প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মন্তব্য করেছেন, “যদি আমরা নিজেদের মধ্যে বিভক্ত হয়ে পড়ি, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা ব্যর্থ হবো। কিন্তু আমরা ব্যর্থ হতে চাই না। আমাদের লক্ষ্য একটি নতুন বাংলাদেশ গড়া-যেখানে প্রতিটি নাগরিক সমান অধিকার ভোগ করবে।”
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকেশ্বরী মন্দিরে দুর্গাপূজা উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি সেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং ধর্মীয় সম্প্রীতির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ড. ইউনূস বলেন, “আমরা এমন একটি রাষ্ট্র গড়তে চাই, যেটি বিশ্বে উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হবে। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রয়োজন সব ধর্মের মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা।”
আরও পড়ুন- গাজায় জাতিগত নিধন চালাচ্ছে ইসরাইল
তিনি আরও বলেন, “রাষ্ট্রের দৃষ্টিতে কোনো ধর্ম বড় বা ছোট নয়। সরকারকে অবশ্যই সব ধর্মের প্রতি সমান সম্মান দেখাতে হবে। ধর্মের ভিত্তিতে কারও প্রতি বৈষম্য চলবে না।”
ধর্মীয় উৎসবের নিরাপত্তা ও পরিবেশ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা এমন একটি পরিবেশ গড়ে তুলতে চাই, যেখানে মানুষ নিরাপত্তা বাহিনীর পাহারায় নয়, বরং স্বাধীনভাবে, স্বতঃস্ফূর্তভাবে ধর্মীয় উৎসব উদযাপন করতে পারবে। একে অন্যের ধর্মের প্রতি সম্মান রেখে, সবাই মিলেই উৎসব পালন করবে*এটাই হওয়া উচিত আমাদের লক্ষ্য।”
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পূজা উদ্যাপন পরিষদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকেও তিনি ধর্মীয় সহাবস্থানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পূজা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টাকে বিভিন্ন মণ্ডপ পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানানো হয়।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত বছরের তুলনায় এ বছর সারাদেশে প্রায় এক হাজারের বেশি পূজা মণ্ডপ নির্মিত হচ্ছে এবং প্রস্তুতি কাজ জোরেশোরেই চলছে।
বৈঠকে ড. ইউনূস বলেন, “আপনাদের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা সব সময় থাকে, কিন্তু ব্যস্ততার কারণে সুযোগ হয় না। পূজার সময় অন্তত দেখা হওয়ায় ভালো লাগে, আপনাদের কথা শোনা ও শুভেচ্ছা জানানোর সুযোগ হয়।