বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২০, ২০২৫

আর নয় অপেক্ষা: পাঠাও ইনস্টাপে-তে (‘InstaPay’) মিলবে মার্চেন্ট পেমেন্টের দ্রুততম সমাধান

বহুল পঠিত

ডিজিটাল লেনদেনের জয়জয়কার বাংলাদেশে, দেশের অন্যতম শীর্ষ সার্ভিস প্ল্যাটফর্ম পাঠাও এবার নিয়ে এলো তাদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় সার্ভিস- ‘ইনস্টাপে’ (InstaPay)। এটি একটি আধুনিক ও দ্রুততম পাঠাও মার্চেন্ট পেমেন্ট সমাধান, যা দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের (SMEs) জন্য এক নতুন সুযোগের দ্বার উন্মোচন করবে। আর কোনো পেমেন্টের জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হবে না, ইনস্টাপে-এর মাধ্যমে পেমেন্ট পাবেন মুহূর্তেই।

ইনস্টাপে কী?

ইনস্টাপে হলো পাঠাও-এর অধীনে চালু হওয়া একটি বিশেষ মার্চেন্ট পেমেন্ট সার্ভিস। এর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যবসায়ীদের তাদের পণ্য বা সেবার বিপক্ষে গ্রাহকদের কাছ থেকে পেমেন্ট গ্রহণের প্রক্রিয়াকে সহজ, নিরাপদ এবং দ্রুত করে তোলা। এটি একটি সম্পূর্ণ ডিজিটাল সিস্টেম, যা নগদ অর্থের ঝুঁকি এবং জটিল ব্যাংকিং প্রক্রিয়া এড়িয়ে সরাসরি ডিজিটাল ওয়ালেটে লেনদেন সম্পন্ন করতে সাহায্য করে।

কেন ইনস্টাপে ব্যবসায়ীদের জন্য সেরা সমাধান?

ঐতিহ্যগতভাবে, অনলাইন বা অফলাইন ব্যবসায়ীরা পেমেন্ট পেতে নানা ধরনের জটিলতার সম্মুখীন হন। ইনস্টাপে সেই সমস্ত সমস্যার একটি কার্যকরী সমাধান। এর মূল সুবিধাগুলো হলো:

  • তাৎক্ষণিক পেমেন্ট: গ্রাহক পেমেন্ট করার সাথে সাথে মার্চেন্টের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়ে। এতে ক্যাশ ফ্লো ব্যবস্থাপনা অনেক সহজ হয়।
  • ঝামেলামুক্ত প্রক্রিয়া: কোনো ধরনের জটিল ডকুমেন্টেশন বা দীর্ঘ রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া নেই। পাঠাও অ্যাপ ব্যবহার করে খুব সহজেই এই সার্ভিস চালু করা যায়।
  • নিরাপত্তা: পাঠাও-এর নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকায় প্রতিটি লেনদেন সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকে। নগদ অর্থ বহনের ঝুঁকি থাকে না।
  • লেনদেনের স্বচ্ছতা: প্রতিটি ট্রানজেকশনের ডিজিটাল রেকর্ড থাকায় হিসাব রাখা এবং অডিট করা সহজ হয়।
  • গ্রাহক আকর্ষণ: ডিজিটাল পেমেন্ট অপশন থাকলে আধুনিক গ্রাহকরা বেশি আকৃষ্ট হয়, যা বিক্রয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

কীভাবে ইনস্টাপে ব্যবহার করবেন?

ইনস্টাপে ব্যবহারের প্রক্রিয়া অত্যন্ত সহজ। একজন ব্যবসায়ীকে কয়েকটি সহজ ধাপ অনুসরণ করতে হবে:

  1. রেজিস্ট্রেশন: পাঠাও মার্চেন্ট অ্যাপে লগইন করে ইনস্টাপে সার্ভিসের জন্য নিবন্ধন করতে হবে।
  2. পেমেন্ট রিকোয়েস্ট: পণ্য বিক্রির পর মার্চেন্ট পাঠাও অ্যাপ থেকে গ্রাহকের মোবাইল নম্বরে একটি পেমেন্ট লিঙ্ক বা QR কোড পাঠাতে পারবেন।
  3. গ্রাহকের পেমেন্ট: গ্রাহক সেই লিঙ্কে ক্লিক করে বা QR কোড স্ক্যান করে তার পাঠাও ওয়ালেট থেকে সহজেই পেমেন্ট সম্পন্ন করতে পারবেন।
  4. তাৎক্ষণিক আপডেট: পেমেন্ট সফল হওয়া মাত্রই মার্চেন্ট এবং গ্রাহক উভয়েই নোটিফিকেশন পাবেন এবং টাকা মার্চেন্টের ওয়ালেটে জমা হয়ে যাবে।

বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতিতে ইনস্টাপেএর প্রভাব

পাঠাও ইনস্টাপে-এর মতো সার্ভিস বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতিকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। এটি শুধু একটি পেমেন্ট সমাধান নয়, বরং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। যেসব ব্যবসায়ী এতদিন ডিজিটাল পেমেন্ট গ্রহণে পিছিয়ে ছিলেন, তারাও এখন এই সহজ সমাধানের মাধ্যমে ডিজিটাল হওয়ার সুযোগ পাবেন। এর ফলে দেশের আর্থিক খাত আরও স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক এবং গতিশীল হবে।

পাঠাও-এর নতুন ইনস্টাপে সার্ভিস মার্চেন্ট পেমেন্ট ব্যবস্থায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে চলেছে। এর গতি, নিরাপত্তা এবং ব্যবহারের সহজলভ্যতা ব্যবসায়ীদের জন্য এটিকে করে তুলবে অবশ্যম্ভাবী একটি সরঞ্জাম। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এমন উদ্ভাবনী পদক্ষেপ নিশ্চিতভাবেই একটি ইতিবাচক অবদান রাখবে। আপনার ব্যবসাকে আরও দ্রুত ও ঝামেলামুক্ত করতে আজই পাঠাও ইনস্টাপে-এর সাথে যুক্ত হন।

আরো পড়ুন

বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে পর্যটন ও বাণিজ্যের সম্ভাবনা: নতুন উন্নয়ন ও সহযোগিতা

বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে পর্যটন ও বাণিজ্য সম্ভাবনা নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর সুযোগ তৈরি হচ্ছে। সম্প্রতি লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম ও ওল্ডহ্যাম শহরের মেয়র কাউন্সিলর এডি মুরের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক সৌহার্দ্যপূর্ণ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে পর্যটন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয় নিয়ে গভীর আলোচনা হয়। বৈঠকে উভয় পক্ষ ভবিষ্যতে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করার আগ্রহ প্রকাশ করেন, যা দুই দেশের জনগণের জন্য ইতিবাচক সুযোগ তৈরি করবে।

একনেক অনুমোদন করলো ১২টি নতুন ও সংশোধিত প্রকল্প, ব্যয় ৭,১৫০ কোটি টাকা

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৭,১৫০ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ১২টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর সম্পূর্ণ ব্যয় সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে সংস্থান করা হবে।

রেমিট্যান্স ও রপ্তানি প্রবাহে স্থিতিশীলতা, রিজার্ভ এখনো মজবুত অবস্থানে

এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (আকু)–এর সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের আমদানি বিল পরিশোধের পরও বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রয়েছে। গত রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংক আকুর কাছে ১.৬১ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের অর্থ পরিশোধ করেছে, যা সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আমদানি-রপ্তানির স্বাভাবিক নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ার অংশ।
- Advertisement -spot_img

আরও প্রবন্ধ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ প্রবন্ধ