশ্লেষণ করবেন কোনটা ঠিক, কোনটা বেঠিক।”
শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ‘জুলাই সনদ’ স্বাক্ষর শেষে তিনি এ কথা বলেন।
রাজনৈতিক ঐক্যের অনন্য দৃষ্টান্ত
ড. ইউনূস জানান, ঐকমত্য কমিশন গঠনের শুরুতে ধারণা ছিল- কয়েকটি বিষয়ে হয়তো সমঝোতা সম্ভব হবে।
কিন্তু ফলাফল চমকে দিয়েছে সবাইকে।
“সারাদেশ দেখেছে, রাজনৈতিক দলগুলো শুধু আলাপেই বসেনি- চমৎকারভাবে, জ্ঞানের গভীরতা ও সৌহার্দ্যের সঙ্গে আলোচনা করেছে। এমন দৃশ্য না দেখলে বিশ্বাস করা যেত না,” বলেন তিনি।
টেলিভিশনে সম্প্রচারের মাধ্যমে দেশবাসীও এই আলোচনায় অংশ নিয়েছে। ঘরে ঘরে তর্ক-বিতর্ক হয়েছে, মানুষ নিজে চিন্তা করেছে কোন দল কী বলছে, কোন প্রস্তাব জাতির জন্য ভালো।
বিশ্বের জন্য অনুপ্রেরণ
ড. ইউনূস আরও বলেন, “আজকের এই সনদ শুধু জাতীয় নয়, বৈশ্বিক উদাহরণ। অন্য দেশগুলোও ভাববে বাংলাদেশ পারলে আমরা কেন পারব না?”
তিনি বলেন, “আমাদের রাজনৈতিক নেতারা অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। তাদের নাম ইতিহাসে অক্ষয় হয়ে থাকবে।”
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ‘জুলাই সনদ’ এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে যেখানে দল-মত নির্বিশেষে এক টেবিলে বসে ঐক্যের নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন জাতির নেতারা।




