ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বের দিক থেকে নড়াইল দেশের এক ঐতিহাসিক ও মর্যাদাপূর্ণ জেলা- এমন অভিমত ব্যক্ত করে নড়াইলে একটি পূর্ণাঙ্গ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন ড. সৈয়দ নাজমুল হুদা, উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত), ক্রীড়া ও শরীরচর্চা বিভাগ, জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
নড়াইল-জাতীয় গৌরবের পূর্ণভূমি
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, ওস্তাদ উদয়শংকর, রবিশংকর, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ, বিশ্ববরেণ্য শিল্পী এস. এম. সুলতান, মাশরাফি বিন মুর্তজা এবং আরো অনেক জ্ঞানীগুণির পূর্ণভূমি নড়াইল সবসময়ই জাতীয় গৌরবের প্রতীক। তবুও শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় নড়াইল জেলা দীর্ঘদিন ধরে পিছিয়ে রয়েছে।
পার্শ্ববর্তী জেলায় উন্নয়ন, নড়াইলে সুযোগের অভাব
তিনি জানান, পার্শ্ববর্তী মাগুরা, যশোর, খুলনা ও গোপালগঞ্জে রয়েছে সরকারি মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা, কিন্তু নড়াইলে একটি পূর্ণাঙ্গ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা সম্পন্ন মেডিকেল কলেজ নেই। ফলে নড়াইলের মানুষ তাদের ন্যায্য ও মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে।
এস. এম. সুলতান বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি পুনরুজ্জীবিত করা প্রয়োজন
ড. সৈয়দ নাজমুল হুদার মতে, এস এম সুলতানের নামে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কার্যক্রম ছিল- সেটিকে পুনরায় চালু করতে হবে। এতে শুধু উচ্চশিক্ষার প্রসার নয়, বরং অর্থনীতি, সংস্কৃতি, কর্মসংস্থান এবং গবেষণা খাতে নড়াইলে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে।
দ্রুত সরকারি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার আহ্বান
তিনি আরও বলেন, একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপিত হলে জেলার জনগণ দ্রুত চিকিৎসা সুবিধা পাবে এবং জীবন রক্ষার সুযোগ বাড়বে।
“এটি নড়াইলের মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার”
তার ভাষায়, “এটি কোনো দল বা গোষ্ঠীর দাবি নয়, এটি নড়াইলের সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকা ও এগিয়ে যাওয়ার অধিকার।” তিনি অতিদ্রুত এ দুটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সরকার ও কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানান।
স্থানীয়দের প্রত্যাশা
স্থানীয়রা মনে করছেন, দীর্ঘদিনের এই দাবিগুলো বাস্তবায়িত হলে উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে নড়াইল আরও এগিয়ে যাবে এবং জ্ঞান-সংস্কৃতির ঐতিহ্য পুনরুজ্জীবিত হবে।




