বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২০, ২০২৫

বাংলাদেশ রিজার্ভ ফের ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

বহুল পঠিত

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (২৭ আগস্ট) রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১.৩৩ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম–৬ পদ্ধতি অনুযায়ী রিজার্ভ হয়েছে ২৬.৩১ বিলিয়ন ডলার। ২৪ আগস্ট গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩০.৮৬ বিলিয়ন ডলার, বিপিএম–৬ অনুযায়ী ২৫.৮৭ বিলিয়ন ডলার। ফলে সামান্য বৃদ্ধি দেখা গেছে।

নিট ও ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ

মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দিলে নিট রিজার্ভ পাওয়া যায়। তবে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ অন্য একটি হিসাব। এটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয় না। এতে আইএমএফের এসডিআর খাতের ডলার, ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং এবং আকুর বিল বাদ দেওয়া হয়।

সূত্র জানায়, ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। প্রতি মাসে ৫.৫ বিলিয়ন ডলার ব্যবহার করলে প্রায় তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকা প্রয়োজন।

রিজার্ভের ইতিহাস

২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছিল। তবে কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে আমদানি ব্যয় বেড়ে যায়। এছাড়া রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণে রিজার্ভে চাপ পড়ে। ফলে চলতি হিসাবের ঘাটতি বেড়ে যায়।

ডলারের বিপরীতে টাকার দর কমলে প্রভাব পড়ে জ্বালানি ও আমদানির খরচে। সংকট মোকাবেলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে। ফলে রিজার্ভ ধীরে ধীরে হ্রাস পায়।

২০২২ সালের জুলাইয়ে রিজার্ভ বাড়াতে বাংলাদেশ আইএমএফের কাছে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা চেয়েছিল।

আরো পড়ুন

বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে পর্যটন ও বাণিজ্যের সম্ভাবনা: নতুন উন্নয়ন ও সহযোগিতা

বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে পর্যটন ও বাণিজ্য সম্ভাবনা নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর সুযোগ তৈরি হচ্ছে। সম্প্রতি লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম ও ওল্ডহ্যাম শহরের মেয়র কাউন্সিলর এডি মুরের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক সৌহার্দ্যপূর্ণ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে পর্যটন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয় নিয়ে গভীর আলোচনা হয়। বৈঠকে উভয় পক্ষ ভবিষ্যতে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করার আগ্রহ প্রকাশ করেন, যা দুই দেশের জনগণের জন্য ইতিবাচক সুযোগ তৈরি করবে।

একনেক অনুমোদন করলো ১২টি নতুন ও সংশোধিত প্রকল্প, ব্যয় ৭,১৫০ কোটি টাকা

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৭,১৫০ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ১২টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর সম্পূর্ণ ব্যয় সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে সংস্থান করা হবে।

রেমিট্যান্স ও রপ্তানি প্রবাহে স্থিতিশীলতা, রিজার্ভ এখনো মজবুত অবস্থানে

এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (আকু)–এর সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের আমদানি বিল পরিশোধের পরও বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রয়েছে। গত রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংক আকুর কাছে ১.৬১ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের অর্থ পরিশোধ করেছে, যা সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আমদানি-রপ্তানির স্বাভাবিক নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ার অংশ।
- Advertisement -spot_img

আরও প্রবন্ধ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ প্রবন্ধ