বাংলাদেশ রাজনীতি আবারও উত্তপ্ত। দীর্ঘ ১৮ বছর পর হঠাৎ করেই সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর দেখা দিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে, যা নতুন রাজনৈতিক জোট ও পরিবর্তনের গুঞ্জন আরও জোরালো করেছে।
কেন গিয়েছিলেন বাবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে?
রোববার বিকেল ৪টা ২২ মিনিটে বাবর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে ২ ঘণ্টার বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে তিনি জানান, বিএনপি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সহযোগিতার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও মামলার ইতিহাস
- ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় ২০১২ সালে বাবর আসামি হন।
- ২০১৮ সালে তার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয়।
- ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর, হাইকোর্ট তাকে বেকসুর খালাস দেয়।
- ২০২৫ সালের ১৬ জানুয়ারি সব মামলা থেকে চূড়ান্ত মুক্তি পেয়ে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে বের হন।
তারেক রহমান কবে ফিরছেন দেশে?
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাবর বলেন,”খুব শিগগিরই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরছেন।”
এটি রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে, বিশেষ করে আগামী নির্বাচন সামনে রেখে।
বাবরের উদ্বেগ কী ছিল?
- বাবর অভিযোগ করেন, এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম ভারতে শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছে এবং নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে।
- দেশে অবৈধ অস্ত্রের প্রবেশ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
তবে তিনি স্বীকার করেন, সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে কাজ করছে।
ষড়যন্ত্র করে ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা ও বাবরের ভূমিকা
- ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল চট্টগ্রামের সিইউএফএল ঘাট থেকে ১০ ট্রাক অস্ত্র আটক হয়।
- এ ঘটনায় বাবরকে ২০০৭ সালের ২৮ মে গ্রেপ্তার করে ৭৮ দিন রিমান্ডে নেয়া হয়।
- পরবর্তীতে দুটি মামলায় মৃত্যুদণ্ড ও একটিতে যাবজ্জীবন হয় তার।
কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর, ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে সব মামলায় খালাস পান তিনি।